বরগুনা জেলা সংবাদদাতা:
বরগুনার আমতলীতে বিরোধীয় জমিজমা নিয়ে শালিস চলাকালীন প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে দুই সহোদর নাসির শিকদার (৪২), বশির শিকদার (৩৮) ও ইউসুফ (৩৬)। গুরুত্বর আহত নাসির শিকদারসহ আহত সকলেই পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে গুলিশাখালী মৌজার ৯৩৩ ও ৯৩৪নং দাগের ৫ একর ৭১ শতাংশ জমি সোবাহান শিকদারের পুত্র নাসির শিকদার গংরা ভোগ দখল করে আসছে। এছাড়া হাফেজ শিকদার, মফেজ শিকদার ও ইসমাইল শিকদারের কাছ থেকে ৩০.৫০ শতাংশ ভিটা ও বাড়ীর জমি ক্রয় করেন নাসির শিকদার গংরা। উল্লেখিত ওই জমি নিয়ে আফেজ শিকদারের পুত্র খাইরুল শিকদার, নূর ইসলাম শিকদার ও কাওসার শিকদারের সাথে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিরোধ ও দ্বন্দ চলে আসছে। ওই দ্বন্দ ও বিরোধ নিরসনে আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে কাটাখালী গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় উভয়পক্ষের মানিত শালিসদার ওয়াহার মুন্সী, সোবাহান মৃধা ও সোহরাব চৌকিদার বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে উপস্থিত শালিসদাররা উভয় পক্ষের জমির দলিলপত্র পর্যালোচনা করার সময় উভয় পক্ষ কথা কাটাকাটি ও অহেতুক ঝগড়ার জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ আফেজ শিকদারের পুত্র খাইরুল শিকদার, নূর ইসলাম শিকদার ও কাওসার শিকদার লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে নাসির শিকদারের উপড় হামলা চালিয়ে ও পিটিয়ে তার হাত ভেঙ্গে ফেলে ও মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে গুরুত্বর আহত করে। সংবাদ পেয়ে ও নাসিরের ডাক চিৎকার শুনে তার ভাই বশির ঘটনাস্থলে পৌছে ভাইকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাকেও তারা পিটিয়ে জখম করে। মারামারি ছাড়াতে গিয়ে আহত হয় ইউসুফ নামে আরো এক ব্যক্তি।
পরে স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রথমে আমতলী থানায় আসে। পরে সেখান থেকে তাদের পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই ভর্তি হয়ে তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গুরুত্বর আহত নাসির শিকদার বলেন, সালিশ বৈঠকে আমাদের প্রতিপক্ষ খাইরুল শিকদার ও তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলান চালিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। আমাকে রক্ষায় আমার ভাই এগিয়ে এলে তাকেও মারধোর করে ও মারামারি ছাড়াতে গেলে ইউসুফকে কিল গুসি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করছে। আমি ওই ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত খাইরুল শিকদার মুঠোফোনে ওই বিষয় কোন কথা বলবেন না বলে জানান।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ওই ঘটনায় এখোনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Editor: Ataur Rahman
News Editor: Shamim Reja
Phone no: +8801710048702
Email: ajkerkantho.news@gmail.com
Office email: admin@ajkerkantho.com
দৈনিক আজকের কন্ঠ