বরগুনার আমতলী থানা পুলিশ কর্তৃক ১৪ টি চোরাই গরুসহ আসামী গ্রেফতারের চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং
- আপডেট সময় : ০৮:১৫:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
সোহরাব বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনা জেলা পুলিশ মাদক, সন্ত্রাস, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অদ্য ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রি. সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় আমতলী থানায় বরগুনা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো: ইব্রাহিম খলিল সভাপত্বিতে বরগুনা জেলার সকল সাংবাদিকবৃন্দদের সাথে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
গত ইং ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ দিবাগত রাত্র অথাৎ ইং ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০১:০৫ ঘটিকা হইতে একই তারিখ ভোর অনুমান ০৪.৩৫ ঘটিকার মধ্যে বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন ০৬নং আমতলী সদর ইউনিয়নের অর্ন্তগত ০১নং ওয়ার্ডস্থ দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী সাকিনের জনৈক মোঃ লুৎফর হাওলাদার (৭০) এর বসত বাড়ীর গোয়াল ঘর হতে ০৪ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির ঘটনাটি অফিসার ইনচার্জ, আমতলী থানা আমাকে জানালে আমি মামলা গ্রহণ পূর্বক তাৎক্ষণিকভাবে চোরাই মাল উদ্ধার এবং চোর সনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য নির্দেশনা প্রদান করি।
আলোচিত চুরি ঘটনার পর পরই আমার দিক নিদের্শনার প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জ, আমতলী এবং আমতলী থানার চৌকস অফিসার-ফোর্সগণ তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্স ব্যবহার করে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে একই তারিখ অথাৎ ইং ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ ভোর ০৫.৩৫ ঘটিকার সময় আমতলী থানাধীন আঠারগাছিয়া চাউলা বাজার হতে চোরসহ চুরি হওয়া ০৪ টি গরু উদ্ধার করে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমতলী থানা ও পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামীর দেয়া তথ্য ও দেখানো মতে আরোও ১০ টি চোরাই গরু উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ১৪ টি চোরাই গরুর বাজার মূল্য অনুমান ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা । গ্রেফতারকৃত আসামী আন্তঃজেলা গরু চোর দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায় এবং তার বিরুদ্ধে বরগুনাসহ অন্যান্য জেলায় একাধিক চুরির মামলা রয়েছে। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে, সে প্রেক্ষিতে আমতলী থানা এলাকায় চেকপোস্টসহ টহল নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মোঃ লুৎফর হাওলাদার (৭০) অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে বরগুনা জেলার আমতলী থানায় হাজির হয়ে একখানা এজাহার দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বরগুনা জেলার আমতলী থানার মামলা নং-০২, জিআর-২২৪/২০২৪, তাং-০১ ডিসেম্বর ২৪, ধারা- ৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড রূজু হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী লিটন ঢালী (৩৭), পিতা-সামসু ঢালী, মাতা-আনোয়ারা বেগম, সাং-নন্দিপাড়া, ডাকঘর-বোতল বুনিয়া, এ/পি-সাং-মাঝগ্রাম, বিসিক পটুয়াখালী, থানা-পটুয়াখালী সদর, জেলা-পটুয়াখালী। তার বিরুদ্ধে বিএমপি কোতয়ালী থানার মামলা নং-১০৪, জিআর-৯৯৫/২০১৯ তাং-২৮/১০/২০১৯ ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড। আমতলী থানার মামলা নং-১৫, জিআর-১৫/২০২২ তাং-২৪/০১/২০২২ ধারা-৩৭৯ পেনাল কোড রুজু আছে। সর্বমোট ০৩ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আমতলী থানা পুলিশের অভিযান এখনো চলমান আছে ।
প্রেস ব্রিফিংয়ের উপসংহারে জনাব মো: ইব্রাহিম খলিল, পুলিশ সুপার, বরগুনা মহোদয় উপস্থিত সাংবাদিকগনের মাধ্যমে বরগুনা জেলার সর্বস্তরের জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, সমাজে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে বরগুনা জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে যেকোনো অপরাধ নির্মূলে বদ্ধপরিকর। এ সময় আরো অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জনাব মোঃ জহুরুল ইসলাম হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব মোঃ আবদুল হালিম, সহকারী পুলিশ সুপার, (আমতলী সার্কেল) জনাব মোঃ রুহুল আমিনসহ বরগুনা জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।