ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এইমাত্র প্রকাশিত
কৃষি সমৃদ্ধি রবি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সূর্যমুখী ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের বরগুনায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত  শাপলা কুঁড়ি ট্রফি ২০২৫ বরগুনার বেতাগীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত  নবাবগঞ্জে স্কুলছাত্র অপহরণের পর দোহারে ৫ অপহরণকারী আটক ওপেন চ্যালেঞ্জে গাঁজা বিক্রি! ইউএনও কাছে অভিযোগ  ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাইপাস বাতিলের দাবীতে মাধবদীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল দোহারে রাতের আধারে গাইড ওয়াল ভাংচুরের অভিযোগ পীরগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব  ঠাকুরগাঁওয়ে আমান গ্রুপের পক্ষ হতে শীতবস্ত্র বিতরণ বেতাগী উপজেলায় নবনির্বাচিত কৃষকদল নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা

ডোমারে মোবাইল শোরুমে চুরি, ২মাস পেরুলেও মালামাল উদ্ধারে অনিশ্চয়তা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৭:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

এমদাদুল হক মাসুম, ডোমার প্রতিনিধি,

নীলফামারীর ডোমারে ‘মিম টেলিকম’ মোবাইল শোরুমে চুরির ঘটনার ২মাস পেরিয়ে গেলেও মালামাল উদ্ধারে অনিশ্চয়তায় রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী। এদিকে মালামাল উদ্ধার না হওয়ায় প্রশাসনের প্রতিও এসেছে অনাস্থা। গত ০২ অক্টোবর ডোমার সাহাপাড়া রোডের ‘মিম টেলিকম’ এ চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া স্মার্টফোনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে ডোমার থানা পুলিশ, র‍্যাব-১৩, পুলিশ সুপার নীলফামারী ও সেনা ক্যাম্প বরাবর আবেদন করেন মিম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী রিপন হক। সোহেল রানা নামের এক এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। মিম টেলিকমের চুরির ঘটনায় চোর ধরার পরও মালামাল উদ্ধার না হওয়ায় আমরা হতাশ। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের আরও তৎপরতা প্রয়োজন।

দোকান কর্মচারী শামিম ও আনন্দ জানান, দোকান চুরির পর আইনি সহযোগীতার জন্য দোকান মালিকের সাথে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ করতে হচ্ছে। দোকানে  পর্যাপ্ত মালামাল না থাকায় আমরা বিভিন্ন কোম্পানির যারা এখানে আছি তাদের কারোই মাসিক টার্গেট ঠিকমতো পূরণ হচ্ছেনা। টার্গেট পূরণ না হওয়ায় আমরাও অল্প বেতনে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। এদিকে চুরি হওয়া প্রতিষ্ঠান মিম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী রিপন হক জানান, ঘটনার পর থানায় মামলা করি। পুলিশ বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া মালামালের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ব্যাংক ও এনজিও মিলে প্রায় ১ কোটি টাকা লোন নিয়ে ব্যবসা করছিলাম। দোকান চুরির পর ঋনের কিস্তি দিতে পারছিনা, দোকানের ১৫ জন কর্মচারীর বেতন দিতে পারছিনা। এমন ভয়াবহ ঘটনায় আমি পথে বসে গেছি। চুরির ঘটনায় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমান আনু উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান এই ঘটনায় ব্যবসায়ী আর্থীক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ছাড়াও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। চুরির বিষয়ে সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রশাসনিক এমন ভূমিকার জন্য ব্যবসায়ীদের মনোবল দুর্বল হচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাকিল মাহমুদ জানান, মামলা তদন্তাধীন, অভিজান চালিয়ে গত ১৯ নভেম্বর  কুমিল্লা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরির ঘটনায় ছয়জন জড়িত আছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। আসামীদের এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় তারা কেউই এলাকায় থাকেন না, সবার নামে ৭-৮ টা করে মামলা আছে। এখন পর্যন্ত কোনো মালামাল উদ্ধার করা যায়নি, তবে অনুসন্ধান অব্যগত রয়েছে। চুরির ঘটনাটি হবার বেশ কিছুদিন পূর্বে থেকে দোকানটি পর্যবেক্ষণ করেছে বলে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে। অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম, বলেন অভিজান চালিয়ে ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ৪জন পলাতক রয়েছে। চুরির পর মালামাল বিক্রি করে ফেলায় কোনো মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এলাকার কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। মাল উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ডোমারে মোবাইল শোরুমে চুরি, ২মাস পেরুলেও মালামাল উদ্ধারে অনিশ্চয়তা

