5:23 am, Sunday, 8 September 2024

পঞ্চগড়ের বোদায় ব্র্যাকস্কুলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষন, আটক হয়নি আসামী

প্রতিনিধির নাম

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের বোদায় ব্র্যাক স্কুলের ১২ বছরের শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করা হয়েছে। ওই কিশোরী বর্তমানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।  ঘটনাটি ঘটেছে ৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে। ওই দিনই বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলে ধর্ষনকারী বিটুলকে আটক করা হয়নি। তাকে আটক না করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।  থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সকাল ছয়টার সময় ওই কিশোরী স্থানীয় মসজিদের সকালে মক্তবে আরবী পড়ার জন্য গেলে তেতুলের মোড়ে যাওয়ার সময় বিটুল নামের এক ব্যক্তি সুলাইমান মিয়ার দরজা বিহীন দোকানের ভিতর নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। মোহাম্মদ বিটুল দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা এলাকার যুগির দুয়ার গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।  ওই মেয়ের বাবার নাম মোহাম্মদ হেলাল। তার বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পশ্চিম টোকরাভাষায়। ওই কিশোরী স্থানীয় এক ব্র্যাক স্কুলে পড়াশোনা করতো।   বিটুল নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটি মসজিদে যাওয়ার সময় তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে তার পরনের কাপড় খুলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। কান্নাকাটি করলেও তাকে ছেড়ে দেয়নি। পরে মেয়েটি বাড়িতে এসে তার মায়ের কাছে কান্নাকাটি করে ঘটনার বিস্তারিত বলেন। মেয়ের মা সাহিদা খাতুন মেয়ের ধর্ষনের ঘটনা শুনার পর সে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে সাজু ইসলাম ও সুজন ইসলাম ও মুস্তাফা এগিয়ে আসে।  পরে মেয়েটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান অবস্থার থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।  কিশোরীটি বর্তমানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  মেয়ের বাবা মোহাম্মদ হেলাল জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে মসজিদে কোরআন পড়তে যাওয়ার সময় পশ্চিম টোকরাভাষা এলাকার বিটুল নামের ওই ব্যক্তি সুলাইমান মিয়ার দোকানে নিয়ে গিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। আমি বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি  আরও বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষনকারী বিটুলের ফাঁসি চাই।  বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, মামলা এজাহারভুক্ত হয়েছে। আসামী আটক করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আসামী পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা। আমরা আশাবাদী দ্রুত আসামীকে গ্রেফতার করতে পারবো।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 05:27:15 pm, Monday, 15 July 2024
71 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

পঞ্চগড়ের বোদায় ব্র্যাকস্কুলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষন, আটক হয়নি আসামী

আপডেট সময় : 05:27:15 pm, Monday, 15 July 2024

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের বোদায় ব্র্যাক স্কুলের ১২ বছরের শিক্ষার্থীকে ধর্ষন করা হয়েছে। ওই কিশোরী বর্তমানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।  ঘটনাটি ঘটেছে ৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে। ওই দিনই বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলে ধর্ষনকারী বিটুলকে আটক করা হয়নি। তাকে আটক না করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।  থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সকাল ছয়টার সময় ওই কিশোরী স্থানীয় মসজিদের সকালে মক্তবে আরবী পড়ার জন্য গেলে তেতুলের মোড়ে যাওয়ার সময় বিটুল নামের এক ব্যক্তি সুলাইমান মিয়ার দরজা বিহীন দোকানের ভিতর নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। মোহাম্মদ বিটুল দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা এলাকার যুগির দুয়ার গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।  ওই মেয়ের বাবার নাম মোহাম্মদ হেলাল। তার বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পশ্চিম টোকরাভাষায়। ওই কিশোরী স্থানীয় এক ব্র্যাক স্কুলে পড়াশোনা করতো।   বিটুল নামের ওই ব্যক্তি মেয়েটি মসজিদে যাওয়ার সময় তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে তার পরনের কাপড় খুলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। কান্নাকাটি করলেও তাকে ছেড়ে দেয়নি। পরে মেয়েটি বাড়িতে এসে তার মায়ের কাছে কান্নাকাটি করে ঘটনার বিস্তারিত বলেন। মেয়ের মা সাহিদা খাতুন মেয়ের ধর্ষনের ঘটনা শুনার পর সে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে সাজু ইসলাম ও সুজন ইসলাম ও মুস্তাফা এগিয়ে আসে।  পরে মেয়েটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান অবস্থার থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।  কিশোরীটি বর্তমানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  মেয়ের বাবা মোহাম্মদ হেলাল জানান, আমার মেয়ে প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালে মসজিদে কোরআন পড়তে যাওয়ার সময় পশ্চিম টোকরাভাষা এলাকার বিটুল নামের ওই ব্যক্তি সুলাইমান মিয়ার দোকানে নিয়ে গিয়ে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। আমি বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি  আরও বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষনকারী বিটুলের ফাঁসি চাই।  বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, মামলা এজাহারভুক্ত হয়েছে। আসামী আটক করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আসামী পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা। আমরা আশাবাদী দ্রুত আসামীকে গ্রেফতার করতে পারবো।