পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে

পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি ।।
অবৈধ ভাবে নিয়োগ লাভের অভিযোগ এনে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহজালাল সাজু’র বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। রবিবার সকালে নাহিদ পারভীন রিপা নামে এক বিভাগীয় জয়িতা এ আবেদন করেন। আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয়, পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহজালাল (সাজু) একই বিদ্যালয়ে গত ১৯৯৫ সালের ৭ মার্চ সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তার নিয়োগকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক। প্রধান শিক্ষক ছিলেন মো. শাহজালাল (সাজু)’র পিতা লুৎফর রহমান। নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহজালাল সাজুর পিতা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান। নিয়মানুযায়ী নিয়োগ বোর্ডের কোন সদস্য তার নিকট আত্মীয়কে নিয়োগ দিতে পারেন না বা কোন চাকুরি প্রাথীর পিতা/নিকট আত্মীয় নিয়োগ বোর্ডে থাকতে পারবেন না। নিয়ম ভঙ্গ করে প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান নিজেই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সচিব থেকে তার পুত্র শাহজালাল সাজুকে সহকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। সুপারিশ মতে সাজু সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান এবং যোগ করেন। এদিকে ৫ সদস্যের নিয়োগ কমিটি থাকার নিয়ম থাকলেও তার নিয়োগের সময় নিয়োগ কমিটি করা হয় ৪ সদস্যের। যা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বিধি বর্হিভূত। এ নিয়ে সেই সময় অভিযোগ উঠলেও শাহজালাল সাজুর পিতা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থাকায় সাজুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। গত জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দেলন দমাতে শাহজালাল সাজু আওয়ামীলীগের হয়ে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এরপর থেকেই তার নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। আবেদন বিষয়ে নাহিদ পারভীন রিপা বলেন, সকল প্রকার দূর্নীতির বিচার হয়ো দরকার। সাজুর নিয়োগে দূর্নীতি হয়েছে। এর প্রতিকারের জন্য আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহজালাল সাজু জানায়, তিনি বৈধ ভাবেই নিয়োগ পেয়েছেন। তার পিতা নিয়োগ কমিটিতে ছিলেন না বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসফাকুল কবীর জানান, আবেদনটি ডাক ফাইলে হয়তো আছে। দেখে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।