ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রকাশিত
দেবীগঞ্জে শাল ডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নবায়ন কার্যক্রম ও সাংগঠনিক সভা ২০২৫ অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ঢেউটিন বিতরণ  ডেঙ্গু রোগীদের জন্য কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদের মানবিক সহায়তা ফ্যাসিবাদী সরকার পালিয়েছে, ভবিষ্যতেও কেউ রেহাই পাবে না: জামায়াত নেতা ঘোড়াঘাটে  বিএনপির বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন ।  আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরগুনা-১ আসনের: বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মোঃ লুৎফর রহমান ঘোড়াঘাট পৌর বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন  সেনাবাহিনীর অভিযানে দুজন মাদক ব্যবসায়ী আটক, বরগুনার বামনায় ডৌয়াতলা বন্দরে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে উত্তাল ব্যবসায়ী মহল, বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ দাবি দেশে নতুন করে কোন সৈরাচার হতে দেব না এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ 

১০শতক জমিতে বরবটি চাষ করে সফল মনির হোসেন দিনে আয় ৫০০-৫৫০ টাকা, মৌসুমে লক্ষ টাকার লাভের আশা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ ২১৮ বার পড়া হয়েছে

দেবীগঞ্জ প্রতিনিধি ।

দীর্ঘদিন অনাবাদী পড়ে থাকা নিজ জমিকে আয়ের উৎসে রূপান্তর করেছেন পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার তাতিপাড়া গ্রামের কৃষক মনির হোসেন। মাত্র ৪ হাজার টাকা খরচে তিনি নিজের ১০ শতক জমিতে বরবটি চাষ করে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার সবজি বিক্রি করছেন। মৌসুম শেষে তার লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ টাকা লাভ।

মনির হোসেন পেশায় একজন কৃষক, মনির বলেন অনেক দিন ধরে জমিটা খালি পড়ে ছিল। ভাবলাম কিছু একটা করি। অনেক চিন্তার পর বরবটি চাষ শুরু করি। এখন প্রতিদিন বাজারে বরবটি বিক্রি করে সংসারও চলছে, লাভও হচ্ছে।”মনির জানান, বরবটি চাষে বেশি খরচ নেই, শুধু নিয়মিত পানি দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার ও সামান্য সার ব্যবহার করলেই হয়। ফলনও হচ্ছে বেশ ভালো।বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বরবটি প্রতি কেজি ৩৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মনির প্রতিদিন ১০-১৪ কেজি বরবটি বিক্রি করেন। জমি রাস্তার পাশে হওয়ায় পরিবহন খরচও তেমন নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাইম মোর্শেদ বলেন,এই উপজেলায় প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে এ বছর বরবটি চাষ হয়েছে। বরবটি একটি লাভজনক ফসল। আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। মনির হোসেনের সফলতা দেখে অনেক কৃষক উৎসাহিত হয়েছেন।”মনিরের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আশেপাশের গ্রামের অনেক কৃষক বরবটি চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন,মনির ভাইয়ের জমি দেখে আমরাও বরবটি চাষ করতে চাই। কম খরচে এত লাভ দেখে অবাক হচ্ছি।”বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটি বরবটি চাষের জন্য উপযোগী। এই ফসল অল্প সময়ে ফলন দেয়, রোগবালাই কম এবং বাজারে চাহিদা বেশি। বিশেষ করে যেসব কৃষকের অল্প জমি রয়েছে, তাদের জন্য এটি একটি লাভজনক বিকল্প।

মনির হোসেনের মতো একজন সাধারণ কৃষকের সাফল্য প্রমাণ করে দিয়েছে, একটু উদ্যোগ আর সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে কৃষিই হতে পারে আত্মনির্ভরতার সোপান। নিজ জমি আর পড়ে নেই পরিত্যক্ত—সেটাই এখন পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১০শতক জমিতে বরবটি চাষ করে সফল মনির হোসেন দিনে আয় ৫০০-৫৫০ টাকা, মৌসুমে লক্ষ টাকার লাভের আশা

আপডেট সময় : ০৬:৩২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

দেবীগঞ্জ প্রতিনিধি ।

দীর্ঘদিন অনাবাদী পড়ে থাকা নিজ জমিকে আয়ের উৎসে রূপান্তর করেছেন পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার তাতিপাড়া গ্রামের কৃষক মনির হোসেন। মাত্র ৪ হাজার টাকা খরচে তিনি নিজের ১০ শতক জমিতে বরবটি চাষ করে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকার সবজি বিক্রি করছেন। মৌসুম শেষে তার লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ টাকা লাভ।

মনির হোসেন পেশায় একজন কৃষক, মনির বলেন অনেক দিন ধরে জমিটা খালি পড়ে ছিল। ভাবলাম কিছু একটা করি। অনেক চিন্তার পর বরবটি চাষ শুরু করি। এখন প্রতিদিন বাজারে বরবটি বিক্রি করে সংসারও চলছে, লাভও হচ্ছে।”মনির জানান, বরবটি চাষে বেশি খরচ নেই, শুধু নিয়মিত পানি দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার ও সামান্য সার ব্যবহার করলেই হয়। ফলনও হচ্ছে বেশ ভালো।বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বরবটি প্রতি কেজি ৩৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মনির প্রতিদিন ১০-১৪ কেজি বরবটি বিক্রি করেন। জমি রাস্তার পাশে হওয়ায় পরিবহন খরচও তেমন নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাইম মোর্শেদ বলেন,এই উপজেলায় প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে এ বছর বরবটি চাষ হয়েছে। বরবটি একটি লাভজনক ফসল। আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। মনির হোসেনের সফলতা দেখে অনেক কৃষক উৎসাহিত হয়েছেন।”মনিরের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আশেপাশের গ্রামের অনেক কৃষক বরবটি চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ বলেন,মনির ভাইয়ের জমি দেখে আমরাও বরবটি চাষ করতে চাই। কম খরচে এত লাভ দেখে অবাক হচ্ছি।”বাংলাদেশের আবহাওয়া ও মাটি বরবটি চাষের জন্য উপযোগী। এই ফসল অল্প সময়ে ফলন দেয়, রোগবালাই কম এবং বাজারে চাহিদা বেশি। বিশেষ করে যেসব কৃষকের অল্প জমি রয়েছে, তাদের জন্য এটি একটি লাভজনক বিকল্প।

মনির হোসেনের মতো একজন সাধারণ কৃষকের সাফল্য প্রমাণ করে দিয়েছে, একটু উদ্যোগ আর সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে কৃষিই হতে পারে আত্মনির্ভরতার সোপান। নিজ জমি আর পড়ে নেই পরিত্যক্ত—সেটাই এখন পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস।