সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়া সেই স্বামীর প্রাণ গেল ট্রেনে ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠনঃআমিনুল সভাপতি, যাদু সম্পাদক ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত। ফুলবাড়ীতে মা আমেনা বালিকা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুরআনের সবক প্রদান সাদুল্লাপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু  মঙ্গলবার থেকে বুধবার ২৪ ঘন্টায় ৫ টি যানবাহনে আগুন জামালপুর-২ আসনের সম্ভাব্য সতন্ত্র প্রার্থীর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় জামালপুর সদরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ জয়পুরহাট অবরোধ ও হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল

ডিমান্ডচার্জ ৩৭ টাকা ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল নয়’ সম্মানহানির লক্ষ্যে গণমাধ্যমে – অপপ্রচার !

টুটুল ইসলাম লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক আজকের কন্ঠের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তাঁর বাবা ও ছেলের নামে থাকা চারটি বিদ্যুৎ সংযোগের এক লাখ ৭১ হাজার ৭৩৬ টাকাবিপরীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) তবে রাতের মধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যানেজার।এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে মন্ত্রীর বাড়ির মাসিক বিল ৩২, ৩৭, ৫২, ৬৫, ৭২ টাকা বলা হলেও তা বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর নয়, নেসকো এটিকে বলছে ‘ডিমান্ডচার্জ’। বিদ্যুৎ ব্যবহার না হলে শুধু ডিমান্ডচার্জ করা হয় বলে জানিয়েছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।কিন্তু ডিমান্ড চার্জকে বিদ্যুৎ বিল বলে কিছু গণমাধ্যম অপপ্রচার ” করেছে।গণমাধ্যম ভাইরাল- মন্ত্রী বাড়ির বিদ্যুৎ বিল।হঠাৎ এমন বিল খবর আসার কারণ জানতে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির অফিসে যোগাযোগ করলেও, কোন সদুত্তর পাননি মন্ত্রী পরিবার।সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২(আদিতমারী-কালীগঞ্জ)আসনের সংসদ সদস্য। তাঁর বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম গ্রামে। তাঁর ছেলেরাকিবুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।মন্ত্রীর বাবা প্রয়াত করিম উদ্দিন আহমেদও ছিলেন সংসদ সদস্য।জানা গেছে, একটি সেচপাম্পসহ ওই তিনজনের নামে থাকা চারটি সংযোগের বিপরীতে নেসকোর মোট বকেয়ার পরিমাণ এক লাখ ৭১ হাজার ৭৩৬ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা তা পরিশোধ হয়েছে বলে জানা গেছে।তবে নেসকোর কালীগঞ্জ অফিস জানিয়েছে, পরিশোধের জন্য গতকাল দুপুরে অফিসথেকে বিল সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগসহ ব্যক্তিগত ম্যানেজারের গাফিলাতিতে বিল বকেয়া পড়েছে বলে দাবি করেছে মন্ত্রীর পরিবার।নেসকো জানিয়েছে, সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও বিল পরিশোধের জন্য মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয়কাজে মন্ত্রী ও তাঁর পরিবার বেশিরভাগ সময়ই ঢাকায় থাকেন ফলে বিলগুলো বকেয়া পড়ে থাকতে পারে।জানা গেছে, বাড়িতে মন্ত্রী ও তাঁর ছেলের নামে রয়েছে দুটি পৃথক আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগ। মন্ত্রীর বাবার নামে কালীগঞ্জ বাজারে আছে একটি বাণিজ্যিক সংযোগ। অপরদিকে উপজেলার দক্ষিণঘনেশ্যাম এলাকায় মন্ত্রীর নামে রয়েছে অপর একটি সেচপাম্পের সংযোগ।নেসকোর ওয়েবসাাইটে দেখা যায়, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদেরনামে আবাসিক সংযোগটির বিপরীতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গত জুলাইপর্যন্ত মোট বকেয়া ১১ হাজার ৬২০ টাকা। এই সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩২ ও সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪০৮ টাকা বিল এসেছে।ওই সময়ে রাকিবুজ্জামান আহমেদের আবাসিক সংযোগে নেসকোর পাওনা ৭৯ হাজার ৯৯৫ টাকা।

এ বছরের জুলাই মাসে তার বিল এসেছে ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। মার্চ থেকে জুন পর্যন্তপ্রতিমাসের বিল ১০ হাজার ৭৭৭ টাকা করে। তার সর্বনি¤œ বিল দেখানো হয়েছে ২০২১ সালের এপ্রিলে ৭২ টাকা। মন্ত্রীর নামে থাকা সেচ সংযোগে নেসকোর মোট পাওনা ৬১ হাজার ৩৪৪ টাকা। প্রয়াত করিম উদ্দিন আহমেদের নামেথাকা বাণিজ্যিক সংযোগের বিপরীতে পাওনা রয়েছে ১৮ হাজার ৫৭৭ টাকা।নেসকোর কালীগঞ্জ বিতরণ ও বিক্রয় কেন্দ্রে গতকাল নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবুররহমানকে পাওয়া যায়নি। তবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজোয়ানুল ইসলাম বলেন,‘৩২, ৩৭ বা ৫৭ টাকা ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিপরীতে কোনো বিল নয়। এটাকে বলা হয় ডিমান্ডচার্জ।ব্যবহারকারীর বিদ্যুৎ সংযোগ সচল আছে কিন্তু গোটা মাসে ব্যবহার হয়নি এমন ক্ষেত্রে ডিমান্ডচার্জ করা হয়। পরিবারটি বলতে গেলে ঢাকাতেই থাকেন তাই ডিমান্ডচার্জ বা সামান্য বিল হবে এটাই স্বাভাবিক।’খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজকল্যাণমন্ত্রী, তাঁর ছেলেসহ পুরো পরিবার গত কয়েকবছর ধরে বছরের বেশিরভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করেন। দুই ঈদ ছাড়া মাসে দুই-একবার এক বা দুই দিনের জন্য তিনি এলাকায় আসেন। করোনাকালীন সময়ের প্রায় পুরোটাই তাঁরা ঢাকায় ছিলেন।সেসময়গুলোতে ডিমান্ডচার্জ বা সামান্য বিল এসেছে। গত কয়েকমাস ধরে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বাড়িতে অবস্থান করছেন ফলে ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিপরীতে বিলও বেশি আসছে।রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘বিদ্যুৎসহ সার্বিক বিষয়ে দেখাশোনার জন্য পারিবারিকভাবে আমাদের দুজন ম্যানেজার আছে গ্রামের

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

ডিমান্ডচার্জ ৩৭ টাকা ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল নয়’ সম্মানহানির লক্ষ্যে গণমাধ্যমে – অপপ্রচার !

