সংবাদ শিরোনাম ::
জামালপুরে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল বাগেরহাট -৩ মনোনয়নপত্র জমা দিলেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এসো গড়ি রক্তের বন্ধন(সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা,রংপুর) এর ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পিং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল জয়পুরহাটে মিটার ও ট্রান্সফর্মার চুরি চক্রের মূলহোতাসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন কর্মসূচির সদস্যদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়া সেই স্বামীর প্রাণ গেল ট্রেনে ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠনঃআমিনুল সভাপতি, যাদু সম্পাদক

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি ।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি হিরিক!

আতাউর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০২:৫৭:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩ ৮২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক আজকের কন্ঠের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আতাউর রহমান, স্টাফ রিপোটার ।।

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রমানিক পাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে বরাদ্দের দুই টি ঘড় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে উপকারভোগীদের বিরুদ্ধে। তারা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার হাজার টাকায় ওই ঘর বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন।বলে

জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে র ১নং চিলাহাটি ইউয়িনের প্রমানিক পাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে ভূমিহীনদের জমিসহ আধা-পাকা বাড়ি উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। নিয়মানুযায়ী এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একসঙ্গে ২২টি ঘর নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হয় ভূমিহীনদের। আর ২২টি ঘরের ২টিই উপকারভোগীরা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রকল্পের ১১নম্বর ঘর বরাদ্দ হয়েছে মিন্টু ও তার স্ত্রী তাহেরা দম্পতি নামে। সরকারি বিভিন্ন নথিতে এ দম্পতির নাম রয়েছে। অথচ ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন কুরবান আলী ও তার পরিবার।১২ নম্বর ঘড়টি বরাদ্দ হয়েছে শফিক ও তার পরিবার রিনার নামে ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার

বর্তমানে ঘরটিতে বসবাসরত কুরবান ও তার পরিবার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি মিন্টুর কাছ থেকে কিনেছেন।

এবং জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি শফিক পিতা-মকবুল ও তার পরিবার রিনা বেগমের কাছ থেকে কিনেছেন।

একইভাবে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১১. ১২ নম্বর ঘর টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন উপকারভোগীরা। একেকটি ঘর ৭০ হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এসব ঘর যাদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, তারা কেউ এখন এখানে নেই এবং এখানে সবাস করেন না । যারা টাকা দিয়ে কিনেছেন তারাই এখন বসবাস করছেন।

এদিকে উপজেলা নিবাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।আর যুদি কেউ ঘর বিক্রির করে থাকে তাদের বন্দোবস্ত বাতিল করা হবে । এবং নিয়মানুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে পুনরায় বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি ।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি হিরিক!

আপডেট সময় : ০২:৫৭:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

 

আতাউর রহমান, স্টাফ রিপোটার ।।

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রমানিক পাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে বরাদ্দের দুই টি ঘড় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে উপকারভোগীদের বিরুদ্ধে। তারা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার হাজার টাকায় ওই ঘর বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন।বলে

জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে র ১নং চিলাহাটি ইউয়িনের প্রমানিক পাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে ভূমিহীনদের জমিসহ আধা-পাকা বাড়ি উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। নিয়মানুযায়ী এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একসঙ্গে ২২টি ঘর নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হয় ভূমিহীনদের। আর ২২টি ঘরের ২টিই উপকারভোগীরা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রকল্পের ১১নম্বর ঘর বরাদ্দ হয়েছে মিন্টু ও তার স্ত্রী তাহেরা দম্পতি নামে। সরকারি বিভিন্ন নথিতে এ দম্পতির নাম রয়েছে। অথচ ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন কুরবান আলী ও তার পরিবার।১২ নম্বর ঘড়টি বরাদ্দ হয়েছে শফিক ও তার পরিবার রিনার নামে ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার

বর্তমানে ঘরটিতে বসবাসরত কুরবান ও তার পরিবার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি মিন্টুর কাছ থেকে কিনেছেন।

এবং জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি শফিক পিতা-মকবুল ও তার পরিবার রিনা বেগমের কাছ থেকে কিনেছেন।

একইভাবে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১১. ১২ নম্বর ঘর টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন উপকারভোগীরা। একেকটি ঘর ৭০ হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এসব ঘর যাদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, তারা কেউ এখন এখানে নেই এবং এখানে সবাস করেন না । যারা টাকা দিয়ে কিনেছেন তারাই এখন বসবাস করছেন।

এদিকে উপজেলা নিবাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।আর যুদি কেউ ঘর বিক্রির করে থাকে তাদের বন্দোবস্ত বাতিল করা হবে । এবং নিয়মানুযায়ী যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে পুনরায় বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।