ছাত্রশিবিরের নাটোর জেলার সাবেক সভাপতি গ্রেফতারে তীব্র নিন্দা ।
![](https://ajkerkantho.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুনের মামলায় সাবেক জেলা সভাপতিকে জড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদনাটোরের লালপুরে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আওয়ামীলীগ নেতা ওসমান গনি প্রামাণিক খুনের মামলায় নাটোর জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মহসিন আলম এবং তাঁর পিতা মোখলেসুর রহমানকে অন্যায়ভাবে জড়িয়ে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির নাটোর জেলা শাখা।এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের নাটোর জেলা সভাপতি সাজেদুর রহমান ও জেলা সেক্রেটারি আদিল হাসান বলেন, “আবারো আওয়ামী হিংস্রতার বিকৃত রূপ দেখল দেশবাসী। গত সেপ্টেম্বর নাটোর লালপুরে আওয়ামীলীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল গ্রুপের নেতা ওসমান গনি প্রামাণিককে হাত-পায়ের রগ কেটে এবং কুপিয়ে নির্মমভাবেচ হত্যা করা হয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশ ও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদের অনুসারীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে লালপুর থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন বলেছেন, ‘গত জানুয়ারিতে ওই গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে হত্যা করা হয়। ওসমান সেই মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পাল্টা খুনের ঘটনা।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফ হোসেন বলেছেন, ‘গত চার বছর ধরে ওসমানের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউলের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধে ওসমানের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা, ভাইসহ পরিবারের কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষ। এর জেরে সাবেক চেয়ারম্যান রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পূর্ববিরোধ থেকেই ওসমানকে হত্যা করা হয়েছে।’ আদল হোসেন আরো বলেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ও ‘নিহতের স্ত্রীসহ সবাই আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে বক্তব্য দিয়েছেন। যা বিভিন্ন দৈনিক ও গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়েছে। এর আগেও এই এলাকায় আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কারো বক্তব্যে সাবেক শিবির নেতা মহসিন আলমের নাম উচ্চারিত হয়নি। তবুও আওয়ামী বর্বরতা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে এ ঘটনার সাথে জড়িয়ে নিরপরাধ সাবেক শিবির নেতা ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘৃন্য ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, “যেখানে প্রতক্ষদর্শী, লালপুর থানার ওসি, নিহতের স্ত্রী, স্থানীয় ইউপি সদস্য, ছাত্রলীগ নেতাসহ সবাই বলেছে এ হত্যাকাণ্ড আওয়ামীলীগের কোন্দলে হয়েছে, সেখানে কোন যুক্তিতে সাবেক শিবির নেতা ও তাঁর পিতাকে এ মামলার সাথে জড়ানো হলো—তার জবাব চায় দেশবাসী। এর আগেও এই এলাকায় একাধিক খুন হলেও পুলিশ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আবারো খুন হয়েছে। পুলিশ খুন বন্ধে চিহ্নিত খুনিদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো নিরপরাধ সাবেক শিবির নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন বলেন, “অবিলম্বে এই মামলা থেকে সাবেক শিবির নেতা মহসিন আলম ও তাঁর পিতা মোখলেসুর রহমানের নাম প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
দৈনিক আজকের কন্ঠ সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে।
ধন্যবাদ আপনাকে।