দেবীগঞ্জে সাংবাদিক লালনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ।

- আপডেট সময় : ০৩:৪৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১০ বার পড়া হয়েছে

দেবীগঞ্জ প্রতিনিধি ।,
দেবীগঞ্জে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় পৌর শহরের বিজয় চত্বর সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়েতে ‘দেবীগঞ্জের সর্বস্তরের সাধারণ নাগরিক’ ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেন আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রায় দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ। তাঁরা মামলাগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক লালন সরকার আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে গত ৮ এপ্রিল পঞ্চগড় আদালতে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। অপর দুই আসামী হলেন শাকিল ইসলাম ও হালিম।
এক মামলায় দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান অভিযোগ করেন, লালন তার বিরুদ্ধে আশ্রয়নের ঘর ও জমি বিক্রির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন এবং সংবাদ না করার শর্তে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্য মামলায় হালিম নামে একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার সূত্র ধরে সাংবাদিক লালনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনা হয়।
সাংবাদিক লালন মানববন্ধনে বলেন, “একই নারীর ভিডিও একাধিক ব্যক্তি পোস্ট করলেও মামলা হয়েছে শুধু আমার বিরুদ্ধে। ইউপি সদস্যের ঘটনায়ও মামলা করা হয়েছে দুই মাস পর। এটা থেকেই স্পষ্ট যে মামলা দুটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
মামলার আরেক আসামী শাকিল ইসলাম বলেন, “মেম্বারের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সরব থাকায় আমাকে হয়রানি করতে মামলায় জড়ানো হয়েছে।”
মামলার স্বাক্ষী ইউসুফ আলী জানান, “আমি কিছুই জানি না। কে আমাকে স্বাক্ষী করেছে তাও জানতাম না।”
ইউপি সদস্যের মামলার আরেক স্বাক্ষী হেলাল ও প্রথম স্বাক্ষী কদমও জানান, তাঁরা মামলার বিষয় সম্পর্কে আগে কিছুই জানতেন না।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান বলেন, “সাংবাদিক লালন আমার কাছে চাঁদা চেয়েছে, এটাই সত্য। মামলার স্বাক্ষীরা অভিযুক্তের পরিবারের সদস্য। ইউসুফ ফেসবুকে ভিডিও দেখিয়েছিলেন, তাই তাঁকে সাক্ষী করা হয়েছে, যদিও আগে জানানো হয়নি।”
মানববন্ধনে বক্তারা মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরপেক্ষ বিচার দাবি করেন।