পঞ্চগড় সদর উপজেলার একমাত্র মৎস্য হ্যাচারী “সাহেরা মৎস্য খামার”

- আপডেট সময় : ০৭:১৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩ ৫১ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি।।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার একমাত্র ও জেলার দ্বিতীয় মৎস হ্যাচারী ” সাহেরা মৎস্য খামার । জেলার সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের প্রান্তিক এলাকার মুড়িজোদ গ্রামে ২০২০ সালে উদ্যোক্তা মোঃ সাগর ইসলাম এই খামার গড়ে তোলেন। যা এলাকার মাছ চাষীদের নতুন করে আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে। জেলায় চাহিদার প্রায় ৩০ ভাগ পোনা মাছ বর্তমানে সরবরাহ করছে এই মৎস্য হ্যাচারি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলাগুলিতে পোনা মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চান উদ্যোক্তা মোঃ সাগর ইসলাম। প্রায় ২০ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা মৎস্য খামারে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত জাতের বিদেশী মাছের পোনার পাশাপাশি পুকুর পাড়ে সারিবদ্ধ লেবু ও পেঁপে গাছ। মৎস্য খামারের পাশেই প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে আমবাগান করেছেন তিনি। এতে স্থানীয় প্রায় ২০/২৫ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এখানে। এ বিষয়ে উদ্যোক্তা মোঃ সাগর ইসলাম বলেন, পড়াশোনা শেষ করে প্রথমে যুব উন্নয়ন থেকে পরে নিজ খরচে দেশের বাইরে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০২০ সালে স্থানীয়দের কাছ থেকে জমিগুলো লিজ নেই এবং এই মৎস্য হ্যাচারি ও আমবাগান করি। খরা মৌশুমে পানি না থাকায় কেউ এই এলাকায় মাছের খামার করার সাহস করে নি। সাড়া বছর যেন পুকুরে পানি থাকে আমি কৃত্রিম ভাবে সেই ব্যবস্থা এখানে করেছি। চাকুরির পেছনে না গিয়ে অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে পরিশ্রম করে এগুলো করেছি। এখানে প্রায় ২০/২৫ জন মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তেঁতুলিয়া উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আমার এখান থেকে পোনা মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলায় চাহিদার প্রায় ২৫/৩০ ভাগ পোনা মাছ আমি সরবরাহ করছি। আমি আশাবাদী আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলাগুলিতে পোনা মাছ সরবরাহ করতে পারবো। স্থানীয়রা জানান, এখানে সাগর ইসলাম যখন মৎস্য খামার ও হ্যাচারি করেন তখন এই পুকুর গুলো গর্ত ছিল। এগুলো পতিত পড়ে ছিল।
তিনি এগুলো সংস্কার করে পুকুরে পরিণত করেছে। আমরা স্বল্পমূল্যে এখান থেকে খাওয়ার মাছ ও মাছের পোনা নিতে পারি। এতে এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষেরাও মাছ খেতে পারে। অনেক মানুষের এখানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তবে মৎস্য হ্যাচারিটির অবস্থান সীমান্তের খুব কাছে হওয়ায় এই এলাকা দিয়ে আগে যারা চোরাচালান করতো এখন আর তারা এই রুট ব্যবহার করতে পারছ না। খামারের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত প্রচুর পরিমাণে থাকা বৈদ্যুতিক লাইট এর আলোতে অনেক দুর পর্যন্ত আলোকিত হয়। সেখানে বিজিবি সবসময় সতর্ক অবস্থান নেওয়ায় ঐ এলাকা দিয়ে যারা অবৈধ ভাবে চোরাচালান করতো তারা বেশ অসুবিধায় পরেছে বর্তমানে। এই চোরাচালানকারী চক্রটি বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে বিভিন্ন ভাবে হ্যাচারি মালিকের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। বেকার যুব সমাজ হতাশা নিয়ে ঘরে বসে না থেকে মোঃ সাগর ইসলামে’র পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেরাও ভালো উদ্যোক্তা হবেন এমনটাই আশা করছেন সুশীল সমাজ।