পানিতে কৃষি জমির ফসলের ক্ষতি
সাঘাটায় যমুনা নদীর পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গত কয়েকদিনে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, জুমারবাড়ি, ভরতখালী, সাঘাটা, ঘুড়িদহ ইউনিয়নের বানভাসি পরিবারগুলো পানি বন্দি রয়েছে।
এরমধ্যে হলদিয়া ইউনিয়নে ৩ হাজার পরিবার, জুমারবাড়ি ইউনিয়নের ২ হাজার, ঘুড়িদহ ইউনিয়নে ৫শ, সাঘাটা ও ভরতখালী ইউনিয়নের ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানিবন্দি মানুষেরা গরুছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের সংকট, এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পাতিলবাড়ি দক্ষিণ দীঘলকান্দি, সিপি গাড়ামারা মৌজার কিছু সংখ্যাক মানুষ নদীভাঙনের শিকার হয়ে অনত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারনে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রোধে বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের কাজ দীর্ঘদিন থেকে শুরু হলেও হলদিয়া মাদ্রাসার উত্তর পার্শ্বে নাম মাত্র কাজ করায় তা ভেঙ্গে গিয়ে বন্যার পানি ঢুকে জুমারবাড়ী ইউনিয়নের ব্যাঙ্গার পাড়া, থৈকরের পাড়া, মাঝিপাড়া, ঘুড়িদহ ইউনিয়নের খামার পবনতাইড়, চিনির পটল, হলদিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ বন্যার পানি ঢুকে পাট, আমন বীজতলা, শাকসবজি সহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে জুমারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান , আমার ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে এ পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো বরাদ্দ বা ত্রাণ সামগ্রী পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারি বেসরকারিভাবে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।