pub-4902861820262150
3:32 am, Sunday, 6 October 2024

দোহারে মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়

কাজী জোবায়ের আহমেদ.

কাজী জোবায়ের আহমেদ.
ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন খাতে জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, মূল্যায়ন পরীক্ষার ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তথ্যমতে, পরীক্ষার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের ওপর জোর দিতে চলতি বছর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। এ শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। তবে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে বছরে দুটি পরীক্ষা নিতে পারবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর বেতন আদায়ের রশিদের মূল্যায়ন পরীক্ষা বাবদ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নেওয়া হয়েছে ৫০০ টাকা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক ই আজম বলেন, ‘স্কুলের ভালো ফলাফল, শিক্ষকদের বেতন, লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য এই ধারাবাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিচ্ছি। সঙ্গে এই পরীক্ষা নিতে কাগজ, প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরীক্ষায় গার্ড, খাতা মূল্যায়নসহ নানা উপকরণের খরচ হিসেবে আমরা ৫০০ টাকা আদায় করেছি।’ সব খবচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এটা নিতে হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রকিব হাসান বলেন, ‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষার জন্য সামান্য কিছু ফি নিতে পারবে। তবে কোনো অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 03:05:40 pm, Saturday, 11 November 2023
69 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

দোহারে মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়

আপডেট সময় : 03:05:40 pm, Saturday, 11 November 2023

কাজী জোবায়ের আহমেদ.
ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন খাতে জরিমানাও আদায় করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, মূল্যায়ন পরীক্ষার ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তথ্যমতে, পরীক্ষার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের ওপর জোর দিতে চলতি বছর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। এ শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। তবে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে বছরে দুটি পরীক্ষা নিতে পারবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি শিক্ষার্থীর বেতন আদায়ের রশিদের মূল্যায়ন পরীক্ষা বাবদ ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নেওয়া হয়েছে ৫০০ টাকা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক ই আজম বলেন, ‘স্কুলের ভালো ফলাফল, শিক্ষকদের বেতন, লেখাপড়ার মান উন্নয়নের জন্য এই ধারাবাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিচ্ছি। সঙ্গে এই পরীক্ষা নিতে কাগজ, প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরীক্ষায় গার্ড, খাতা মূল্যায়নসহ নানা উপকরণের খরচ হিসেবে আমরা ৫০০ টাকা আদায় করেছি।’ সব খবচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের এটা নিতে হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রকিব হাসান বলেন, ‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষার জন্য সামান্য কিছু ফি নিতে পারবে। তবে কোনো অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’