12:50 am, Tuesday, 17 September 2024

অবশেষে পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে

প্রতিনিধির নাম

পীরগঞ্জ প্রতিনিধি :

অবশেষে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ পুরাতন ভবনের নিয়ন্ত্রন নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ভবনের দখল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার মধ্যে বিরোধ চরমে পৌছলে রবিবার বিকালে এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। ভবনের বারান্দার গ্রীলে ইউনিয়ন পরিষদের ঝুলানো তালা ভেঙ্গে দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালা ঝুলানো হয়। পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলেসুর রহমান চৌধুরী জানান, ১৯৮৯ সালে ৬নং পীরগঞ্জ এবং ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে পীরগঞ্জ পৌরসভা গঠন করা হয়। সে সময় শহরের শহিদ আবু ইসাহাক সড়কে অবস্থিত পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের একটি ভবনে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করেন পৌর কতৃপক্ষ। বাকি অংশে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলে আসছিল। ২০০১ সালে শহরের গুয়াগ্ঁও এলাকায় নিজস্ব ভবনে পৌরসভার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হলেও ইউনিয়ন পরিষদের সেই ভবন ছেড়ে দেয়নি পৌর কতৃপক্ষ। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দলীয় পৌর মেয়র কশিরুল আলম তৎকালীন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহাবুর আলমকে হাত করে পুরো ইউনিয়ন পরিষদ দখল করে নেয়। এরপর থেকে অন্যত্র অস্থায়ী ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতন ও পরবর্তীতে মেয়রের অপসারন হলে ইউনিয়ন পরিষদের সেই পুরনো ভবন সহ পরিষদের অন্যান্য স্থাপনা নিজেদের দখলে নিতে ইউনিয়নবাসি রবিবার সকালে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়। তারা ভবনটি নিজেদের দখলে নিয়ে এর গেটে তালা দেন এবং পরিষদের প্রধান ফটকে ইউনিয়ন পরিষদের ব্যানার টেনে দেন। এদিকে পৌরসভার ভাড়াটিয়া হিসেবে ঐ ভবনে অবস্থানকারী মাতৃসেবা নামে ক্লিনিকের ভর্তি থাকা রোগীদের বের করে দিয়ে বিছানা ও অন্যান্য জিনিস পত্র বেরে করে রাস্তায় ফেলে দেয়া এবং ভবনে ভাংচুড় চালানোর অভিযোগ এনে উপজেলা প্রশাসনের কাছে নালিশ করেন পৌর কর্মচারী সহ ক্লিনিক মালিক আশরাফুল ইসলাম। এ অবস্থায় বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম সেনা বাহিনী ও পুলিশ সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মখলেসুর রহমানকে দিয়ে জনতার ঝুলানো তালা ভেঙ্গে দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম বলেন, পৌরসভার পুরাতন ভবন নিয়ে জটিতলার সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় তা আপাতত উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে নেওয়া হয়েছে। কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে আইন আনুযায়ী পরর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 09:05:33 pm, Sunday, 1 September 2024
45 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

অবশেষে পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে

আপডেট সময় : 09:05:33 pm, Sunday, 1 September 2024

পীরগঞ্জ প্রতিনিধি :

অবশেষে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ পুরাতন ভবনের নিয়ন্ত্রন নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ভবনের দখল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ এবং পৌরসভার মধ্যে বিরোধ চরমে পৌছলে রবিবার বিকালে এ সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। ভবনের বারান্দার গ্রীলে ইউনিয়ন পরিষদের ঝুলানো তালা ভেঙ্গে দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালা ঝুলানো হয়। পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলেসুর রহমান চৌধুরী জানান, ১৯৮৯ সালে ৬নং পীরগঞ্জ এবং ৮নং দৌলতপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ নিয়ে পীরগঞ্জ পৌরসভা গঠন করা হয়। সে সময় শহরের শহিদ আবু ইসাহাক সড়কে অবস্থিত পীরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের একটি ভবনে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করেন পৌর কতৃপক্ষ। বাকি অংশে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চলে আসছিল। ২০০১ সালে শহরের গুয়াগ্ঁও এলাকায় নিজস্ব ভবনে পৌরসভার দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হলেও ইউনিয়ন পরিষদের সেই ভবন ছেড়ে দেয়নি পৌর কতৃপক্ষ। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দলীয় পৌর মেয়র কশিরুল আলম তৎকালীন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহাবুর আলমকে হাত করে পুরো ইউনিয়ন পরিষদ দখল করে নেয়। এরপর থেকে অন্যত্র অস্থায়ী ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতন ও পরবর্তীতে মেয়রের অপসারন হলে ইউনিয়ন পরিষদের সেই পুরনো ভবন সহ পরিষদের অন্যান্য স্থাপনা নিজেদের দখলে নিতে ইউনিয়নবাসি রবিবার সকালে পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়। তারা ভবনটি নিজেদের দখলে নিয়ে এর গেটে তালা দেন এবং পরিষদের প্রধান ফটকে ইউনিয়ন পরিষদের ব্যানার টেনে দেন। এদিকে পৌরসভার ভাড়াটিয়া হিসেবে ঐ ভবনে অবস্থানকারী মাতৃসেবা নামে ক্লিনিকের ভর্তি থাকা রোগীদের বের করে দিয়ে বিছানা ও অন্যান্য জিনিস পত্র বেরে করে রাস্তায় ফেলে দেয়া এবং ভবনে ভাংচুড় চালানোর অভিযোগ এনে উপজেলা প্রশাসনের কাছে নালিশ করেন পৌর কর্মচারী সহ ক্লিনিক মালিক আশরাফুল ইসলাম। এ অবস্থায় বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম সেনা বাহিনী ও পুলিশ সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মখলেসুর রহমানকে দিয়ে জনতার ঝুলানো তালা ভেঙ্গে দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমিজ আলম বলেন, পৌরসভার পুরাতন ভবন নিয়ে জটিতলার সৃষ্টি হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় তা আপাতত উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে নেওয়া হয়েছে। কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে আইন আনুযায়ী পরর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।