একেএম বজলুর রহমান পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের এক জুনিয়র প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষনার্থীর কাছ থেকে জোর পূর্বক অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রতি মাসে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষনের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপন দেয়ার পর প্রশিক্ষনার্থীরা তাদের পছন্দের ট্রেডে তে ভর্তির জন্য আবেদন করে। তার মধ্যে একটি ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ছিল ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ। তিন মাস ব্যাপী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের জন্য গত এপ্রিল মাসেও ৪০ জন ছাত্র ভর্তি হন। ৪০ জন ভর্তি হন চলতি মে মাসেও। তিন মাসে ১২০ প্রশিক্ষনার্থী ভর্তি হয়ে প্রশিক্ষণ শেষে লাইসেন্সের জন্য তাদেরকে প্রথমে লার্নারের আবেদন করতে হয়। আবেদন করার পর তাদের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ন হওয়ার পর নিদিষ্ট ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে আবেদন করার পরে তাদের কে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি ৫২০ টাকা সরকার প্রদান করছে। ভারী যানবাহন ও মোটরসাইকেল চালানোর জন্য এক সাথে প্রাথমিক ভাবে লার্নার এর আবেদন করতে হয়। তার জন্য ৬৬০ টাকা প্রয়োজন পড়ে। এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ভুতর্কি দিচ্ছে ৫২০ টাকা। আর প্রশিক্ষণার্থী দিচ্ছে ৭৬০ টাকা।
যুব উন্নয়নের আসা প্রশিক্ষণার্থী তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেল লার্নার বাবদ ২০০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানকার এক কর্মচারী প্রশিনার্থীদের কাছ থেকে নিচ্ছে ৭৬০ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুব উন্নয়নে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হওয়া কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী জানান, সরকার ৫২০ টাকা করে ভুতর্কি দিলেও আমাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষন ট্রেডের প্রশিক্ষক ৭৬০ টাকা করে নিচ্ছেন।আমরা পরীক্ষায় ফেল করার ভয়ে তার কোন প্রতিবাদ করতে পারি না। এজন্যে ৭৬০ টাকার চাওয়া মাত্রই আমরা ৭৬০ টাকা করে দিয়েছি। পরে আমরা জানতে পারি যে সরকার ড্রাইভিং প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য ৫২০ টাকা করে ভুতর্কী দিলেও আমাদের কাছ থেকে ৫২০ টাকা সহ টাকা নিচ্ছে।
তবে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মেকানিক্যাল শাখার আউটসোর্সিং এ জুনিয়র প্রশিক্ষক সুমন চন্দ্র রায় জানান, বাড়তি টাকা অনলাইন খরচসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ নেয়া হচ্ছে।
মোটরসাইকেলের লার্নার করতে লাগে ২৪০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের লানার সহ লাইট বাবদ লাগে ৭৬০ টাকা। এর মধ্য থেকে সরকার ভুতর্কি দিবে ৫২০ টাকা। অবশিষ্ট ২৪০ টাকা মটরসাইকেলের লার্নারের জন্য দেওয়া লাগতেছে।
আরো জানা যায়, প্রশিক্ষনার্থীদের কাছ থেকে ৭৬০ টাকা নেওয়া হলেও লার্নার বাবদ জমা দিতে লাগে ২৪০ টাকা। প্রত্যেক প্রশিক্ষণ আছে কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিচ্ছে ৫২০ টাকা করে। তিন মাসের প্রশিক্ষণে ১২০ জন প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি হন। ১২০ জন প্রশিনার্থীদের নিকট থেকে ৫২০ টাকা বাড়তি নিচ্ছেন। সরকার যে ভুতর্কী দিচ্ছে ৫২০ টাকা সে টাকা দিয়েই লার্নারের জন্য আবেদন করছেন। প্রশিক্ষনার্থী ১২০ জনের কাছ থেকে ৫২০ টাকা করে প্রায় তিন মাসে ৬২ হাজার ৪শ টাকা আয় করছেন অনিয়ম আর দুর্নীতি করে। তবে এই অনিয়ম আর দুর্নীতির টাকার অংশ পান তা জানা যায়নি।
পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোখলেছুর কবিরের নাম্বারে একাধিক বারে ফোন দেওয়ার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ফলে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
Editor: Ataur Rahman
News Editor: Shamim Reja
Phone no: +8801710048702
Email: ajkerkantho.news@gmail.com
Office email: admin@ajkerkantho.com
দৈনিক আজকের কন্ঠ