আপডেট সময় : ০১:০৭:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

এমদাদুল হক মাসুম, ডোমার প্রতিনিধি,

নীলফামারীর ডোমারে ‘মিম টেলিকম’ মোবাইল শোরুমে চুরির ঘটনার ২মাস পেরিয়ে গেলেও মালামাল উদ্ধারে অনিশ্চয়তায় রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী। এদিকে মালামাল উদ্ধার না হওয়ায় প্রশাসনের প্রতিও এসেছে অনাস্থা। গত ০২ অক্টোবর ডোমার সাহাপাড়া রোডের ‘মিম টেলিকম’ এ চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া স্মার্টফোনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে ডোমার থানা পুলিশ, র‍্যাব-১৩, পুলিশ সুপার নীলফামারী ও সেনা ক্যাম্প বরাবর আবেদন করেন মিম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী রিপন হক। সোহেল রানা নামের এক এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। মিম টেলিকমের চুরির ঘটনায় চোর ধরার পরও মালামাল উদ্ধার না হওয়ায় আমরা হতাশ। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের আরও তৎপরতা প্রয়োজন।

দোকান কর্মচারী শামিম ও আনন্দ জানান, দোকান চুরির পর আইনি সহযোগীতার জন্য দোকান মালিকের সাথে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ করতে হচ্ছে। দোকানে  পর্যাপ্ত মালামাল না থাকায় আমরা বিভিন্ন কোম্পানির যারা এখানে আছি তাদের কারোই মাসিক টার্গেট ঠিকমতো পূরণ হচ্ছেনা। টার্গেট পূরণ না হওয়ায় আমরাও অল্প বেতনে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। এদিকে চুরি হওয়া প্রতিষ্ঠান মিম টেলিকমের স্বত্বাধিকারী রিপন হক জানান, ঘটনার পর থানায় মামলা করি। পুলিশ বিষয়টি তদন্তের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া মালামালের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ব্যাংক ও এনজিও মিলে প্রায় ১ কোটি টাকা লোন নিয়ে ব্যবসা করছিলাম। দোকান চুরির পর ঋনের কিস্তি দিতে পারছিনা, দোকানের ১৫ জন কর্মচারীর বেতন দিতে পারছিনা। এমন ভয়াবহ ঘটনায় আমি পথে বসে গেছি। চুরির ঘটনায় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমান আনু উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান এই ঘটনায় ব্যবসায়ী আর্থীক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া ছাড়াও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। চুরির বিষয়ে সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রশাসনিক এমন ভূমিকার জন্য ব্যবসায়ীদের মনোবল দুর্বল হচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাকিল মাহমুদ জানান, মামলা তদন্তাধীন, অভিজান চালিয়ে গত ১৯ নভেম্বর  কুমিল্লা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরির ঘটনায় ছয়জন জড়িত আছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। আসামীদের এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় তারা কেউই এলাকায় থাকেন না, সবার নামে ৭-৮ টা করে মামলা আছে। এখন পর্যন্ত কোনো মালামাল উদ্ধার করা যায়নি, তবে অনুসন্ধান অব্যগত রয়েছে। চুরির ঘটনাটি হবার বেশ কিছুদিন পূর্বে থেকে দোকানটি পর্যবেক্ষণ করেছে বলে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে। অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম, বলেন অভিজান চালিয়ে ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ৪জন পলাতক রয়েছে। চুরির পর মালামাল বিক্রি করে ফেলায় কোনো মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এলাকার কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। মাল উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।