ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রকাশিত
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মাটিকাটা ভেকুমেশিনের চাপায় যুবকের মৃত্যু সাউথ এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন আব্দুস সাত্তার মিলন  দেবীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক দুই শতাধিক এতিম শিশুর জন্য ইফতার ও সাহরির আয়োজন করলো বাংলাদেশ প্রতিদিন জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বোদা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান মূল্য তালিকা না থাকায় ও অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় জরিমানা দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি এবং বিচারহীনতার প্রতিবাদে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল। ঠাকুরগাঁওয়ে ভূট্টা ক্ষেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, পলাতক স্বামী গাইবান্ধার প্রকৌশলীর গাড়িতে মিললো ৩৭ লাখ টাকা। পলাশবাড়ীতে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের তিলকপুরে দীনা হিমাগারের নতুন এক উদ্যোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯২ বার পড়া হয়েছে

সেলিম হোসেন রুবেল , জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি

কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরে দীনা কোল্ড স্টোর নিয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এবার কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ শতাংশ জায়গা, যেখানে তারা আইডি কার্ড দেখিয়ে ১০ বস্তা করে বীজের আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২০ শতাংশ।এতে করে আগামীতে সিন্ডিকেট কম হওয়ার আশা করছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলায় এবার ১০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু উৎপাদন হবে। এর মধ্যে জেলার হিমাগারে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন আলু মজুদ করা হয়। এবছর আলুর আবাদ বিগত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় হিমাগারগুলোতে সংরক্ষণের চাপও বাড়ছে। বর্তমান আলুর দাম কম হওয়ায় কৃষকরা হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করছেন। বর্তমান জেলার বিভিন্ন হিমাগারে ৫০ ভাগ কৃষক আর ৫০ ভাগ ব্যবসায়ী আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিকে পরে যাতে সিন্ডিকেট না হয় এজন্য আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরে দীনা কোল্ড স্টোরে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ শতাংশ ও ব্যবসায়ীদের জন্য ২০ জায়গা।প্রতিটি কৃষক জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বীজের জন্য ১০ বস্তা করে আলু রাখতে পারছেন। কৃষকদের কোটা পূরণ হলে তারপর ব্যবসায়ীদের আলু নেওয়া হবে। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মহন বলেন, প্রতিবছর এই হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করি। এবারও আলু রাখতে আসছিলাম।আমি ১০ বস্তা বীজের আলু রেখেছি।এখানে অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে ভাড়াও কিছুটা কম। আক্কেলপুরের টিএনটির মোড়ের মোজাম্মেল বলেন, এখানে এবার কৃষকদের জন্য জায়গা বাড়ানো হয়েছে তা অনেক ভাল উদ্যোগ। তবে সংরক্ষণের পরিমানটা আরও একটু বাড়ালে ভাল হতো। আলু ব্যবসায়ী মুকুল হোসেন বলেন, আলু সংরক্ষণ করার জন্য এসেছিলাম।কিন্তু এসে শুনি কৃষকদের আলু আগে নেওয়া হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের তো কিছুটা সমস্যা হবেই। হিমাগারের ম্যানেজার সুপন বড়ুয়া বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য চলতি মৌসুমে ৮০% কৃষক ও ২০% ব্যবসায়ীদের বীজ আলু সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া ভাড়ার রেটও অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে কিছুটা কম। এতে করে কৃষকরা অনেকটা উপকৃত হবে বলে মনে করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের তিলকপুরে দীনা হিমাগারের নতুন এক উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সেলিম হোসেন রুবেল , জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি

কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরে দীনা কোল্ড স্টোর নিয়েছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এবার কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ শতাংশ জায়গা, যেখানে তারা আইডি কার্ড দেখিয়ে ১০ বস্তা করে বীজের আলু সংরক্ষণ করতে পারবেন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২০ শতাংশ।এতে করে আগামীতে সিন্ডিকেট কম হওয়ার আশা করছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলায় এবার ১০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি আলু উৎপাদন হবে। এর মধ্যে জেলার হিমাগারে প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন আলু মজুদ করা হয়। এবছর আলুর আবাদ বিগত বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় হিমাগারগুলোতে সংরক্ষণের চাপও বাড়ছে। বর্তমান আলুর দাম কম হওয়ায় কৃষকরা হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করছেন। বর্তমান জেলার বিভিন্ন হিমাগারে ৫০ ভাগ কৃষক আর ৫০ ভাগ ব্যবসায়ী আলু রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিকে পরে যাতে সিন্ডিকেট না হয় এজন্য আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরে দীনা কোল্ড স্টোরে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮০ শতাংশ ও ব্যবসায়ীদের জন্য ২০ জায়গা।প্রতিটি কৃষক জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে বীজের জন্য ১০ বস্তা করে আলু রাখতে পারছেন। কৃষকদের কোটা পূরণ হলে তারপর ব্যবসায়ীদের আলু নেওয়া হবে। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মহন বলেন, প্রতিবছর এই হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করি। এবারও আলু রাখতে আসছিলাম।আমি ১০ বস্তা বীজের আলু রেখেছি।এখানে অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে ভাড়াও কিছুটা কম। আক্কেলপুরের টিএনটির মোড়ের মোজাম্মেল বলেন, এখানে এবার কৃষকদের জন্য জায়গা বাড়ানো হয়েছে তা অনেক ভাল উদ্যোগ। তবে সংরক্ষণের পরিমানটা আরও একটু বাড়ালে ভাল হতো। আলু ব্যবসায়ী মুকুল হোসেন বলেন, আলু সংরক্ষণ করার জন্য এসেছিলাম।কিন্তু এসে শুনি কৃষকদের আলু আগে নেওয়া হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমাদের তো কিছুটা সমস্যা হবেই। হিমাগারের ম্যানেজার সুপন বড়ুয়া বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য চলতি মৌসুমে ৮০% কৃষক ও ২০% ব্যবসায়ীদের বীজ আলু সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া ভাড়ার রেটও অন্যান্য হিমাগারের চেয়ে কিছুটা কম। এতে করে কৃষকরা অনেকটা উপকৃত হবে বলে মনে করছি।