ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রকাশিত
ঠাকুরগাঁও ২ আসনে গণসংযোগে গণ অধিকার পরিষদের ফারুক হাসান বালিয়াডাঙ্গীতে ‘WBS’ এর উদ্যোগে নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ  ঠাকুরগাঁওয়ে ‘সহায়’ সংগঠনের উদ্যােগে ৫ টাকায় লেপ বিতরণ। বরগুনা জেলা পুলিশের সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত জিয়াউর রহমানের আগমন ধূমকেতুর মতো”যেখানেই দাঁড়াবো, সেখানেই জিয়াকে খুঁজে পাবো-গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পঞ্চগড়ে জিয়াউর রহমানের ৮৯ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া পঞ্চগড়ে বিজ্ঞান মেলার শুভ উদ্বোধন বিশ্ব ইসলামী মহাসম্মেলন-২০২৫ উপলক্ষে পঞ্চগড়ে জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় মিশন ও আলোচনা সভা কৃষি সমৃদ্ধি রবি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সূর্যমুখী ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের বরগুনায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত  শাপলা কুঁড়ি ট্রফি ২০২৫ বরগুনার বেতাগীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ঘর উত্তোলন, বিচার চেয়ে অসহায় ভূক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার বিচার দাবী ও দোষীদের বিচার দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগীরা।

শনিবার (১১ জানুয়ারী) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুকুয়া আজিমপুর বাজারের একটি দোকানে বসে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী অসহায় বাবুল খান গংরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুকুয়া মৌজার মধ্যে আজিমপুর বাজার অবস্থিত। ওই বাজারের জে এল নং ১৫, খতিয়ান নং ১৭৩, দাগ নং ৪৩ এর ২২ শতক জমি নিয়ে একই এলাকার এছহাক মীর গং ও ইউনুছ খান গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস ব্যবস্থায় বিষয়টির কোন ফয়সালা না হওয়ায় ২০২১ সালে এছহাক মীর গংরা বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালতে (আমতলীর আদালত) ইউনুছ গংদের বিবাদী করে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলা নং ৭২২/২০২১। বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে মামলার বিবাদীরা (ইউনুছ গংরা) যাতে শান্তি-শৃঙখলা বজায় থাকে সেজন্য গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে ৯৪ ধারার বিধান মতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমতলী থানাকে নির্দেশ প্রদানের প্রার্থনা করে। বিজ্ঞ আদালত বিবাদী পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমতলী থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ১০ জানুয়ারী দেওয়ানী মামলার বাদী পক্ষ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে এছহাক মীর, শহিদুল মীর, শাহিন মীর, শামিম মীর উক্ত বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। তখন বিবাদী পক্ষ (ইউনুছ গংরা) বিষয়টি আমতলী থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনুছ খানের পুত্র বাবুল খান অভিযোগ করে বলেন, মামলার বাদী পক্ষ এছহাক মীর, শহিদুল মীর, শাহিন মীর, শামিম মীর দেশের কোন আইন কানুন না মেনে গায়ের জোরে আমাদের জমি দখল করতে চায়। বিরোধীয় ওই জমি নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও তারা শালিস বিচার ব্যবস্থা অমান্য করে দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে শুক্রবার আমাদের জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। আমরা বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি ভূমি দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ওই বিষয়ে মামলার বাদী পক্ষ এছহাক মীরের পুত্র শহিদুল মীর আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর উত্তোলনের বিষয় কোন কথা বলবেন না বলে জানান।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ পাঠিয়ে বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও বাদী পক্ষ আদালতের আইন অমান্য করলে কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ঘর উত্তোলন, বিচার চেয়ে অসহায় ভূক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০১:৩৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে জোরপূর্বক ঘর উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার বিচার দাবী ও দোষীদের বিচার দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগীরা।

শনিবার (১১ জানুয়ারী) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুকুয়া আজিমপুর বাজারের একটি দোকানে বসে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী অসহায় বাবুল খান গংরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুকুয়া মৌজার মধ্যে আজিমপুর বাজার অবস্থিত। ওই বাজারের জে এল নং ১৫, খতিয়ান নং ১৭৩, দাগ নং ৪৩ এর ২২ শতক জমি নিয়ে একই এলাকার এছহাক মীর গং ও ইউনুছ খান গংদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার শালিস ব্যবস্থায় বিষয়টির কোন ফয়সালা না হওয়ায় ২০২১ সালে এছহাক মীর গংরা বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালতে (আমতলীর আদালত) ইউনুছ গংদের বিবাদী করে একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। মামলা নং ৭২২/২০২১। বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে মামলার বিবাদীরা (ইউনুছ গংরা) যাতে শান্তি-শৃঙখলা বজায় থাকে সেজন্য গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে ৯৪ ধারার বিধান মতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমতলী থানাকে নির্দেশ প্রদানের প্রার্থনা করে। বিজ্ঞ আদালত বিবাদী পক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমতলী থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু ১০ জানুয়ারী দেওয়ানী মামলার বাদী পক্ষ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে এছহাক মীর, শহিদুল মীর, শাহিন মীর, শামিম মীর উক্ত বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। তখন বিবাদী পক্ষ (ইউনুছ গংরা) বিষয়টি আমতলী থানাকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনুছ খানের পুত্র বাবুল খান অভিযোগ করে বলেন, মামলার বাদী পক্ষ এছহাক মীর, শহিদুল মীর, শাহিন মীর, শামিম মীর দেশের কোন আইন কানুন না মেনে গায়ের জোরে আমাদের জমি দখল করতে চায়। বিরোধীয় ওই জমি নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও তারা শালিস বিচার ব্যবস্থা অমান্য করে দেশিয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে শুক্রবার আমাদের জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। আমরা বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে এসে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি ভূমি দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ওই বিষয়ে মামলার বাদী পক্ষ এছহাক মীরের পুত্র শহিদুল মীর আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর উত্তোলনের বিষয় কোন কথা বলবেন না বলে জানান।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ পাঠিয়ে বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও বাদী পক্ষ আদালতের আইন অমান্য করলে কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।