আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি ।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি হিরিক!
আতাউর রহমান, স্টাফ রিপোটার ।।
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রমানিক পাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে বরাদ্দের দুই টি ঘড় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে উপকারভোগীদের বিরুদ্ধে। তারা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার হাজার টাকায় ওই ঘর বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন।বলে
জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে র ১নং চিলাহাটি ইউয়িনের প্রমানিক পাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে ভূমিহীনদের জমিসহ আধা-পাকা বাড়ি উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। নিয়মানুযায়ী এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একসঙ্গে ২২টি ঘর নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হয় ভূমিহীনদের। আর ২২টি ঘরের ২টিই উপকারভোগীরা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রকল্পের ১১নম্বর ঘর বরাদ্দ হয়েছে মিন্টু ও তার স্ত্রী তাহেরা দম্পতি নামে। সরকারি বিভিন্ন নথিতে এ দম্পতির নাম রয়েছে। অথচ ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন কুরবান আলী ও তার পরিবার।১২ নম্বর ঘড়টি বরাদ্দ হয়েছে শফিক ও তার পরিবার রিনার নামে ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার
বর্তমানে ঘরটিতে বসবাসরত কুরবান ও তার পরিবার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি মিন্টুর কাছ থেকে কিনেছেন।
এবং জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি শফিক পিতা-মকবুল ও তার পরিবার রিনা বেগমের কাছ থেকে কিনেছেন।
একইভাবে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১১. ১২ নম্বর ঘর টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন উপকারভোগীরা। একেকটি ঘর ৭০ হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এসব ঘর যাদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, তারা কেউ এখন এখানে নেই এবং এখানে সবাস করেন না । যারা টাকা দিয়ে কিনেছেন তারাই এখন বসবাস করছেন।
এদিকে উপজেলা নিবাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।আর যুদি কেউ ঘর বিক্রির করে থাকে তাদের বন্দোবস্ত বাতিল করা হবে । এবং নিয়মানুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে পুনরায় বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।