বরগুনার বেতাগীতে ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত, মিথ্যা মামলার অভিযোগে উত্তেজনা

- আপডেট সময় : ০৩:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে

বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের, যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য সুমন কুমার রায়কে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বেতাগী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক স্বদেশ কুমার রায় সুব্রতসহ আরও দুইজনকে নির্দোষ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এজাহারে উল্লেখিতরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি দুপুর দেড়টার দিকে কুমরাখালী বাজারে খলিলের চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায় দুপুরের দিকে কুমড়াখালী বাজারে খলিলের চায়ের দোকানে সুমন রায় কলা কিনতে আসে এ সময় দুর্বৃত্তরা হঠাৎ করে পিটিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সালেহ, শুভ রায় সহ ৭/৮ জনে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে সুমন রায়কে এই মর্মে আসামি করে মামলা দায়ের করে। পরে ইউপি সদস্যকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই মিথ্যা অভিযোগে এজাহারের ১,২,৩ নং নির্দোষ ব্যক্তিদের মামলায় আসামি করা হয়েছে। তারা অভিযোগ তোলেন, প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার না করে একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে এই মামলা সাজিয়েছে।
মামলার এক নম্বর আসামি স্বদেশ কুমার রায় সুব্রত বলেন, “আমি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। ঘটনার সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। অথচ আমাকে এজাহারে উল্লেখ করে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীর ভর্তি কাগজপত্রে দেখা যাচ্ছে, তাকে পিটিয়ে থেতলে দেওয়া হয়েছে। এখানে স্পষ্ট দুই ধরনের কথা বলা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত মিথ্যা মামলা।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ওই ইউপি সদস্য সুমন ও তার সহযোগীরা আমাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছিল। আমি সেসময় ন্যায়বিচার চেয়েছিলাম। তারপরেও ইউপি সদস্যকে যারা পিটিয়েছে এই হামলার ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করছি। প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদার খলিল বলেন তার দোকানে ইউপি সদস্য সুমন কলা কিনতে ছিল ,হঠাৎ একটি ছেলে এসে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে, অন্য কাউকে চিনতে পারি নাই। তবে মামলায় এজাহার নামীয় আসামি স্বদেশ কুমার সুব্রত,আবু সালেহ, শুভ রায়কে ঘটনাস্থলে আমি দেখতে পাই নাই।
এই ঘটনা নিয়ে কাজিরাবাদ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধ এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বেতাগী থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন“ মামলা দায়ের হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি।
এলাকার মানুষ আশা করছেন, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে এবং নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি বন্ধ করা হবে।