ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রকাশিত
দেবীগঞ্জে শাল ডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নবায়ন কার্যক্রম ও সাংগঠনিক সভা ২০২৫ অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ  ডেঙ্গু রোগীদের জন্য কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদের মানবিক সহায়তা ফ্যাসিবাদী সরকার পালিয়েছে, ভবিষ্যতেও কেউ রেহাই পাবে না: জামায়াত নেতা ঘোড়াঘাটে  বিএনপির বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন ।  আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের: বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোঃ লুৎফর রহমান ঘোড়াঘাট পৌর বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন  সেনাবাহিনীর অভিযানে দুজন মাদক ব্যবসায়ী আটক, বরগুনার বামনায় ডৌয়াতলা বন্দরে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে উত্তাল ব্যবসায়ী মহল, বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ দাবি দেশে নতুন করে কোন সৈরাচার হতে দেব না এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ 

আগস্টের মধ্যে শেষ করার তাগিদ

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫ ২৮০ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিতে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় এমন অপারেটরদের সম্পৃক্ত করতে হবে যাতে আমাদের পোর্টগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আমরা যে ইনভেস্টমেন্ট হাবের কথা বলছি তা বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের বন্দরগুলোকে বিশ্বমানের করতেই হবে।’

বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, বাংলাদেশের নৌবন্দরগুলোর বর্তমান হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি বছরে ১.৩৭ মিলিয়ন ইউনিট, যা সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মপন্থার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭.৮৬ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব।

তিনি বলেন, বর্তমানে চালু থাকা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বছরে ১.২৭ মিলিয়ন ইউনিট ও মোংলা বন্দর ০.১ মিলিয়ন ইউনিট হ্যান্ডেলিং করতে সক্ষম। এগুলোর সক্ষমতা যথাক্রমে ১.৫ মিলিয়ন ও ০.৬৩ মিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব।

চৌধুরী আশিক জানান, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদীয়া কনটেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হয়ে গেলে পাঁচ মিলিয়নের বেশি ইউনিট হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি তৈরি হবে বাংলাদেশের।

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে লালদীয়া বন্দরের কাজ দ্রুত শেষ করার ক্ষেত্রে সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্দরটির কাজ আগস্টের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেন।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আগস্টের মধ্যে শেষ করার তাগিদ

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

আপডেট সময় : ১২:৪৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিতে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রফেসর ইউনূস বলেন, ‘বন্দর ব্যবস্থাপনায় এমন অপারেটরদের সম্পৃক্ত করতে হবে যাতে আমাদের পোর্টগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। আমরা যে ইনভেস্টমেন্ট হাবের কথা বলছি তা বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের বন্দরগুলোকে বিশ্বমানের করতেই হবে।’

বৈঠকে বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানান, বাংলাদেশের নৌবন্দরগুলোর বর্তমান হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি বছরে ১.৩৭ মিলিয়ন ইউনিট, যা সঠিক পরিকল্পনা ও কর্মপন্থার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে ৭.৮৬ মিলিয়ন ইউনিটে উন্নীত করা সম্ভব।

তিনি বলেন, বর্তমানে চালু থাকা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বছরে ১.২৭ মিলিয়ন ইউনিট ও মোংলা বন্দর ০.১ মিলিয়ন ইউনিট হ্যান্ডেলিং করতে সক্ষম। এগুলোর সক্ষমতা যথাক্রমে ১.৫ মিলিয়ন ও ০.৬৩ মিলিয়নে উন্নীত করা সম্ভব।

চৌধুরী আশিক জানান, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, লালদীয়া কনটেইনার টার্মিনাল, বে টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হয়ে গেলে পাঁচ মিলিয়নের বেশি ইউনিট হ্যান্ডেলিং ক্যাপাসিটি তৈরি হবে বাংলাদেশের।

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে লালদীয়া বন্দরের কাজ দ্রুত শেষ করার ক্ষেত্রে সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্দরটির কাজ আগস্টের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেন।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান।