ঢাকা ০১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রকাশিত
কৃষি সমৃদ্ধি রবি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সূর্যমুখী ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের বরগুনায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত  শাপলা কুঁড়ি ট্রফি ২০২৫ বরগুনার বেতাগীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত  নবাবগঞ্জে স্কুলছাত্র অপহরণের পর দোহারে ৫ অপহরণকারী আটক ওপেন চ্যালেঞ্জে গাঁজা বিক্রি! ইউএনও কাছে অভিযোগ  ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাইপাস বাতিলের দাবীতে মাধবদীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল দোহারে রাতের আধারে গাইড ওয়াল ভাংচুরের অভিযোগ পীরগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব  ঠাকুরগাঁওয়ে আমান গ্রুপের পক্ষ হতে শীতবস্ত্র বিতরণ বেতাগী উপজেলায় নবনির্বাচিত কৃষকদল নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা

তেঁতুলিয়ায় পাথর উত্তোলন এখন সময়ের দাবি 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পঞ্চগড়।।

পঞ্চগড়ে’র তেঁতুলিয়া উপজেলার মাটির নিচে থাকা পাথর পুনরায় সনাতন পদ্ধতিতে উত্তোলন করার অনুমতি চায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় পাথর উত্তোলনের ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় হাজার হাজার মানুষের।

কিন্তু সময়ের ব্যবধানে হটাৎ করে আবির্ভাব হয় অবৈধ ড্রেজার মেশিনের। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মনে। কেননা এই ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের ফলে অনেক শ্রমিক বেকার হতে শুরু করে। পরবর্তীতে হটাৎ করে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে তৎকালিন সরকার। এবং বেড়ে যায় ভারত ভুটান থেকে পাথর আমদানি ও এর দাম। প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার পাথর আমদানি করা হচ্ছে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে। এতে একদিকে কর্মহীন হয়েছে হাজার হাজার শ্রমিক, অপরদিকে ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে দেশের অর্থনীতিতে। স্থানীয়রা জানান, হটাৎ করে পাথর উত্তোলন বন্ধ হওয়ায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক মানুষ। সীমান্তে চোরাচালান সহ এলাকায় অপরাধ মুলক কর্মকান্ড কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করলে সামান্য জমি নষ্ট হলেও পাথর উত্তোলনের পর সেগুলো পুনরায় চাষাবাদ করা যায়। আর এই পাথর আমাদের দেশের সম্পদ। পূর্বের ন্যায় সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করলে এখন আর হাজার নয় বরং লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। স্থানীয়রা আরো জানান, ভারতকে আর্থিক ভাবে সুবিধা দিতে কৌশলে এই পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। কিছু লোকজন আছে যারা কৌশলে পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই সমস্ত এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারীদের প্রতিহত করে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চায় স্থানীয় সকলেই। এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফজলে রাব্বী বলেন, এই এলাকার মানুষ যুগ যুগ ধরে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তারা সকলেই চায় সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করতে। সাধারণ মানুষের চাওয়াগুলোই আমাদের চাওয়া। এই বিষয়টি বিবেচনা করে জনসাধারণের স্বার্থে বর্তমান জেলা প্রশাসক ইতিমধ্যে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতির জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত অনুমতির জন্য সাধারণ মানুষের সাথে আমরাও আশাবাদী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তেঁতুলিয়ায় পাথর উত্তোলন এখন সময়ের দাবি 

আপডেট সময় : ০২:৩১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পঞ্চগড়।।

পঞ্চগড়ে’র তেঁতুলিয়া উপজেলার মাটির নিচে থাকা পাথর পুনরায় সনাতন পদ্ধতিতে উত্তোলন করার অনুমতি চায় স্থানীয় সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় পাথর উত্তোলনের ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় হাজার হাজার মানুষের।

কিন্তু সময়ের ব্যবধানে হটাৎ করে আবির্ভাব হয় অবৈধ ড্রেজার মেশিনের। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সাধারণ মানুষের মনে। কেননা এই ড্রেজার মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলনের ফলে অনেক শ্রমিক বেকার হতে শুরু করে। পরবর্তীতে হটাৎ করে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে তৎকালিন সরকার। এবং বেড়ে যায় ভারত ভুটান থেকে পাথর আমদানি ও এর দাম। প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকার পাথর আমদানি করা হচ্ছে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে। এতে একদিকে কর্মহীন হয়েছে হাজার হাজার শ্রমিক, অপরদিকে ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে দেশের অর্থনীতিতে। স্থানীয়রা জানান, হটাৎ করে পাথর উত্তোলন বন্ধ হওয়ায় আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক মানুষ। সীমান্তে চোরাচালান সহ এলাকায় অপরাধ মুলক কর্মকান্ড কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করলে সামান্য জমি নষ্ট হলেও পাথর উত্তোলনের পর সেগুলো পুনরায় চাষাবাদ করা যায়। আর এই পাথর আমাদের দেশের সম্পদ। পূর্বের ন্যায় সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করলে এখন আর হাজার নয় বরং লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। স্থানীয়রা আরো জানান, ভারতকে আর্থিক ভাবে সুবিধা দিতে কৌশলে এই পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। কিছু লোকজন আছে যারা কৌশলে পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। এই সমস্ত এজেন্ডা বাস্তবায়ন কারীদের প্রতিহত করে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চায় স্থানীয় সকলেই। এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফজলে রাব্বী বলেন, এই এলাকার মানুষ যুগ যুগ ধরে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তারা সকলেই চায় সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করতে। সাধারণ মানুষের চাওয়াগুলোই আমাদের চাওয়া। এই বিষয়টি বিবেচনা করে জনসাধারণের স্বার্থে বর্তমান জেলা প্রশাসক ইতিমধ্যে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের অনুমতির জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত অনুমতির জন্য সাধারণ মানুষের সাথে আমরাও আশাবাদী।