সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়া সেই স্বামীর প্রাণ গেল ট্রেনে ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠনঃআমিনুল সভাপতি, যাদু সম্পাদক ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত। ফুলবাড়ীতে মা আমেনা বালিকা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুরআনের সবক প্রদান সাদুল্লাপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু  মঙ্গলবার থেকে বুধবার ২৪ ঘন্টায় ৫ টি যানবাহনে আগুন জামালপুর-২ আসনের সম্ভাব্য সতন্ত্র প্রার্থীর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জামালপুর সদরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ জয়পুরহাট অবরোধ ও হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল

শরীয়তপুরের চিতলিয়ায় গরুর গোবরে আটকে আছে শিশুদের পড়াশোনা

মোঃ মহসিন রেজা শরীয়তপুর প্রতিনিধি।
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩ ২৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক আজকের কন্ঠের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃ মহসিন রেজা শরীয়তপুর প্রতিনিধি।

শরীয়তপুরের চিতলিয়া ইউনিয়নে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় গরুর গোবর ফেলে রাস্তা আটকানোর অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চিতলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কাশিপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার পূর্বপাশে পরিবারের স্ত্রী, ছোট ছোট শিশু সন্তান নিয়ে বাস করছেন আব্দুর রশিদ, হঠাৎ করে গত ২২আগষ্ট থেকে তার বাড়িতে ঢোকার খাশ জায়গার রাস্তায় মোহাম্মদ হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাস্তার পাশে থাকা গরুর ঘর থেকে গোবর ফেলে রাস্তাটি আটকে দিয়েছেন। এর ফলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আর কোনো রাস্তা না থাকায় স্থানীয় স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে পারছেনা ছোট ছোট শিশুরা। তাদের পরাশোনা এই গোবরের কারনে আটকে আছে। আব্দুর রশিদ সোনালী ব্যাংকের আংগারিয়া শাখার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরী করছেন।
এঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ বলেন আমার বাড়ি আংগারিয়া ইউনিয়নের পরাসুদ্দির মধ্যে পড়েছে আর মোহাম্মদ হাওলাদারের বাড়ি চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুরে পড়েছে, আমার সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহাম্মদ হাওলাদার আমার বাড়িতে ঢোকার রাস্তায় গোবর ফেলে রাখায় আমার ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে পারছেনা, আমি অফিসে যাওয়ার সময় খুব কষ্টে বের হই, বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ও চিতলিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম হাওলাদার সাহেবকে জানিয়েছি, আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এছাড়া কাশিপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরও প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে দূর্গন্ধের কবলে। গোয়াল ঘরগুলো রাস্তার পাশে বানানোর কারণে স্থানীয়রা রয়েছেন বিপাকে। কারও কোনো কথাই মানছেননা গরু পালনকারী মোহাম্মদ হাওলাদার ও মোতালেব হাওলাদার।

স্থানীয়রা, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও সরাতে পারছেনা গোয়াল ঘরগুলো, তাদের অভিযোগ গোয়াল ঘর মালিকের ছেলে ও মেয়ের জামাই পুলিশের এসআই হওয়ায় তাদের প্রভাব দেখিয়ে এধরনের নোংরা আবর্জনা স্তুুপ বানিয়ে রাখছেন তারা।

এবিষয়ে কাশিপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি এই গোয়াল ঘরের গন্ধে ঠিকমতো ক্লাস করা যায়না। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তার পাশ থেকে গরুর গোয়াল ঘর সরানোর ব্যবস্থা করা হোক।

তাছাড়া নাজমুল হাওলাদার, গোলাম মাওলা হাওলাদারসহ অনেকেই বিষয়টিকে নোংরামি বলে উল্লেখ করে বলেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান দাবি করছি।

এবিষয়ে আংগারিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারর নিকট এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দরখাস্ত দিয়েছেন,স্যার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী কাল আমি যাবো।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমরা দেখতেছি, ও (আব্দুর রশিদ) আবার নিজেরটা বেশি বুঝে অন্যেরটা বুঝতে চায়না।

এঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি চন্দ্র বিকাশ জানান, ঘটনাটি আমি জেনেছি এবং আংগারিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

শরীয়তপুরের চিতলিয়ায় গরুর গোবরে আটকে আছে শিশুদের পড়াশোনা

আপডেট সময় : ০১:০৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

মোঃ মহসিন রেজা শরীয়তপুর প্রতিনিধি।

শরীয়তপুরের চিতলিয়া ইউনিয়নে বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায় গরুর গোবর ফেলে রাস্তা আটকানোর অভিযোগ উঠেছে মোহাম্মদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চিতলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কাশিপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার পূর্বপাশে পরিবারের স্ত্রী, ছোট ছোট শিশু সন্তান নিয়ে বাস করছেন আব্দুর রশিদ, হঠাৎ করে গত ২২আগষ্ট থেকে তার বাড়িতে ঢোকার খাশ জায়গার রাস্তায় মোহাম্মদ হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাস্তার পাশে থাকা গরুর ঘর থেকে গোবর ফেলে রাস্তাটি আটকে দিয়েছেন। এর ফলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আর কোনো রাস্তা না থাকায় স্থানীয় স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে পারছেনা ছোট ছোট শিশুরা। তাদের পরাশোনা এই গোবরের কারনে আটকে আছে। আব্দুর রশিদ সোনালী ব্যাংকের আংগারিয়া শাখার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরী করছেন।
এঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ বলেন আমার বাড়ি আংগারিয়া ইউনিয়নের পরাসুদ্দির মধ্যে পড়েছে আর মোহাম্মদ হাওলাদারের বাড়ি চিতলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুরে পড়েছে, আমার সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহাম্মদ হাওলাদার আমার বাড়িতে ঢোকার রাস্তায় গোবর ফেলে রাখায় আমার ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে পারছেনা, আমি অফিসে যাওয়ার সময় খুব কষ্টে বের হই, বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার ও চিতলিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম হাওলাদার সাহেবকে জানিয়েছি, আমি এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এছাড়া কাশিপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরও প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে দূর্গন্ধের কবলে। গোয়াল ঘরগুলো রাস্তার পাশে বানানোর কারণে স্থানীয়রা রয়েছেন বিপাকে। কারও কোনো কথাই মানছেননা গরু পালনকারী মোহাম্মদ হাওলাদার ও মোতালেব হাওলাদার।

স্থানীয়রা, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও সরাতে পারছেনা গোয়াল ঘরগুলো, তাদের অভিযোগ গোয়াল ঘর মালিকের ছেলে ও মেয়ের জামাই পুলিশের এসআই হওয়ায় তাদের প্রভাব দেখিয়ে এধরনের নোংরা আবর্জনা স্তুুপ বানিয়ে রাখছেন তারা।

এবিষয়ে কাশিপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবি এই গোয়াল ঘরের গন্ধে ঠিকমতো ক্লাস করা যায়না। যত দ্রুত সম্ভব রাস্তার পাশ থেকে গরুর গোয়াল ঘর সরানোর ব্যবস্থা করা হোক।

তাছাড়া নাজমুল হাওলাদার, গোলাম মাওলা হাওলাদারসহ অনেকেই বিষয়টিকে নোংরামি বলে উল্লেখ করে বলেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান দাবি করছি।

এবিষয়ে আংগারিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারর নিকট এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দরখাস্ত দিয়েছেন,স্যার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী কাল আমি যাবো।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমরা দেখতেছি, ও (আব্দুর রশিদ) আবার নিজেরটা বেশি বুঝে অন্যেরটা বুঝতে চায়না।

এঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি চন্দ্র বিকাশ জানান, ঘটনাটি আমি জেনেছি এবং আংগারিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি।