পঞ্চগড় জেলার,দেবীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে ওষুধ প্রশাসনে কর্মরত এক ব্যক্তির বাড়িতে অনশন করেছেন লিমা আক্তার নামে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে এক নারী। লিমা ঢাকার একটি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন। বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার তালেশ্বর ইউনিয়নে তার স্থায়ী বাড়ি।
অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম আব্দুল খালেক ওরফে খালেকুজ্জামান সৈকত। স্থানীয়ভাবে আব্দুল খালেক নামে পরিচিত। তিনি সম্প্রতি ড্রাগ সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসেবে ওষুধ প্রশাসন দফতরে যোগদান করেন। বর্তমানে লালমনিরহাটে কর্মরত আছেন তিনি। খালেকুজ্জামান সোনাহার মল্লিকাদহ ইউনিয়নের প্রধানের হাট এলাকার অফিত আলীর ছেলে।
১৫ জুন২০২৪, সন্ধ্যা অনূমান ৫.৩০ টায় তিনি বিয়ের দাবিতে আব্দুল খালেক ওরফে খালেকুজ্জামানের বাড়িতে আসেন।
ভুক্তভোগী বলেন আব্দুল খালেক ওরফে খালেকুজ্জামান সৈকত সাথে লিমার পরিচয় হয় তার এক রুমমেটের পরিচয় ধরে ও ফেসবুকে। খালেকুজ্জামান ঢাকায় চাকরির জন্য অবস্থান করেছিলেন কয়েক মাস। সে সময় তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ও গড়ে উঠে। এরই মধ্যে খালেকুজ্জামানের চাকরি হয় গত বছর অক্টোবরে। এই বছর ২৬ এপ্রিল বিসিএস পরীক্ষা দিতে ঢাকায় গেলে আবারো তারা একান্তে সময় কাটান। এইবার সুযোগ বুঝে খালেকুজ্জামান লিমার স্মার্টফোন থেকে তাদের অন্তরঙ্গ সকল ছবি ও পরস্পরের মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া ম্যাসেজ , whatsapp,ডিলিট করে দেন। চাকুরীতে যোগদান করার পর থেকে আব্দুল খালেক ওরফে খালেকুজ্জামান লিমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেন।
উপায়ন্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে আব্দুল খালেক ওরফে খালেকুজ্জামানের বাড়িতে আসতে হয় বলে জানান লিমা আক্তার।এইদিকে লিমা বাসায় আসার পরপরই রিমা আক্তার আব্দুল খালেক ওরফে খালেকুজ্জামানের দেখা পান তার নিজ বাসায় লিমাকে দেখে খালেকুজ্জামান সৈকত লিমাকে এড়িয়ে চলে যেতে চান লিমা তার হাত ধরে কথা বলার চেষ্টা কালে আব্দুল খালেক ওরফেক খালেকুজ্জামান সৈকত তার বড় ভাই ও বাবা-মা সহযোগিতায় লিমা আক্তার কে রেখে তার নিজ বাড়ি থেকে সটকে পড়েন। গভীর রাত অবধি তারা বাসায় ফিরেননি। রাতে লিমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরে স্থানীয়রা সোনাহারে ইউপি সদস্য র বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেন।
লিমা আক্তার রবিবার সকাল থেকে বিকাল ৫ ঘটিকা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও খালেকুজ্জামান কিংবা তার পরিবারের কারো সাথে দেখা করতে না পেরে লিমা। বাধ্য হয়ে স্থানীয়দের পরামর্শে সন্ধ্যা ৫ টার দিকে নিজ বাসা বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন । লিমা আক্তার যাওয়ার সময় দৈনিক আজকের কণ্ঠ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সম্মুখে সাক্ষাৎকারে বলেন আব্দুল খালেক ওরফে খালেকুজ্জামান সৈকত এর কিছু কর্তৃপয় লোকজন তার উপরে মানসিক টর্চার এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারার পিটের হুমকি দেয়। তিনি আরো বলেন আমি এখান থেকে চলে গেলেও পরবর্তীতেও আমি আমার স্ত্রীর দাবিতে আব্দুল খালেক ওরফে খালেকুজ্জামান সৈকত এর সাথে দেখা করব এবং আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাইবো । সাক্ষাৎকারে একপর্যায়ে লিমা কান্নায় ভেঙে পড়েন ।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে খালেকুজ্জামান বলেন লিমার সাথে তেমন কোন সম্পর্ক নেই। তার এক রুমমেটের মাধ্যমে আমার সঙ্গে পরিচিত হয়। আমি লিমার সঙ্গে কোন দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলিনি । তার সঙ্গে শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জারে কথা হয়েছিল। লিমাকে বিয়ে করবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল খালেক ওরফে খালেকুজ্জামান সৈকত বিষয়টি সুকৌশলী এড়িয়ে যান।
৬ নং সোনাহার মল্লিকা দহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, আমাকে কেউ ছেলে মেয়ের বিষয়টি অবগত করেনি ।
Editor: Ataur Rahman
News Editor: Shamim Reja
Phone no: +8801710048702
Email: ajkerkantho.news@gmail.com
Office email: admin@ajkerkantho.com
দৈনিক আজকের কন্ঠ