পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বউ ও স্বামী রেখে পরকীয় সম্পর্কে মজেছেন পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষন রায় ও তার পরিষদের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. রাশেদা বেগম। পরিস্থিতি বেগতিক অবস্থায় যাওয়ায় প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন রাশেদা বেগমের স্বামী আবু সাঈদ।
মনিভূষন রায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন জানিয়েছেন। আবু সাঈদ হাসানপুর কাঠালতলী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,রাশেদা বেগম আমার বিবাহিত স্ত্রী দুইটি সন্তানও আছে আমাদের।তাদের কথা চিন্তা করে আমি দেশের বাইরে যাই কাজ করে স্ত্রীর হিসাব নম্বরে টাকা পাঠানো হয়।একপর্যায়ে স্থানীয় বিভিন্ন লোকজনদের নিকট জানিতে পারি আমার স্ত্রী পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিভূষন রায়ের সাথে পরকিয়াতে আসক্ত।বিদেশে চার বছর থেকে দেশে চলে আসে টাকা হিসাব চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে।পরে পরকীয়া আর কিছু টাকা চেয়ারম্যানকে দেওয়ার বিষয়টি ভুল স্বীকার করে।আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়ে ঢাকায় চাকুরি করতে যাই।৮-১২ মাস পর পর বাড়িতে আসি।তাদের পরকীয়া চলমান আছে,প্রায় সময় রাতে মনিভূষন রায় বাড়িতে আসে এবং তারা ভারতেও যায়।চেয়ারম্যানকে এবিষয়ে বাঁধা দিলে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয় তিনি।প্রায় এক বছর ধরে স্ত্রীর সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক না হলেও সে ছয় মাসের বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা রয়েছে।
সরেজমিনে হাসানপুর কাঠালতলি এলাকার জামাল আবেদীন,
আবু,রিপন,জয়নাল আবেদীন,হায়দার আলী,সাজেদা বেগম,রাবেয়া, মনোয়ারা,আনোয়ারাসহ আরো একাধিক স্থানীয়রা জানান,চেয়ারম্যান মনিভূষন রায় প্রতি সপ্তাহে তিন চারদিন সন্ধ্যায় আসে ২-৩ ঘন্টা রাশেদার বাড়িতে থেকে পরে চলে যায়।রাস্তায় উঠতে গিয়ে দুইদিন পরেও গেছিলো চেয়ারম্যান।এমনকি চেয়ারম্যান সেখানে জগৎনাথ নামে একজন গ্রাম পুলিশ রেখেছেন।সে ওই বাড়ির গরুর গোবর ফেলা থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করে দেন।
আবু সাঈদ বলেন,আমার স্ত্রী চেয়ারম্যানের সাথে যে পরকীয়া করে এলাকায় গেলে শত শত মানুষ সাক্ষী দিবে।পরকীয়ার কারনে স্ত্রী আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।আমি দেশের বাইরে এবং ঢাকায় থাকা কালীন সময়ে যে টাকা দিয়েছি আমার নামে জমি ক্রয়ের কথা। আমার নামে ক্রয় না করে নিজের নামে ক্রয় করেছে।এখন আমি নি:শ্ব।আমাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয় না।
মোছা. রাশেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী আমাকে না বলে গরু বিক্রি করে দিয়েছে।কিছু টাকা আছে এজন্য মানুষের পরামর্শে চলে। সংসারে একটু কলহ বিবাদ থাকতেই পারে।
অভিযুক্ত পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিভূষন রায় জানান,সাবেক ইউপি সদস্য ছিল রাশেদা বেগম।এজন্য প্রয়োজনে মাঝে মাঝে যাওয়া হতো তবে গত ৬ মাস থেকে যাইনি।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Editor: Ataur Rahman
News Editor: Shamim Reja
Phone no: +8801710048702
Email: ajkerkantho.news@gmail.com
Office email: admin@ajkerkantho.com
দৈনিক আজকের কন্ঠ