জামালপুরে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে বাড়ি ভাঙ্গার অভিযোগ
জামালপুরে এক শিক্ষকের বসতবাড়ি অবৈধভাবে ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভূমি সহকারী কমিশনার ও পৌরসভার এক সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে। শহরের দক্ষিন কাচারীপাড়ার বাসিন্দা বজলুর রশিদ জুয়েল নামে এক শিক্ষক আজ দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, পৌরসভার সব নিয়ম মেনেই তিনি দক্ষিন কাচারীপাড়ায় পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করছেন। বাড়ি নির্মানের সময় বাড়ির পেছনে থাকা ৫ শতাংশ জমি ৭০ লাখ টাকা দাম ধরে শ্বাশুড়ির নামে হেবা দলিল করেন তার ভাগ্নি জামাই ভূমি সহকারী কমিশনার মো. বরকত উল্লাহ। ওই জমি থেকে বের হবার জন্য দলিলে তিনফুট রাস্তার কথা উল্লেখ থাকলেও এখন বরকত উল্লাহ ৬ ফুট দাবি করে আসছে। এ নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সহকারী কমিশনার বরকত উল্লাহ পৌরসভার সার্ভেয়ার আরিফুল ইসলাম রবিনের যোগসাজশে পাঁচতলা ভবন ভেঙ্গে ফেলছে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষক বজলুর রশিদ জুয়েল আরো অভিযোগ করেন, ভবন না ভাঙ্গতে সার্ভেয়ার আরিফুল ইসলাম রবিন তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে এবং ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভূমি সহকারী কমিশনার মো. বরকত উল্লাহ ও সার্ভেয়ার রবিনের গুন্ডা বাহিনীর হুমকিতে শিক্ষক পরিবারটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। তিনি ভূমি সহকারী কমিশনার বরকত উল্লাহ এবং সার্ভেয়ার রবিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন সদর উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার মো. বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। পৌরসভা যথাযথ নিয়মেই ওই ভবন ভাঙ্গছে। অভিযুক্ত সার্ভেয়ার আরিফুল ইসলাম রবিন বলেন, পৌরসভার নির্দেশেই ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।টাকা নেওয়ার বিষয়ে কোন ভিত্তি নেই। আইনগত ভাবে তার ভিল্ডিং ভাঙ্গা পড়ার কারণে তিনি এসব কথা বলছেন।