ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রকাশিত
পঞ্চগড় সীমান্তে ১১ বাংলাদেশি আটক, দেবীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাসহ দুইজন গ্রেপ্তার পঞ্চগড়ে গলায় ফাস দিয়ে বিমল হাসতা নামে এক উপজাতির আত্মহত্যা, দেবীগঞ্জে ১০৮ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে  সেবা গৃহীতাদের ফুলের শুভেচ্ছা   ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে স্কাউটস এর মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত দেবীগঞ্জে মাদক সেবনকালে যুবক আটক, ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩ মাসের কারাদণ্ড! ১০শতক জমিতে বরবটি চাষ করে সফল মনির হোসেন দিনে আয় ৫০০-৫৫০ টাকা, মৌসুমে লক্ষ টাকার লাভের আশা নিউরন নার্সিং ঠাকুরগাঁও শাখার সমাপনী ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

আমরা নিজেদের স্বার্থে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি করছি- ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১০০ বার পড়া হয়েছে

এন এম নুরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের ভাগ করেছি। এই ভাগ করাটাই হচ্ছে ভয়ানক। অথচ দেখেন যুগের পর যুগ আমরা একসাথে বাস করে আসছি। কেউ বিপদে পড়লে আমরা একে অপরের সাথে মিশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নের লক্ষীর হাটে হিন্দু সম্প্রদায়দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নিজেদের একটা বিচার বিবেচনা আছে। জনগনের কাছে যাকে ভালো লাগবে সে তাকে ভোট দিবে। কিন্তু ভোট দেওয়ার জায়টাটি তো তারা রাখেনি। গত ১৫ বছর ধরে আমরা ভোট দিতে পারি নি। এই দেশটা আমাদের। আমরা ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা নয় বরং পরিবারের তাগিদে আমাদের এই দেশেই বাঁচতে হবে। মরলে এই দেশেই মরতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা এখানেই বড় হবে, এখানেই লেখাপড়া শিখবে। এখানে কেন আমরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করবো! নিজেদের মধ্যে যেদিন আমরা লড়াই বন্ধ করতে পারবো সেদিন আমরা সঠিক স্থান খুঁজে পাব। তা না হলে এই ঝগড়া চলতেই থাকবে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের কোন উন্নতি ঘটবে না।

শেষ হাসিনাকে নিয়ে তিনি বলেন, আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি হাসিনা দেশ থেকে পালাবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা বিচার থাকে। তিনি বিচার করেছেন, এতো পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী থাকা সত্ত্বেও কেউ তার পাশে দাড়ালো না। তাকে দৌড়ায় লুকিয়ে এই দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। কেন? কারণ তিনি এমন কাজ করেছেন যে, এই দেশে থাকার মতো কোন পথ ছিল না। চারদিক থেকে মানুষ আর মানুষ। তাদের একটাই লক্ষ ছিল গণভবন আর ওই শেষ হাসিনা।

হিন্দু মুসলমানদের বিভেদ নিয়ে ফখরুল বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত হওয়ার আগে কেউ চিন্তা করেনি হিন্দু মুসলমান ভাগ হবে বা আলাদা দেশ হবে। যারা উপর মহলে বসে আছে তারা এই বিভেদ তৈরি করছে। তারা চিন্তা করে কিভাবে বিভেদ তৈরি করা যায়। এজন্য তারা হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে গোলযোগ লাগিয়ে তাদের ফায়দা হাছিল করে।

মিথ্যা মামলা নিয়ে মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের জর্জরিত করেছিল। যেভাবে আমাদের ভাইদের বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেল হাযত খাটিয়েছিল। আমরা চাইনা আর এ ধরনের মিথ্যা মামলা হোক। আমরা ন্যায্য ও সুবিচার চাই। আমরা মাথার উপর একটা ভালো ছায়া বা আশ্রয় চাই। আমরা কৃষকেরা ভালো সেচ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ফসলের ন্যায্যমূল্য চাই। এই ব্যবস্থাটা আমরা করবো।

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলতে চাচ্ছি যেন একটা অবাধ নির্বাচন হয় যে নির্বাচনে জনগনের ভোটে সরকার গঠন করতে পারি। যে সরকার হবে জনগনের সরকার। আমরা আমাদের সুখ দুঃখের কথা যেন সেই সরকারকে বলতে পারি এবং তারা আমাদের সাহায্য করবে।

পরিশেষে হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টানসহ সকলের কাছে অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, আসুন আমরা নিজেদের মধ্যে কোন বিভাজন সৃষ্টি না করি। আমরা সবাই এক হই, একটা লক্ষ্যে যে আমরা দেশটাকে গড়ে তুলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো। আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দিব। কিন্তু গত ১৫ বছরে যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে আমার ভোট আমি দিব তোমার ভোটও আমি দিব। এটা যেন না হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, সদর উপজেলা বিএনপির্ সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আমরা নিজেদের স্বার্থে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি করছি- ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

এন এম নুরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের ভাগ করেছি। এই ভাগ করাটাই হচ্ছে ভয়ানক। অথচ দেখেন যুগের পর যুগ আমরা একসাথে বাস করে আসছি। কেউ বিপদে পড়লে আমরা একে অপরের সাথে মিশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নের লক্ষীর হাটে হিন্দু সম্প্রদায়দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নিজেদের একটা বিচার বিবেচনা আছে। জনগনের কাছে যাকে ভালো লাগবে সে তাকে ভোট দিবে। কিন্তু ভোট দেওয়ার জায়টাটি তো তারা রাখেনি। গত ১৫ বছর ধরে আমরা ভোট দিতে পারি নি। এই দেশটা আমাদের। আমরা ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা নয় বরং পরিবারের তাগিদে আমাদের এই দেশেই বাঁচতে হবে। মরলে এই দেশেই মরতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা এখানেই বড় হবে, এখানেই লেখাপড়া শিখবে। এখানে কেন আমরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করবো! নিজেদের মধ্যে যেদিন আমরা লড়াই বন্ধ করতে পারবো সেদিন আমরা সঠিক স্থান খুঁজে পাব। তা না হলে এই ঝগড়া চলতেই থাকবে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের কোন উন্নতি ঘটবে না।

শেষ হাসিনাকে নিয়ে তিনি বলেন, আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি হাসিনা দেশ থেকে পালাবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে একটা বিচার থাকে। তিনি বিচার করেছেন, এতো পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী থাকা সত্ত্বেও কেউ তার পাশে দাড়ালো না। তাকে দৌড়ায় লুকিয়ে এই দেশ থেকে পালাতে হয়েছে। কেন? কারণ তিনি এমন কাজ করেছেন যে, এই দেশে থাকার মতো কোন পথ ছিল না। চারদিক থেকে মানুষ আর মানুষ। তাদের একটাই লক্ষ ছিল গণভবন আর ওই শেষ হাসিনা।

হিন্দু মুসলমানদের বিভেদ নিয়ে ফখরুল বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান ও ভারত হওয়ার আগে কেউ চিন্তা করেনি হিন্দু মুসলমান ভাগ হবে বা আলাদা দেশ হবে। যারা উপর মহলে বসে আছে তারা এই বিভেদ তৈরি করছে। তারা চিন্তা করে কিভাবে বিভেদ তৈরি করা যায়। এজন্য তারা হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে গোলযোগ লাগিয়ে তাদের ফায়দা হাছিল করে।

মিথ্যা মামলা নিয়ে মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের জর্জরিত করেছিল। যেভাবে আমাদের ভাইদের বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেল হাযত খাটিয়েছিল। আমরা চাইনা আর এ ধরনের মিথ্যা মামলা হোক। আমরা ন্যায্য ও সুবিচার চাই। আমরা মাথার উপর একটা ভালো ছায়া বা আশ্রয় চাই। আমরা কৃষকেরা ভালো সেচ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ফসলের ন্যায্যমূল্য চাই। এই ব্যবস্থাটা আমরা করবো।

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলতে চাচ্ছি যেন একটা অবাধ নির্বাচন হয় যে নির্বাচনে জনগনের ভোটে সরকার গঠন করতে পারি। যে সরকার হবে জনগনের সরকার। আমরা আমাদের সুখ দুঃখের কথা যেন সেই সরকারকে বলতে পারি এবং তারা আমাদের সাহায্য করবে।

পরিশেষে হিন্দু মুসলমান খ্রিস্টানসহ সকলের কাছে অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, আসুন আমরা নিজেদের মধ্যে কোন বিভাজন সৃষ্টি না করি। আমরা সবাই এক হই, একটা লক্ষ্যে যে আমরা দেশটাকে গড়ে তুলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো। আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দিব। কিন্তু গত ১৫ বছরে যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে আমার ভোট আমি দিব তোমার ভোটও আমি দিব। এটা যেন না হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, সদর উপজেলা বিএনপির্ সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।