অবশেষে চেক জালিয়াতি মামলা করলেন শিক্ষক
টাকা ধার নিয়ে পরিশোধ না করায় এবং ভুয়া চেক প্রদানের অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ২, মামলা করলেন ভুক্তভোগী আলকাছ আলী।
মামলার বিবরণে জানা, গেছে জেলার আদিতমারী থানার পলাশী ইউনিয়নের নামুড়ি।গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলকাছ আলী পেশায় একজন শিক্ষক। সংসারে অভাব অনটন থাকায় শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ধান কেনাবেচার ব্যবসা করেন। ধান কেনাবেচার সূত্র ধরে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আর এক ব্যবসায়ী আদিতমারী থানার বড়াবাড়ি গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র শফিকুল ইসলামের সাথে। শফিকুল প্রায়ই আলকাছ আলীর কাছ থেকে ধান ক্রয় করতো। ব্যবসায়িক কারণে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠায় শফিকুল জমি ক্রয়ের প্রয়োজন দেখিয়ে আলকাছ এর কাছে ৫ লক্ষ টাকা ধার চায়
সরল বিশ্বাসে আলকাছ গত ২-৬-২০২২ইং তারিখ শফিকুলকে ৫ লক্ষ টাকা ধার দেয়। কিছুদিন অতিবাহিত হলে আলকাছ শফিকুলের কাছে ধার দেয়া ৫ লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আসামি শফিকুল তাকে ১-২-২০২২ ইং তারিখ তার স্বাক্ষরিত সোনালী ব্যাংক লিমিটেড আদিতমারী শাখা বরাবরে ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক নং স-ক ১০৮৬৩৭৪৯৯ প্রদান করেন যার হিসাব নম্বর ৫২০১৯০১০১৫৬৩৫। উক্ত চেক নগোদয়নের জন্য আলকাছ গত ১- ৬ – ২০২২ ইং তারিখে তার নিজস্ব হিসাব নম্বর ৫২০ ১১৯৩৪০৭৩১১৭ সোনালী ব্যাংক আদিতমারী শাখা বরাবরের জমা দেন। আসামির দেয়া চেক হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ রেফার টু ড্রেওার মন্তব্যসহ ২ -৬ -২০২২ ইং তারিখ ডিজ অনার করেন। এরপর বাদী টাকা ফেরত এর জন্য ১২-৬-২০২২ ইং তারিখ আসামি বরাবরে নিগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ (১)ধারায় বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট সাইদুজ্জামান জজ কোর্ট লালমনিরহাট এর মাধ্যমে লিগাল নোটিশ পালন করেন। ২০-৬-২০২২ ইং তারিখ আসামি লিগ্যাল নোটিশ গ্রহণ করলেও আইনগত কোনো সুযোগ গ্রহণ না করে কিংবা বাদীর টাকা পরিশোধ না করায় নিগোসিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টের ১৯৮১ এর ১৩৮(১) ধারা মোতাবেক বাদী অ্যাডভোকেট মোঃ সাইদুজ্জামান জজকোট লালমনিরহাট এর মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।