সংবাদ শিরোনাম ::

দেবীগঞ্জে অবৈধভাবে বিক্রয় হওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্ধার।

আতাউর রহমান , পঞ্চগড়
  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩ ৬১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক আজকের কন্ঠের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আতাউর রহমান ,পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ১ নং চিলাহাটি ইউনিয়নের প্রমানিক পাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে বরাদ্দের দুই টি ঘড় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে উপকার ভোগীরা স্ট্যাম্পের

মাধ্যমে ৭০ হাজার হাজার টাকায় ওই ঘর বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন।জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে র ১নং চিলাহাটি ইউয়িনের প্রমানিক পাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে ভূমিহীনদের জমিসহ আধা-পাকা বাড়ি উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। নিয়মানুযায়ী এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একসঙ্গে ২২টি ঘর নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হয় ভূমিহীনদের মাঝে। আর ২২টি ঘরের ২টিই উপকারভোগীরা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌসের নির্দেশনায় আজ সোমবার ১৪/০৮/২০২৩ দুপুর ১১.০০ ঘটিকায় দেবীগঞ্জ-উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী সরদার ও মমিন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা ,সরেজমিন গিয়ে দেখেন আশ্রয়ন প্রকল্পের ১১নম্বর ঘর বরাদ্দ হয়েছে মিন্টু ও তার স্ত্রী তাহেরা দম্পতি নামে। সরকারি বিভিন্ন নথিতে এ দম্পতির নাম রয়েছে। অথচ ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন কুরবান আলী ও তার পরিবার। ১২ নম্বর ঘর টি বরাদ্দা হয়েছে শফিক ও তার পরিবার রিনার নামে ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার।বর্তমানে ঘরটিতে বসবাসরত কুরবান ও তার পরিবার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি মিন্টুর কাছ থেকে ক্রয় করেন।এবং জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি শফিক পিতা-মকবুল ও তার পরিবার রিনা বেগমের কাছ থেকে কিনেছেন।একইভাবে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১১. ১২ নম্বর ঘর টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন উপকারভোগীরা। একেকটি ঘর ৭০ হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এসব ঘর যাদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, তারা কেউ এখন এখানে নেই এবং এখানে বসবাস করেন না। যারা টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন তারাই এখন বসবাস করেন বলে জানা গেছে

 পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তালা বন্ধ করে দেন। ঘর বিক্রেতা শফিক তার স্ত্রী ও মিন্টুর তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের নামের বন্দোবস্ত ঘর দুটি বাতিল করে ।পুনরায় ভূমিহীনদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ।

 যারা ভূমিহীন গৃহহীনের বাড়ি ঘর বেঁচা কেনা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

দেবীগঞ্জে অবৈধভাবে বিক্রয় হওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্ধার।

আপডেট সময় : ০২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

 

আতাউর রহমান ,পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ১ নং চিলাহাটি ইউনিয়নের প্রমানিক পাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে বরাদ্দের দুই টি ঘড় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে উপকার ভোগীরা স্ট্যাম্পের

মাধ্যমে ৭০ হাজার হাজার টাকায় ওই ঘর বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন।জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে র ১নং চিলাহাটি ইউয়িনের প্রমানিক পাড়া গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারিভাবে ভূমিহীনদের জমিসহ আধা-পাকা বাড়ি উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। নিয়মানুযায়ী এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে একসঙ্গে ২২টি ঘর নির্মাণ করে বরাদ্দ দেয়া হয় ভূমিহীনদের মাঝে। আর ২২টি ঘরের ২টিই উপকারভোগীরা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌসের নির্দেশনায় আজ সোমবার ১৪/০৮/২০২৩ দুপুর ১১.০০ ঘটিকায় দেবীগঞ্জ-উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী সরদার ও মমিন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা ,সরেজমিন গিয়ে দেখেন আশ্রয়ন প্রকল্পের ১১নম্বর ঘর বরাদ্দ হয়েছে মিন্টু ও তার স্ত্রী তাহেরা দম্পতি নামে। সরকারি বিভিন্ন নথিতে এ দম্পতির নাম রয়েছে। অথচ ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন কুরবান আলী ও তার পরিবার। ১২ নম্বর ঘর টি বরাদ্দা হয়েছে শফিক ও তার পরিবার রিনার নামে ঘরটিতে এখন বসবাস করছেন জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার।বর্তমানে ঘরটিতে বসবাসরত কুরবান ও তার পরিবার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি মিন্টুর কাছ থেকে ক্রয় করেন।এবং জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার আফরোজা আক্তার জানান, ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকায় তিনি শফিক পিতা-মকবুল ও তার পরিবার রিনা বেগমের কাছ থেকে কিনেছেন।একইভাবে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১১. ১২ নম্বর ঘর টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন উপকারভোগীরা। একেকটি ঘর ৭০ হাজার হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এসব ঘর যাদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, তারা কেউ এখন এখানে নেই এবং এখানে বসবাস করেন না। যারা টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন তারাই এখন বসবাস করেন বলে জানা গেছে

 পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তালা বন্ধ করে দেন। ঘর বিক্রেতা শফিক তার স্ত্রী ও মিন্টুর তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের নামের বন্দোবস্ত ঘর দুটি বাতিল করে ।পুনরায় ভূমিহীনদের মাঝে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ।

 যারা ভূমিহীন গৃহহীনের বাড়ি ঘর বেঁচা কেনা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস ।