ঢাকা ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রকাশিত
পীরগঞ্জে ৪ আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার দোহারে বেঞ্চে বসাকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত চিকিৎসাসেবায় চির বঞ্চিত বরগুনায় ‘চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল’ স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন বোদায় বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত । ঘোড়াঘাটে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে এবি পার্টির   মতবিনিময় সভা  দেবীগঞ্জ থানার কৃতিত্বের ধারা অব্যাহত, শ্রেষ্ঠ ওসি সোয়েল রানা ঘোড়াঘাটে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা  পীরগঞ্জ গনহত্যা দিবস পালিত বালিয়াডাঙ্গীতে পুলিশের অনুষ্ঠানে অতিথির আসনে হত্যা মামলার আসামীর স্বজন আ.লীগ নেতা এন এম নুরুল ইসলাম বরগুনায় বাংলাদেশ পুলিশের টিআরসি নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম দিনে শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাই সম্পন্ন

কানাইঘাটের মুনতাহা হত্যার আসল রহস্য! 

এইচ এম মিছবাহ উদ্দিন(সিলেট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ৯১৭ বার পড়া হয়েছে

কানাইঘাটের মুনতাহা হত্যার আসল রহস্য! 

নিখোঁজের সাত দিন পর সিলেটের কানাইঘাটে অপহৃত শিশু মুনতাহা মরদেহ পাওয়া গেছে বাড়ির পাশে। হত্যার পর বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে লাশ সরানোর সময় প্রতিবেশী নারীকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে মুনতাহার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা অপহরণ করে হত্যা করেছে। প্রতিবেশি ও মুনতাহার শিক্ষক মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের উপর। এছাড়া মারজিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ তারিখ রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়।

গত ৩ নভেম্বর সকালে নিখোঁজ হয় কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে ৫ বছরের কণ্যা শিশু মুনতাহা। দিনভর অনেক খোঁজাখুজির পর মুনতাহা ফিরে না আসায় থানায় জিডি করে পরিবার।

নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর, ভোররাতে প্রতিবেশী আলিফজান বিবি, লাশ ডোবা থেকে পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় তাকে। এ ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আগুন দিয়েছে ঘাতক পরিবারের বাসায়।

মুনতাহা চাচা কয়সর আহমেদ জানান, মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া পুর্ব শত্রুতার জেরে অপহরণ করে হত্যা করে। পরে, বাড়ির পাশে ডোবায় কাঁদার নিচে পুঁতে রাখে। গতরাত আনুমানিক ৩ টার দিকে মারজিয়ার মা আলিফজান বিবি সেই লাশ সরিয়ে নিতে গেলে জনতার হাতে আটক হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো রফিকুল ইসলাম জানান, মারজিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলেরাখা হয়। মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে মারজিয়া, তার মা আলিফজান বিবিকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিখোঁজের পর মুনতাহার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আলোচিত নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর!

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কানাইঘাটের মুনতাহা হত্যার আসল রহস্য! 

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

কানাইঘাটের মুনতাহা হত্যার আসল রহস্য! 

নিখোঁজের সাত দিন পর সিলেটের কানাইঘাটে অপহৃত শিশু মুনতাহা মরদেহ পাওয়া গেছে বাড়ির পাশে। হত্যার পর বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে লাশ সরানোর সময় প্রতিবেশী নারীকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে মুনতাহার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা অপহরণ করে হত্যা করেছে। প্রতিবেশি ও মুনতাহার শিক্ষক মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের উপর। এছাড়া মারজিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ তারিখ রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়।

গত ৩ নভেম্বর সকালে নিখোঁজ হয় কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে ৫ বছরের কণ্যা শিশু মুনতাহা। দিনভর অনেক খোঁজাখুজির পর মুনতাহা ফিরে না আসায় থানায় জিডি করে পরিবার।

নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর, ভোররাতে প্রতিবেশী আলিফজান বিবি, লাশ ডোবা থেকে পুকুরে ফেলার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় তাকে। এ ঘটনায় হতবাক এলাকার মানুষ। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আগুন দিয়েছে ঘাতক পরিবারের বাসায়।

মুনতাহা চাচা কয়সর আহমেদ জানান, মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া পুর্ব শত্রুতার জেরে অপহরণ করে হত্যা করে। পরে, বাড়ির পাশে ডোবায় কাঁদার নিচে পুঁতে রাখে। গতরাত আনুমানিক ৩ টার দিকে মারজিয়ার মা আলিফজান বিবি সেই লাশ সরিয়ে নিতে গেলে জনতার হাতে আটক হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো রফিকুল ইসলাম জানান, মারজিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলেরাখা হয়। মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে মারজিয়া, তার মা আলিফজান বিবিকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিখোঁজের পর মুনতাহার ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আলোচিত নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি স্বজন ও এলাকাবাসীর!