রেজাউল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি।

শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং গুণগত শিক্ষাকে সহজ ও সবার জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষে ‘অভিভাবক মতবিনিময় সভা’ করেছে বেসরকারি সংস্থা আশা। আজ বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দিনবাজার উচ্চ বিদ্যালয় পাঠদান কেন্দ্রে পরিচালিত শিক্ষা কার্যক্রমের অর্ন্তভুক্ত ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশা দেবীগঞ্জ অঞ্চলের অঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিতেন্দ্র নাথ রায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন আশা- পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার শিক্ষা অফিসার মোঃ সামিরুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল মালেক আশা পাঠদান কেন্দ্রের কার্যকারী ভুমিকা সম্পর্কে তুলে ধরেন ও কৃতজ্ঞতা জানান। শিক্ষা অফিসার সামিরুল ইসলাম বলেন, আশা শিক্ষা কর্মসূচি সারাদেশে সুবিধা বঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে থেকে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া রোধে ও শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিত করতে এই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক হিতেন্দ্র নাথ বলেন, আশা শিক্ষা কর্মসূচীর মাধ্যমে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদের শিক্ষার মান উন্নয়নের কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা চাই আপনারা আপনাদের সন্তানদের নিয়মিত বিদ্যালয়ের পাশাপাশি পাঠদান কেন্দ্রে পাঠাবেন। এসময় আশা টেপ্রীগঞ্জ ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ রবিউল ইসলাম উপস্থিতি ছিলেন। আশা টেপ্রীগঞ্জ ব্রাঞ্চের শিক্ষা সুপারভাইজার মোঃ রুহুল আমিন অভিভাবকদের মধ্যে বাল্য বিবাহ, মাদক ও বিভিন্ন সচেতনা মূলক বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত বক্তারা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উন্নতিতে আশা’র দেশব্যাপী কার্যক্রম, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতকরণে করণীয়, আশা-শিক্ষা কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, বাড়িতে শিক্ষার্থীদের যত্ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে অবিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় উপস্থিত অভিভাবকরা আশা-শিক্ষা কর্মসূচির উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ দেন এবং তারা এই কর্মসূচীর মাধ্যমে সুফল পাচ্ছেন তা ব্যক্ত করেন। সভায় মাড়েয়া ও কালিগঞ্জ ব্রাঞ্চের শিক্ষা সুপারভাইজার দীননাথ অধিকারী ও সুজন রায় এবং বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন সহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, সারা দেশে আশা শিক্ষা কর্মসূচি’ মোট ১ হাজার ৫০টি ব্রাঞ্চে ১ হাজার ৫০ জন শিক্ষা সুপারভাইজার ও ১৫ হাজার ৬১২ জন শিক্ষা সেবিকা নিয়ে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ ঝরে পড়া রোধে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৬৪ জেলায় তাদের ৬৪টি মাধ্যমিক স্কুলে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সভায় মূল্যায়ন পরীক্ষায় ১ম ও ২য় স্থানপ্রাপ্ত ৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।