নওগাঁর সাংবাদিকদের খুলনা আর্ট একাডেমি পরিদর্শন
খুলনা জেলা প্রতিনিধি।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় খুলনা আর্ট একাডেমির শিশু শিল্পীদের শেষ হওয়ার কিছু সময় পর একাডেমি পরিদর্শনের জন্য নওগাঁ থেকে আগত সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডেইলি মর্নিং অবজারভার ও দৈনিক চিত্র পত্রিকার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান (অন্তর), দৈনিক বাংলা প্রতিদিন ও প্রথম সংবাদ এর নাজমুল হক, শিল্প ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম (লিটন)।
অতিথিদের খুলনা আর্ট একাডেমির পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস শুভেচ্ছা জানান। ও প্রতিষ্ঠানটির আলোকচিত্র প্রদর্শনী করেন পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া সংরক্ষিত লোকোসংস্কৃতির অংশ ঢেঁকি,পোলো কাঠের দেখলা, হারিকেন,মাথাল,বইঠা,পিতলের বাঁশি,পিতলের হুক্কা, নারিকেলের হুক্কা, দোতারা, একতারা,খঞ্জরী, রেডিও,বিনবাঁশী, বাবুই পাখির বাসা, এবং কাঠের ও মাটির বিভিন্ন রকম শিল্পকর্ম প্রদর্শন করেন। আগত অতিথিরা দেখে সবাই খুবই আনন্দিত হয়।
এ সময় সাংবাদিক মেহেদী হাসান অন্তর বলেন, বাংলার হারিয়ে যাওয়া লোক সাংস্কৃতি সংরক্ষণ করে আগামীর প্রজন্মের জন্য একটি ইতিহাস। ভবিষ্যতে হারিয়ে যাওয়া বাংলার মাটি ও মানুষের সাংস্কৃতি সংরক্ষণ করে একটা ছোট মিউজিয়াম তৈরী যেন করেন, চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস এর এই সংরক্ষণ এক সময় বাংলার সাংস্কৃতি ইতিহাস জানতে দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে দর্শনার্থী আসবে।
এই সময় চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে শিল্প-সাধনায় নিয়োজিত থেকে অনেক কিছুই অর্জন করেছি। আজকের ঘটে যাওয়া ঘটনা আগামী দিনে ইতিহাস হয়ে থাকে। আমরা শৈশবে একটি সংসারের দৈনন্দিন ব্যবহৃত অনেক বিষয়াবলি দেখেছি আজ সেগুলো ঐতিহ্য হয়েছে। আমাদের সন্তানরা এগুলোর সঠিক নাম ও বলতে পারে না। আমি একজন শিল্প অনুরাগী ব্যক্তি অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই পথে এসেছি কিন্তু এই পথে যারা আছেন তারাই জানেন কতটা সাধনার দরকার। ডিজিটালের সংস্পর্শ নিতে গিয়ে বাঙালি ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তর পথে।আমি অনেক আশা করে এই স্বপ্ন লালন পালন করে আসছি। নিজের পকেটে হয়তো টাকা থাকে না কারণ শিল্পীরা অনেক অভাবের হয়ে থাকে। যে অর্থ অনেক কষ্টের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয় সে অর্থ দিয়ে কিনে আনি লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া বিষয়।কিন্তু এর সংরক্ষণের জন্য উপযোগী স্থান আমি তৈরি করতে পারিনি। আর এর পিছনে কারও সহযোগিতাও পাওয়া যায় না প্রশংসা তো দূরের কথা। তাই স্বপ্ন দেখা ভঙ্গ হয়ে যায় তারপরেও আমি চেষ্টা করি পুরোনো জিনিস গুলো সংরক্ষণ করার। আমাকে যদি সরকারি পৃষ্ঠ-পোষকতা করে তা হলে আরো অনেক বেশী সংরক্ষণ করতে পারবো। এছাড়াও আমি ২০০৩ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি।প্রথমে আমার প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল নিশাত আর্ট কোচিং।খুলনার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় হৃদয়ে। তাই নিশাত আর্ট কোচিং এর নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালে নতুন নাম করন করা হয় খুলনা আর্ট একাডেমি। ২০১০ সাল থেকে চারুকলা ভর্তি কোচিং পরিচালনা শুরু করি। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত এর সকল চারুকলায় আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করছেন
২১৮জন। বর্তমানে ১৪তম ব্যাচ পরিচালনা করছি। ইতোমধ্যে জাতীয় পুরস্কার সহ একাধিক শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরি করছেন। আমরা গর্বিত আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে।