কারো দয়ায় নয় ” জনগণের সমর্থনেই ক্ষমতায় আছে আওয়ামীলীগ- এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু
কারো দয়ায় নয় ” জনগণের সমর্থনেই ক্ষমতায় আছে আওয়ামীলীগ- এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু
সোহরাব বরগুনা সংবাদদাতা:
সাংবাদিকরা সৌজন্য সাক্ষাৎকালে, টানা তিন মেয়াদে তার সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ,সাবেকমন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, শম্ভু এমপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে যেভাবে বলতে চেষ্টা করুক না কেন, কারো দয়া বা দাক্ষিণ্যে নয়, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট ও সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। জনগণের সমর্থন নিয়েই বার বার ক্ষমতায় থেকে দেশের সেবা করে যাচ্ছে। জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে কাজ করে বলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ উল্লেখ করে বলেন ২০০৬ সালে নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা ছিল মাত্র ৫৫%। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে ৪৩.৭% বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৮%। ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৩৭৮২ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকারের সময়ে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫২২৭ মেগাওয়াট। ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর হার ছিল মোট জনসংখ্যার ২৮%। বর্তমান সরকারের সময়ে সুবিধাভোগীর হার মোট জনসংখ্যার ১০০%। গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা স্বরুপ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫,৭০১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। BCSIR উদ্ভাবিত সাশ্রয়ী মূল্যের RT-PCR COVID Kit জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০৯ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন। বিগত ১৫ বছরে ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ গুণ, আলু ২ গুণ, ডাল ৪ গুণ ও সবজি ৮ গুণ। ফলে বাংলাদেশের কৃষিতে সাফল্য বিশ্বে প্রশংসিত। বাংলাদেশ কৃষিপণ্য উৎপাদনে রোল মডেল। যেমন: পাট উৎপাদনে ২য়; ধান, সবজি ও পেঁয়াজ উৎপাদনে ৩য়; চা উৎপাদনে ৪র্থ এবং আলু ও আম উৎপাদনে ৭ম। কৃষকগণ ফসল উৎপাদনের ঋণ ও কৃষি উপকরণ সহায়তা পেতে ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট সুবিধার আওতায় এসেছে মোট প্রায় ১ কোটি কৃষক।২০০৬ সালে বয়স্ক ভাতা সুবিধাভোগীর সংখ্যা ছিল ১৬ লক্ষ। বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৫৮ লক্ষ ১ হাজার। ২০০৬ সালে বিধবা ভাতা সুবিধাভোগীর সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ ৫০ হাজার। বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ২৫ লক্ষ ৭৫ হাজার। ২০০৬ সালে প্রতিবন্ধী ভাতা সুবিধাভোগীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬০ জন। বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ২৯ লক্ষ। ২০০৬ সালে ক্যান্সারসহ ৬টি দুরারোগ্য ব্যাধীতে আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা সুবিধাভোগীর সংখ্যা ছিল ০ (শূণ্য) জন। বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার। ২০০৬ সালে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ সহায়থা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ২১ লক্ষ ৭৭ হাজার। বর্তমান সরকারের সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩৪ লক্ষ ৯০ হাজার। ২০০৮ সালে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন ১ লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক বর্তমানে ১ কোটি সাড়ে ২১ লাখ গ্রাহক তা ব্যবহার করছেন। বর্তমান সরকারের সময়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিবেশ বান্ধব ৩৪৭৬৮টি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। আরও ৩২ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৬ পর্যন্ত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বাৎসরিক গড় ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ৩৭ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা, বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৪ কোটি টাকায়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২১ সাল থেকে প্রথমবারের মতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদেরকে ৫% সার্ভিস চার্জে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে যুব উদ্যোক্তা ঋণ প্রদান করা হচ্ছে।২০০৯ সাল হতে এ পর্যন্ত ৯৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৮৯টি প্রকল্প শেষ হয়েছে। এ সময়ে মোট ৮৭৩ কিমি নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি ১৩৪টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়ন এবং ৯টি সিগন্যালিং ব্যবস্থার পুনর্বাসন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বেসরকারি টেলিভিশনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশের নেয় বরগুনায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইবো , দল আমাকে মনোনয়ন দিলে ,আবারো নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী করে এ আসনটি উপহার দিতে পারব। বরগুনার চলমান বাকি উন্নয়ন কাজগুলি সমাপ্তি করতে পারবো।