8:20 pm, Saturday, 27 July 2024

মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পরিবারের

সাঁথিয়ায় অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

পাবনা প্রতিনিধি।।

পাবনা প্রতিনিধিঃ

পাবনার সাঁথিয়া নাগডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজকে অপহরণ মামলায় আটক করা হয়েছে। শনিবার (১২ আগষ্ট)দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন অপহৃত যুবলীগ নেতা নান্নু। ওইদিন রাত্রি আড়াইটার দিকে থানা পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে তার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ । অপহরণ এ মামলার বাদী অপহৃতা নিজেই। তিনি একই ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের আনসার শেখের ছেলে ।

থানায় এজহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ আগষ্ট সোনাতলা গ্রামের আনসার শেখের ছেলে যুবলীগ নেতা নান্নু (৪৫) কে অপহরণ করে মারপিট করার অভিযোগ উঠে নাগডেমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অপহৃত নান্নু বাদী হয়ে গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানসহ ৫জনকে আসামী করে সাঁথিয়া থানায় মামলা করে। মামলার পরপরই ওই দিনই রাত আড়াইটার দিকে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ইউপি চেয়ারমান হাফিজকে।

এ দিকে ঘটনার দিন অপহৃতা বাদী নান্নুর সাথে থাকা নাগডেমড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহআলম জানান, গত ৮ আগষ্ট বিকেলে নান্নু আমাকে শাহজাদপুরের কথা বলে মটরসাইকেল যোগে বেলকুচি নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান হাফিজের ভাই বেলকুচি থানায় চাকুরি করার সুবাদে সেখানে ছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজের ভাইয়ের বাসায় সৌহার্দ্য পূর্ণ কথা হয় নান্নুর। এদিকে রাত হয়ে এলে আমরা ওখানেই একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করি। এর পর আমরা তিনজনই রাতে শাহজাদপুর এলে নান্নু শহরের সিরাজ প্লাজার সামনে নেমে যায়। সেখানে অপহরণ বা মারপিট কোন কিছুই হয় নাই। সব মিথ্যা, বানোয়াট।

ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, আমাকে মিথ্যা অপহরণ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বাদী নিজেই আমার সাথে দেখা করে কথাবার্তা বলে চলে যায়। এর পর হোটেলে খাওয়া দাওয়া করি এক সাথে। যা ওখানকার সিসিটিভি ফুটেজে সব প্রমানিত রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন এখানে অপহরণের কোন ঘটনাই ঘটে নাই।

এ দিকে চেয়ারম্যান হাফিজের স্ত্রীর অভিযোগ তার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। নান্নুকে কেউ অপহরণ করেনি। সে নিজেই বেলকুচি গিয়েছিল চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে। সে অপহৃত হলে সে কিভাবে সে ঘুরে বেড়ায়।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, গত শনিবার দিবাগত রাতে অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাকে পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 01:53:03 pm, Sunday, 13 August 2023
138 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পরিবারের

সাঁথিয়ায় অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আপডেট সময় : 01:53:03 pm, Sunday, 13 August 2023

পাবনা প্রতিনিধিঃ

পাবনার সাঁথিয়া নাগডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজকে অপহরণ মামলায় আটক করা হয়েছে। শনিবার (১২ আগষ্ট)দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন অপহৃত যুবলীগ নেতা নান্নু। ওইদিন রাত্রি আড়াইটার দিকে থানা পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে তার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ । অপহরণ এ মামলার বাদী অপহৃতা নিজেই। তিনি একই ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের আনসার শেখের ছেলে ।

থানায় এজহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ আগষ্ট সোনাতলা গ্রামের আনসার শেখের ছেলে যুবলীগ নেতা নান্নু (৪৫) কে অপহরণ করে মারপিট করার অভিযোগ উঠে নাগডেমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অপহৃত নান্নু বাদী হয়ে গত শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানসহ ৫জনকে আসামী করে সাঁথিয়া থানায় মামলা করে। মামলার পরপরই ওই দিনই রাত আড়াইটার দিকে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে ইউপি চেয়ারমান হাফিজকে।

এ দিকে ঘটনার দিন অপহৃতা বাদী নান্নুর সাথে থাকা নাগডেমড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহআলম জানান, গত ৮ আগষ্ট বিকেলে নান্নু আমাকে শাহজাদপুরের কথা বলে মটরসাইকেল যোগে বেলকুচি নিয়ে যায়। চেয়ারম্যান হাফিজের ভাই বেলকুচি থানায় চাকুরি করার সুবাদে সেখানে ছিলেন তিনি। সেখানে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজের ভাইয়ের বাসায় সৌহার্দ্য পূর্ণ কথা হয় নান্নুর। এদিকে রাত হয়ে এলে আমরা ওখানেই একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করি। এর পর আমরা তিনজনই রাতে শাহজাদপুর এলে নান্নু শহরের সিরাজ প্লাজার সামনে নেমে যায়। সেখানে অপহরণ বা মারপিট কোন কিছুই হয় নাই। সব মিথ্যা, বানোয়াট।

ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, আমাকে মিথ্যা অপহরণ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বাদী নিজেই আমার সাথে দেখা করে কথাবার্তা বলে চলে যায়। এর পর হোটেলে খাওয়া দাওয়া করি এক সাথে। যা ওখানকার সিসিটিভি ফুটেজে সব প্রমানিত রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন এখানে অপহরণের কোন ঘটনাই ঘটে নাই।

এ দিকে চেয়ারম্যান হাফিজের স্ত্রীর অভিযোগ তার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। নান্নুকে কেউ অপহরণ করেনি। সে নিজেই বেলকুচি গিয়েছিল চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে। সে অপহৃত হলে সে কিভাবে সে ঘুরে বেড়ায়।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, গত শনিবার দিবাগত রাতে অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে তাকে পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে