নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর মহাদেবপুরে পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ মজিবর রহমান, আশরাফ আলী ও পারুল বিবি নামে চার পরিবারের বাড়িঘর,ভাংচুর, লুটপাট ও ৯ জন সদস্য কে লাঠি সোটা, ইট পাটকেল, দেশিও ধারালো অস্ত্র দ্বারা মার পিট করে গুরুত্বর আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহাদেবপুর উপজেলার ৩নং খাজুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের (সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুল ইসলামের বাড়ির পার্শ্বে) মধ্য পাড়ায়। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী চারটি পরিবারে, সাবেক খাজুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুল ইসলামের, বড় ভাই মোঃ আঃ খালেক ও তার ছোট বোন পারুল সহ মোঃকামরুজ্জামান, কামরুজ্জামানের স্ত্রী, মোঃ হাইবাবু, মোঃবাবু, মোঃমামুন, মোঃ নওশাদ এবং মোঃ মাহাবুব আলম আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাবু, মামুন, নওশাদ,মাহাবুব ও পারুল মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন এবং আঃ খালেক, কামরুজ্জামান , হাইবাবু, কামরুজ্জামানের স্ত্রী, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। জানাগেছে,রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দিন সরদারের মোঃ আঃ খালেক সহ প্রতি বেশি আরো চারটি পরিবারে সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (খুকু), সাদ্দাম, রাশেদ, সাহেদ, সাকিব, নাবিউল, আতাব, কাউছার, সবুর, ফুয়াদ, আরাফাত, আজাহার এবং মোছাঃ ধলি, পচি, লাবনি, লতা, রেখা- গংদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে গত বুধবার সকাল ০৮ টার দিকে প্রতিপক্ষের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (খুকু), সাদ্দাম, রাশেদ, সাহেদ, সাকিব, নাবিউল, আতাব, কাউছার, সবুর, ফুয়াদ, আরাফাত, আজাহার এবং মোছাঃ ধলি, পচি, লাবনি, লতা, রেখা সহ অগ্যাত নামা আরো প্রায় ৩০/৪০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, ২টি গরু,২টি ছাগল, ২ টি চার্জর গাড়ি, ধান,চাল,নগদ ১৫ লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এতে তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় তারা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। বর্তমানে তারা নিজ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায় জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান। এর আগেও তারা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মার পিট, খুন জখম সহ নানা ধরনের মুহকি ও ভয় ভিতি দেখিয়ে ছিলো। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা এখনও চলমান রয়েছে বলেও জানান তারা। এব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে তারা বলেন,পরিকল্পিতভাবে ফাঁসাতেই তাদের বিরুদ্ধে এসব প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। বাড়িঘর ভাংচুর- মার পিট করে আহত করা সহ অন্যান্য মালামাল লুটপাটের বিষয়ে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রুহুল আমিন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বসতবাড়ি ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা কারো জন্যই কাম্য নয়। এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সকলকে ধর্য্য ধারনের আহব্বান জানান তিনি।