এন এম নুরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও বালিয়াডাঙ্গী বণিক সমিতির সভাপতি ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েল দলের সকল নেতা-কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
বর্তমানে তিনি বালিয়াডাঙ্গী চারণ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির পরিচালক, বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, উপজেলা ত্রুীড়া সংস্থা, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির, বালিয়াডাঙ্গী কেন্দ্রীয় ঈদগাহের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ‘বিএনপির’ প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট মেজর জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। তিনি একজন সৎ, স্পষ্টবাদী বিএনপির রাজনৈতিক নেতা হওয়ায় তৃর্ণমূল থেকে উপজেলা পার্যায়ে রাজনৈতিক সমর্থিত কর্মীরা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সদস্যরা,বালিয়াডাঙ্গী বাজার বণিক সমিতির ব্যাবসায়ীগণ তাকে একাধিকবার নেতা হিসেবে নির্বাচিত করে এসেছেন। এর আগে তিনি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিয়াডাঙ্গী বাজারের বণিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসে। বর্তমানে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বিভিন্ন সামাজিক, ও সেচ্ছা সেবক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
১৬ বছর আগে আওয়ামীলীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর একটি ত্রুুচর্কী মহলের গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে বালিয়াডাঙ্গী বাজার বণিক সমিতির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে তৎকালিন সময়ের আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও বড়বাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আকরাাম আলী নিজেই দায়িত্ব নেয়।
৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বালিয়াডাঙ্গী বাজার বণিক সমিতির ব্যাবসায়ীরা জরুরী সভা ডেকে পূর্বের স্ব-ঘষিত পকেট কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা দেয়। সেই নির্বাচনে বালিয়াডাঙ্গী বাজারের বণিক সমিতির ব্যাবসায়ীদের স্বতঃস্ফূর্ত কন্ঠভোট প্রদানের মাধ্যমে আবারো ডাক্তার তোফাজ্জল হোসেন তোফায়েলকে সভাপতি নির্বাচিত করেন।
তিনি দায়িত্ব পালনকালে বালিয়াডাঙ্গী বাজারের পানি নিস্কাশনে ডেনেজ ব্যবস্থা, লাইটিং, নৈশ প্রহরী নিযুক্ত,পরিস্কার পরিছন্ন কর্মী নিযুক্ত করেন। বর্তমানে বালিয়াডাঙ্গী বাজার এখন মডেল হিসেবে গণ্য।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামীলীগের দুঃশাসনের আমলে তিনি বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সকল আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচীতে রাজপথে ঝাপিয়ে পড়ে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকা পালন করেছেন।
শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক জীবনে তিনি কোনদিন বিরোধী দলের অপশক্তির কাছে মাথা নত করেননি। তিনি বিএনপির একজন নিবেদিত রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে, তিনি একজন চিকিৎসক, কন্ঠ শিল্পী ও অভিনেতা এবং কবিতা লেখক আবৃত্তিকারক, উপস্থাপক, লেখকও বটে। তিনি এলাকার অসহায় দুস্থ,ছিন্নমূল মানুষের কল্যাণে নিরলস ভাবে তাদের পাশে থেকে সহযোগীতার হাত বাড়ি দিয়ে আসায়
এলাকার মানুষের নিকট ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এলাকাবাসীর দাবী, আগমীতে বালিয়াডাঙ্গী পৌরসভা ঘোষণা করা হউক এবং তাকে আগামীতে এলাকার মানুষ জনপ্রতিনিধি হিসেবে পৌরসভার অভিভাবক হিসেবে দেখতে চান।