সংবাদ শিরোনাম ::

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ থানায় মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ও তার পরিবারের লোকজনকে হয়রানী

সামজাদ জসি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।
  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক আজকের কন্ঠের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সামজাদ জসি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্যবসায়ী তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ
ও তার পরিবারকে মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা গেছে

আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতা জনি মিয়াকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। এঘটনায় বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে নিহতের বাবা মকসেন মিয়া বাদী হয়ে উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সামা ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসনসহ ১৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। বাবা-ছেলে দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা এবং দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করেছে। তারা হলেন, তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।

এর আগে গত সোমবার রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারের অদূরে ওই গ্রামের মকসেন মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া নামে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম করে এবং আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।

ঘটনা ও ঘটনার সময় মামলার যে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছে ওই সময় মামলায় 12 নং আসামি করা হয় আজিম কে শেখ আজিম তার নিজ দোকানে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যস্ত ছিলেন তার প্রমান একটি ভিডিও ফুটেজ তার দোকানের সিসি ক্যামেরা থেকে সংগ্রহ করা হয় যাহাতে দেখা যায় সে ঘটনার সময় এবং ঘটনার পর সময় পর্যন্ত তার দোকানে বেচা কেনার কাজে ব্যস্ত থাকেন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এলাকাটি শুনশান নিরবতা নিস্তব্ধ হয়ে আছে। শেখ আজিমের বাড়িঘর এবং তার পরিবার জন এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে তার পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদেরকে জানাই পূর্ব শত্রুতার জেরে এ মামলায় তাকে জড়িত করেছে বলে তার পরিবারের লোকজন দাবি করেন। তখন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বললেন আমাদের গুষ্টির শেখ বাড়ির মোঃ শেখ সেলিম, শেখ পারভেজ, শেখ সৈকত, শেখ নাজিম সহ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সোলাইমান ও ইউপি মেম্বার এরা সবাই মিলে এবং আজিমের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান শেখ সেলিম, শেখ পারভেজ শেখ সৈকত আলী ও শেখ নাজিম এরা সবাই মিলে ইউপি চেয়ারম্যান সোলাইমানকে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় আজিমকে ফাঁসিয়েছেন বলে দাবি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ থানায় মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ও তার পরিবারের লোকজনকে হয়রানী

আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

সামজাদ জসি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্যবসায়ী তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ
ও তার পরিবারকে মিথ্যা খুনের মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা গেছে

আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতা জনি মিয়াকে (৩৫) ছুরিকাঘাতে পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়। এঘটনায় বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে নিহতের বাবা মকসেন মিয়া বাদী হয়ে উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সামা ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসনসহ ১৫ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। বাবা-ছেলে দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা এবং দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করেছে। তারা হলেন, তালশহর গ্রামের আজহার শেখের ছেলে আজিম শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২)।

এর আগে গত সোমবার রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারের অদূরে ওই গ্রামের মকসেন মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া নামে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে গুরুতর জখম করে এবং আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করে। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।

ঘটনা ও ঘটনার সময় মামলার যে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছে ওই সময় মামলায় 12 নং আসামি করা হয় আজিম কে শেখ আজিম তার নিজ দোকানে ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে ব্যস্ত ছিলেন তার প্রমান একটি ভিডিও ফুটেজ তার দোকানের সিসি ক্যামেরা থেকে সংগ্রহ করা হয় যাহাতে দেখা যায় সে ঘটনার সময় এবং ঘটনার পর সময় পর্যন্ত তার দোকানে বেচা কেনার কাজে ব্যস্ত থাকেন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় এলাকাটি শুনশান নিরবতা নিস্তব্ধ হয়ে আছে। শেখ আজিমের বাড়িঘর এবং তার পরিবার জন এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে তার পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদেরকে জানাই পূর্ব শত্রুতার জেরে এ মামলায় তাকে জড়িত করেছে বলে তার পরিবারের লোকজন দাবি করেন। তখন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বললেন আমাদের গুষ্টির শেখ বাড়ির মোঃ শেখ সেলিম, শেখ পারভেজ, শেখ সৈকত, শেখ নাজিম সহ বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সোলাইমান ও ইউপি মেম্বার এরা সবাই মিলে এবং আজিমের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান শেখ সেলিম, শেখ পারভেজ শেখ সৈকত আলী ও শেখ নাজিম এরা সবাই মিলে ইউপি চেয়ারম্যান সোলাইমানকে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় আজিমকে ফাঁসিয়েছেন বলে দাবি করেন।