ঢাকা ০২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রকাশিত
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মাটিকাটা ভেকুমেশিনের চাপায় যুবকের মৃত্যু সাউথ এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন আব্দুস সাত্তার মিলন  দেবীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক দুই শতাধিক এতিম শিশুর জন্য ইফতার ও সাহরির আয়োজন করলো বাংলাদেশ প্রতিদিন জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বোদা বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান মূল্য তালিকা না থাকায় ও অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় জরিমানা দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি এবং বিচারহীনতার প্রতিবাদে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল। ঠাকুরগাঁওয়ে ভূট্টা ক্ষেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, পলাতক স্বামী গাইবান্ধার প্রকৌশলীর গাড়িতে মিললো ৩৭ লাখ টাকা। পলাশবাড়ীতে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল

দোহারে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে তালা দিল বিক্ষুব্ধরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১১:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.

ঢাকার দোহার উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় দলিল দাতা ও গ্রহীতারা। মঙ্গলবার ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অনিয়মিত অফিস করা ও দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন না করে করেই চলে যাওয়ার কারনে এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। দলিল লেখক ও ভূক্তভোগীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে অফিসে দোহার উপজেলা সাব রেজিস্টার কর্মকর্তা আকলিমা ইয়াসমিন। বেলা ৩টার দিকে ১০টি দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন না করেই অফিস ত্যাগ করে চলে যায়। এ সময় দলিল লেখকরা তাকে দলিল সম্পন্ন করে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তাদের অনুরোধ না রেখে অফিস ত্যাগ করেন সাব রেজিস্টার। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় সাব রেজিস্টারের অফিসে। আকলিমা ইয়াসমিন খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অফিসে এসে তালা ঝুলানোয় দায়ীদের বিরোদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে দলিল দাতা গ্রহীতাদের অনুরোধে তালা খুলে দিলে অফিসে গিয়ে বসেন তিনি। নজরুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভুগি জানান, আমি অসুস্থ মানুষ। অসুস্থ শরীর নিয়ে সকাল ১১টার দিকে সাব রেজিস্টার অফিসে এসে টাকা পয়সা জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি রেজিস্ট্রির জন্য। কিন্তু দলিল রেজিস্ট্রি না করেই তিনি কোনো কারন ছাড়াই বেড়িয়ে যান। চরকুসাই এলাকার তাজু মোল্লা একজন দলিল গ্রহীতা হিসেবে সাব রেজিস্টার অফিসে আসার পর কাগজ পত্র রেডি করতে করতে দুপুর হয়ে যায়। কয়েকটি দলিল করেই তিনি চলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় অপেক্ষমান মানুষজন। এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জানান বাদল হোসেন মৃধা বলেন, সপ্তাহে ৩দিন অফিস করে সাব রেজিষ্ট্রার। সপ্তাহে ৫ দিন অফিস করার নির্দেশনা থাকলে তিনি সপ্তাহে ৩দিন অফিস করার কারনে ভোগান্তিতে পরেন অনেকেই। এ থেকে আমরা মুক্তি চাই। সমিতির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, সকাল থেকেই দলিল দাতা গ্রহীতা দলির সম্পাদনা করার জন্য এখানে আসেন। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার তিনি দলিল বাকি রেখেই চলে যাওয়ায় অফিসের স্টাফরা মিলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এব্যাপারে দোহার সাব রেজিস্ট্রার আকলিমা ইয়াসমিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু না বলেই দ্রুত বেড়িয়ে যান। এবিষয়ে জানতে ঢাকা জেলা সাব রেজিস্ট্রার মুনশী মোকলেছুর রহমানের মোবাইলে একাধিক ফোর দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দোহারে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে তালা দিল বিক্ষুব্ধরা

আপডেট সময় : ০৬:১১:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.

ঢাকার দোহার উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় দলিল দাতা ও গ্রহীতারা। মঙ্গলবার ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অনিয়মিত অফিস করা ও দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন না করে করেই চলে যাওয়ার কারনে এমন ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। দলিল লেখক ও ভূক্তভোগীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে অফিসে দোহার উপজেলা সাব রেজিস্টার কর্মকর্তা আকলিমা ইয়াসমিন। বেলা ৩টার দিকে ১০টি দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন না করেই অফিস ত্যাগ করে চলে যায়। এ সময় দলিল লেখকরা তাকে দলিল সম্পন্ন করে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তাদের অনুরোধ না রেখে অফিস ত্যাগ করেন সাব রেজিস্টার। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয় সাব রেজিস্টারের অফিসে। আকলিমা ইয়াসমিন খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক অফিসে এসে তালা ঝুলানোয় দায়ীদের বিরোদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে দলিল দাতা গ্রহীতাদের অনুরোধে তালা খুলে দিলে অফিসে গিয়ে বসেন তিনি। নজরুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভুগি জানান, আমি অসুস্থ মানুষ। অসুস্থ শরীর নিয়ে সকাল ১১টার দিকে সাব রেজিস্টার অফিসে এসে টাকা পয়সা জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি রেজিস্ট্রির জন্য। কিন্তু দলিল রেজিস্ট্রি না করেই তিনি কোনো কারন ছাড়াই বেড়িয়ে যান। চরকুসাই এলাকার তাজু মোল্লা একজন দলিল গ্রহীতা হিসেবে সাব রেজিস্টার অফিসে আসার পর কাগজ পত্র রেডি করতে করতে দুপুর হয়ে যায়। কয়েকটি দলিল করেই তিনি চলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় অপেক্ষমান মানুষজন। এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জানান বাদল হোসেন মৃধা বলেন, সপ্তাহে ৩দিন অফিস করে সাব রেজিষ্ট্রার। সপ্তাহে ৫ দিন অফিস করার নির্দেশনা থাকলে তিনি সপ্তাহে ৩দিন অফিস করার কারনে ভোগান্তিতে পরেন অনেকেই। এ থেকে আমরা মুক্তি চাই। সমিতির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, সকাল থেকেই দলিল দাতা গ্রহীতা দলির সম্পাদনা করার জন্য এখানে আসেন। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার তিনি দলিল বাকি রেখেই চলে যাওয়ায় অফিসের স্টাফরা মিলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এব্যাপারে দোহার সাব রেজিস্ট্রার আকলিমা ইয়াসমিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু না বলেই দ্রুত বেড়িয়ে যান। এবিষয়ে জানতে ঢাকা জেলা সাব রেজিস্ট্রার মুনশী মোকলেছুর রহমানের মোবাইলে একাধিক ফোর দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।