আপডেট সময় : ০১:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তাঁর বাবা ও ছেলের নামে থাকা চারটি বিদ্যুৎ সংযোগের এক লাখ ৭১ হাজার ৭৩৬ টাকাবিপরীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) তবে রাতের মধ্যেই পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যানেজার।এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে মন্ত্রীর বাড়ির মাসিক বিল ৩২, ৩৭, ৫২, ৬৫, ৭২ টাকা বলা হলেও তা বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর নয়, নেসকো এটিকে বলছে ‘ডিমান্ডচার্জ’। বিদ্যুৎ ব্যবহার না হলে শুধু ডিমান্ডচার্জ করা হয় বলে জানিয়েছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)।কিন্তু ডিমান্ড চার্জকে বিদ্যুৎ বিল বলে কিছু গণমাধ্যম অপপ্রচার ” করেছে।গণমাধ্যম ভাইরাল- মন্ত্রী বাড়ির বিদ্যুৎ বিল।হঠাৎ এমন বিল খবর আসার কারণ জানতে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির অফিসে যোগাযোগ করলেও, কোন সদুত্তর পাননি মন্ত্রী পরিবার।সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২(আদিতমারী-কালীগঞ্জ)আসনের সংসদ সদস্য। তাঁর বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম গ্রামে। তাঁর ছেলেরাকিবুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।মন্ত্রীর বাবা প্রয়াত করিম উদ্দিন আহমেদও ছিলেন সংসদ সদস্য।জানা গেছে, একটি সেচপাম্পসহ ওই তিনজনের নামে থাকা চারটি সংযোগের বিপরীতে নেসকোর মোট বকেয়ার পরিমাণ এক লাখ ৭১ হাজার ৭৩৬ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা তা পরিশোধ হয়েছে বলে জানা গেছে।তবে নেসকোর কালীগঞ্জ অফিস জানিয়েছে, পরিশোধের জন্য গতকাল দুপুরে অফিসথেকে বিল সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগসহ ব্যক্তিগত ম্যানেজারের গাফিলাতিতে বিল বকেয়া পড়েছে বলে দাবি করেছে মন্ত্রীর পরিবার।নেসকো জানিয়েছে, সংযোগ বিচ্ছিন্ন বা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও বিল পরিশোধের জন্য মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয়কাজে মন্ত্রী ও তাঁর পরিবার বেশিরভাগ সময়ই ঢাকায় থাকেন ফলে বিলগুলো বকেয়া পড়ে থাকতে পারে।জানা গেছে, বাড়িতে মন্ত্রী ও তাঁর ছেলের নামে রয়েছে দুটি পৃথক আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগ। মন্ত্রীর বাবার নামে কালীগঞ্জ বাজারে আছে একটি বাণিজ্যিক সংযোগ। অপরদিকে উপজেলার দক্ষিণঘনেশ্যাম এলাকায় মন্ত্রীর নামে রয়েছে অপর একটি সেচপাম্পের সংযোগ।নেসকোর ওয়েবসাাইটে দেখা যায়, সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদেরনামে আবাসিক সংযোগটির বিপরীতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গত জুলাইপর্যন্ত মোট বকেয়া ১১ হাজার ৬২০ টাকা। এই সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩২ ও সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪০৮ টাকা বিল এসেছে।ওই সময়ে রাকিবুজ্জামান আহমেদের আবাসিক সংযোগে নেসকোর পাওনা ৭৯ হাজার ৯৯৫ টাকা।

এ বছরের জুলাই মাসে তার বিল এসেছে ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। মার্চ থেকে জুন পর্যন্তপ্রতিমাসের বিল ১০ হাজার ৭৭৭ টাকা করে। তার সর্বনি¤œ বিল দেখানো হয়েছে ২০২১ সালের এপ্রিলে ৭২ টাকা। মন্ত্রীর নামে থাকা সেচ সংযোগে নেসকোর মোট পাওনা ৬১ হাজার ৩৪৪ টাকা। প্রয়াত করিম উদ্দিন আহমেদের নামেথাকা বাণিজ্যিক সংযোগের বিপরীতে পাওনা রয়েছে ১৮ হাজার ৫৭৭ টাকা।নেসকোর কালীগঞ্জ বিতরণ ও বিক্রয় কেন্দ্রে গতকাল নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবুররহমানকে পাওয়া যায়নি। তবে উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজোয়ানুল ইসলাম বলেন,‘৩২, ৩৭ বা ৫৭ টাকা ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিপরীতে কোনো বিল নয়। এটাকে বলা হয় ডিমান্ডচার্জ।ব্যবহারকারীর বিদ্যুৎ সংযোগ সচল আছে কিন্তু গোটা মাসে ব্যবহার হয়নি এমন ক্ষেত্রে ডিমান্ডচার্জ করা হয়। পরিবারটি বলতে গেলে ঢাকাতেই থাকেন তাই ডিমান্ডচার্জ বা সামান্য বিল হবে এটাই স্বাভাবিক।’খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সমাজকল্যাণমন্ত্রী, তাঁর ছেলেসহ পুরো পরিবার গত কয়েকবছর ধরে বছরের বেশিরভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করেন। দুই ঈদ ছাড়া মাসে দুই-একবার এক বা দুই দিনের জন্য তিনি এলাকায় আসেন। করোনাকালীন সময়ের প্রায় পুরোটাই তাঁরা ঢাকায় ছিলেন।সেসময়গুলোতে ডিমান্ডচার্জ বা সামান্য বিল এসেছে। গত কয়েকমাস ধরে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বাড়িতে অবস্থান করছেন ফলে ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিপরীতে বিলও বেশি আসছে।রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘বিদ্যুৎসহ সার্বিক বিষয়ে দেখাশোনার জন্য পারিবারিকভাবে আমাদের দুজন ম্যানেজার আছে গ্রামের