বিরলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী গ্রেফতার

- আপডেট সময় : ০৪:২৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

তাজুল ইসলাম, বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরলে স্ত্রীকে হত্যায় দায়ে স্বামী গ্রেফতার। নিহত রেশমী রাণীর বড়ভাই বাদী হয়ে বিরল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ধৃত আসামী নিহতের স্বামী ধীরাজ কুমার সরকারকে (৩০) সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহতের স্বজনরা জানান, বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের ভান্ডারা গ্রামের মানপাড়ার অসীম কুমার সরকারের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রেশমী রাণীর (২৪) ৫/৬ বছর আগে একই উপজেলার রাণীপুকুর ইউনিয়নের নলীনি কান্ত সরকারের ছেলে ধীরাজ কুমার সরকারের (৩০) সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতেই স্ত্রী রেশমী রাণীকে কারন অকারনে শারীরিক নির্যাতন করত নিহতের স্বামী ধীরাজ কুমার সরকার। রেশমী রাণী স্বামীর সংসার করার পাশাপাশি সে এবার বিরল সরকারি ডিগ্রী কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীর তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
নিহতের স্বামী ধীরাজ কুমার সরকার বলেন, দ্বাদশ শ্রেনীর তৃতীয় বর্ষের ফরম ফিলাপের টাকা চেয়েছিল। ফরম ফিলাপের টাকা না পেয়ে আজ (১৩ আগস্ট) বিকেলে বাড়ীর লোকজনের অগোচরে শয়ন ঘরের তীরের সাথে মোটর সাইকেলে ব্যাগ বাধার রাবার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। অপরদিকে, নিহতের বড় ভাই অমিত্র চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে রেশমী রাণীকে নির্যাতনের বিষয়ে মুঠোফোন জানিয়ে তাঁকে বাড়ীতে নিয়ে যেতে বলে। কিছুক্ষন পরেই বোনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেস্টা করে ফোনবন্ধ পেয়ে আমি দ্রুত দিনাজপুর থেকে মোটর সাইকেল যোগে বোনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই ঘরের মেঝেতে তাঁর বোনকে শুয়ে রাখা হয়েছে। লোকমুখে শুনতে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে বোনের দুই কানে রক্ত দেখি। তাকে পুর্ব-পরিকল্পিতভাবে গলা টিপিয় শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে কৌশল অবলম্বন করছে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। এবং নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রেশমী রাণীর স্বামী ধীরাজ কুমার সরকারতে আসামী করে বিরল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের বড়ভাই অমিত্র চন্দ্র রায়।
বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হাসান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই বাদী হয়ে রেশমী রাণীর স্বামী ধীরাজকে আসামী করে একটি মামলা করেছে। আটক ধীরাজকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষে নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। নিহত রেশমী রাণীর স্বজনরা সুষ্ঠ্য বিচার দাবি করেছেন।