সাঁথিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কে নারী দিয়ে বদনামী করার অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৪:১৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩ ১২৭ বার পড়া হয়েছে

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাঁথিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা খোকন কে নারী দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। রবিবার (০৮ অক্টোবর) সোহেল রানা খোকন অসামাজিক কাজের সময় নারীসহ আটক এমন শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় কয়েকজন ব্যাক্তির সাথে খোকনের ধস্তাধস্তি হচ্ছে। এবং খোকনের কপাল বেয়ে রক্ত বের হচ্ছে ও বলছে তোরা আমার বদনাম করার চেষ্টা করছিস, এটা ভালো করছিস না।
ভুক্তভোগী সোহেল রানা খোকন পরদিন সাঁথিয়া থানায় পাঁচ জনকে আসামি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন যে গত ০৮/১০/২০২৩ তারিখ বিকাল ০৩.০০ ঘটিকার সময় সাঁথিয়া থানার উত্তর পাশে রুপালী ব্যাংকের নিচে বসেছিলাম। পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া আসামী ১। মোঃ মেহেদী হাসান রুবেল (৩৫), পিতা-মোঃ জামাল উদ্দিন, সাং-চকনন্দনপুর,২। মোঃ মেহেদী হাসান (২৮), পিতা-মোঃ সবুর শেখ, সাং-কোনাবাড়ীয়া, উভয় থানা-সাঁথিয়া,জেলা-পাবনা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করিতে থাকিলে আমি রুপালী ব্যাংকের নিচ হইতে দৌলতপুর নিজ বাড়ীতে চলিয়া যায়। একই তারিখ বিকাল ০৪.৩০ ঘটিকা সময় আমি সাঁথিয়া বাজারে আঃ লতিফের বিল্ডিং এর চারতলায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এর সহিত দেখা করিতে গেলে উপরোক্ত আসামীদ্বয়সহ ৩। মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩২), পিতা- মৃত আউয়ূব সুনিল, ৪। মোঃ মিজানুর রহমান মিলন (৩২), পিতা-মোঃ ইসলাম, উভয় সাং- সাং-সাঁথিয়া ফকিরপাড়া, ৫। মোঃ সেলিম হোসেন (৩৫), পিতা-মোঃ জামাল প্রাং, সাং-ভবানীপুর, সর্বথানা- সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাগণ হাতে চাপাতি, লোহার পাইপ, ধারালো লোহার বড় হাসুয়া ইত্যাদি মারাত্বক অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমাকে লতিফের বিল্ডিং এর ৪ তলায় ঘিরিয়া ধরে এবং আমার পথরোধ করিয়া ১নং আসামী রুবেলের হুকুমে সকল আসামী আমাকে এলোপাথাড়ী মারপিট করে। ১ নং আসামীর হাতে থাকা চাপাতি, দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারিলে আমি মাথা ডান দিকে কাত করিলে উক্ত কোপ আমার বাম চোখের উপরে লাগিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। অতপর ২নং আসামীর হাতে থাকা লোহার পাইপ দ্বারা আমার মাথা লক্ষ্য করিয়া আঘাত করিলে উক্ত আঘাত আমার মাথার বাম পাশে লাগিয়া গুরুর কাটা রক্তা জখম হয়। ৫ নং আসামীর হাতে থাকা লোহার হাতুর দ্বারা আমার কপালে আঘাত করিলে উক্ত আঘাত আমি বাম হাত দ্বারা ঠেকাইলে উক্ত আঘাত আমার কানে লাগিয়া রক্তাক্ত জখম হয় ও অপর একটি আঘাত বাম হাতের কুনুইর উপর লাগিয়া হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। ৩ নং আসামী সাদ্দাম এর হাতে থাকা পিছল এর বাট দ্বারা আমার মাথার বাম পাশে আঘাত করিয়া রক্তাক্ত জখম করে। আমি মাটিতে পড়িয়া গেলে ৩ ও ৪ নং আসামী আমার গলায় থাকা আট আনি ওজনের স্বর্ণের চেইন, মূল্য অনুমান ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এবং আমার পকেটে থাকা নগদ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে ছিনিয়া নেয়। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশ হইতে সাক্ষীগণ সহ অনেকে আগাইয়া আসিলে আসামীরা আমাকে খুন জখম ও ভয়ভীতির হুমকী দিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে সাক্ষীসহ আরও অনেকে আমাকে উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
খোকন আরো বলেন,আমার সাথে কথা-কাটাকাটি পর এই ঘটনা তারা ঘটায়। সাঁথিয়া বাসী একটি বিষয় আজ গুরুত্বের সাথে দেখছেন সেটি হলো সাঁথিয়ায় ঘটে যাওয়া সকল ঘটনায় এই সকল ব্যাক্তিরা জড়িত। সাঁথিয়া বাসী এদের শক্ত হাতে দমন করবে।