বরগুনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুনামহানি ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে বরিশাল সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। জহিরুল ইসলাম এশিয়ান টেলিভিশনের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি। গত ২৭ নভেম্বর বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন৷ এদিকে মামলা হওয়ার পরপরই বাদী জহিরুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে অভিযুক্তরা। সাইবার ট্রাইবুনাল বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ এর বিচারক মো. গোলাম ফারুক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী। আসামিরা হলেন- বরগুনার তালতলী উপজেলার পচা কোড়ালিয়া গ্রামের গাজী আ: মান্নানের ছেলে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পরিচয়দানকারী রাশেদুল ইসলাম (৪২) ও তার সহযোগী নূর হোসেন ইমাম। খোজ নিয়ে জানা যায়, রাশেদুল ও নুর হোসেন ইমাম ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অভিযুক্ত রাশেদুল ও নুর হোসেন ইমামের ফেসবুক আইডি থেকে পোস্টটি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে রাশেদুল ও ইমামের নামে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ভুক্তভোগী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে একটি পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেনের নামে বানোয়াট মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে রাশেদুলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই পরিবারটি। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মোসাম্মৎ সেতারা বেগম , আবু হানিফ , মোরশেদা বেগম, শেফালী বেগম, আকলিমা বেগম, রাজা মিয়া, নামের ব্যক্তিরা উপস্থিত হয় , তাদের মধ্যে সেতারা বেগম লিখিত বক্তব্যে জানান, আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মারপিট হয়েছে। আমার মেয়ে আকলিমা কে কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। এরপর ন্যায় বিচারের দাবিতে আমরা তালতলী অংকুজানপাড়ায় এক মানববন্ধন করি সেই মানববন্ধনে বরগুনা ও তালতলীর অনেক সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়। সেখানে বরগুনার এশিয়ান টিভির সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম ও চ্যানেল এস টিভি র বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মোঃ সোহরাব হোসেন উপস্থিত হয়। ওখানে বসে রাশেদুল ইসলাম কথিত সাংবাদিক এর সাথে কথার কাটাকাটি হয়, জহিরুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন বরগুনার সাংবাদিকদের সাথে। তিনি বলেন, আমার মেয়ে আকলিমা বেগমকে কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার সংবাদ প্রকাশ করার জন্য বরগুনার সাংবাদিকরা তালতলীতে যায় ওই সময় আমাদের সাথে সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় কথা হয়। এছাড়া আমাদের সাথে আর কোন কথাবার্তা হয়নি জহিরুল ইসলাম ও সোহরাফ হোসেনের সাথে, কিন্তু দেখা যায় তাদের ও আমাদের নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার ও সম্মানহানি , আপত্তিকর বক্তব্য উপস্থাপন করেছে উল্লিখিত কথিত সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম ও নূর হোসেন ইমাম। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৭৫ লক্ষ টাকা আমরা দিয়েছি মর্মে লিখেছেন কথিত সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম ও নূর হোসেন ইমাম। উল্টো কথিত সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম আমাদের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছে, চাঁদা টাকা না দেওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ফেসবুকে অশ্লীল ও আপত্তিকর বক্তব্য উপস্থাপন করে সম্মানহানি করেছে। তিনি আরও বলেন, উল্লেখিত জমি সংক্রান্ত ঘটনায় নিউজ কভারেজ এর জন্য আমরা কোন সাংবাদিকদের টাকা পয়সা দেই নাই। এই মিথ্যা মনগড়া নিউজ প্রতিবেদন ও মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই কথিত সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম ও নূর হোসেন ইমাম এর বিচার প্রার্থনা করি। এবং রাহিমা বেগম কর্তৃক জহিরুল ও সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
Editor: Ataur Rahman
News Editor: Shamim Reja
Phone no: +8801710048702
Email: ajkerkantho.news@gmail.com
Office email: admin@ajkerkantho.com
দৈনিক আজকের কন্ঠ