সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল বাগেরহাট -৩ মনোনয়নপত্র জমা দিলেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এসো গড়ি রক্তের বন্ধন(সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা,রংপুর) এর ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পিং ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল জয়পুরহাটে মিটার ও ট্রান্সফর্মার চুরি চক্রের মূলহোতাসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন কর্মসূচির সদস্যদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়া সেই স্বামীর প্রাণ গেল ট্রেনে ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠনঃআমিনুল সভাপতি, যাদু সম্পাদক ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত।

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে লাথি মারার ঘটনার বিচার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন

এ রায়হান চৌধূরী রকি, বিশেষ প্রতিনিধ ।
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩ ২১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক আজকের কন্ঠের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃ

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে লাথি মেরে অপমান করার বিচার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবার।সোমবার (০২ অক্টোবর) সকালে আটোয়ারী প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগি ধামোর ইউনিয়নের বারাগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দিন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি অসুস্থ হওয়ায় কথা বলতে পারেননি। তবে তার ছেলে শাহ আলম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শোনান।এসময় তিনি জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীন রাধানগর ইউনিয়নের ঘোড়াডাঙ্গা গ্রামের জনৈক অলিয়র রহমান বিমাতা ঘরের ছেলে সর্ম্পকে ভাতিজা হয়। এই ভাতিজা জোর পূর্বক দুটি দান পত্র দলিল দেখিয়ে রহিম উদ্দীনের ৬ একর জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। ভাতিজা অলিয়রের চেয়ে চাচা রহিম উদ্দীন ছোট হওয়ায় জমি জায়গা অলিয়র ও তার বাবার ভোগদখলে ছিল। রহিম উদ্দীন সাবালক হওয়ার পর জমি চাইতে গেলে তারা অস্বীকার করে। পরে রহিম উদ্দীন পঞ্চগড় আদালতে ২০০৭ সালে সিভিল মামলা করে এবং ২০১৪ সালে সেই মামলার রায় পান তিনি। রায় পেয়ে জমিতে গেলে ভোগদখলকারী অলিয়র রহমান আমার বাবাকে লাথিমেরে বের করে দিয়েছিল। পরে আমার বাবা উচ্চ আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে চলমান রহিয়াছে।এর মধ্যে ২০২১ সালের বিজয় দিবসের দিন আমার বাবা রহিম উদ্দীন উক্ত বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। ওই দিন বিকেলে অলিয়র রহমান মৃত্যু বরন করেন। পরে আমার বাবা সহ আমরা পরিবারের সকলে মিলে জমি ফিরিয়ে পাওয়ার দাবীতে লাশ দাফনে বাধা প্রদান করি। ঠিক সেই মূহুর্তে অলিয়রের বড় ছেলে বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরে আলম আমার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীনকে এলোপাথারি লাথি মারা শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। এরপর এই ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধা আদালতে মামলা করতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং গ্রামের সচেতন সমাজ মামলা না করার অনুরোধ জানান। দির্ঘদিন ধরে তারা মিমাংসার উদ্যোগ নিলেও মিমাংসা করতে ব্যর্থ হন। আর এ কারনেই গণমাধ্যমের আশ্রয় নেন মুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবার।  এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকৈল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরে আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই ঘটনা নিয়ে ওই সময়ে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ মিমাংসার জন্য বসেছিলেন কিন্তু কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় জমির সমাধান করা সম্ভব হয়নি। পরে আমার জমিতে অনুপ্রবেশ করার কারনে তাদের বিরুদ্ধে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘটলে সেদিনের বৈঠকে কথাটা উঠতো, উঠলে সেটারও বিচার হতো। সেদিন বলেনি আজ তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার ক্ষতি করার জন্য এসব করে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনাটা সর্ম্পুন মিথ্যা বলে তিনি জানান।  সংবাদ সম্মেলনে, বীরমুক্তিযোদ্ধার দুই স্ত্রী মোছাঃ সহিদা বেগম ও মোছাঃ খুশিয়া বেগম, মেয়ে মোছাঃ রাজিয়া বেগম ও রাবেয়া বেগম, বৌমা মোছাঃ রানু বেগম সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় অন্যানের মধ্যে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সহ জেলা ও উপজেলার গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে লাথি মারার ঘটনার বিচার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৬:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

 

পঞ্চগড় প্রতিনিধি ঃ

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে লাথি মেরে অপমান করার বিচার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবার।সোমবার (০২ অক্টোবর) সকালে আটোয়ারী প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগি ধামোর ইউনিয়নের বারাগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দিন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি অসুস্থ হওয়ায় কথা বলতে পারেননি। তবে তার ছেলে শাহ আলম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শোনান।এসময় তিনি জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীন রাধানগর ইউনিয়নের ঘোড়াডাঙ্গা গ্রামের জনৈক অলিয়র রহমান বিমাতা ঘরের ছেলে সর্ম্পকে ভাতিজা হয়। এই ভাতিজা জোর পূর্বক দুটি দান পত্র দলিল দেখিয়ে রহিম উদ্দীনের ৬ একর জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। ভাতিজা অলিয়রের চেয়ে চাচা রহিম উদ্দীন ছোট হওয়ায় জমি জায়গা অলিয়র ও তার বাবার ভোগদখলে ছিল। রহিম উদ্দীন সাবালক হওয়ার পর জমি চাইতে গেলে তারা অস্বীকার করে। পরে রহিম উদ্দীন পঞ্চগড় আদালতে ২০০৭ সালে সিভিল মামলা করে এবং ২০১৪ সালে সেই মামলার রায় পান তিনি। রায় পেয়ে জমিতে গেলে ভোগদখলকারী অলিয়র রহমান আমার বাবাকে লাথিমেরে বের করে দিয়েছিল। পরে আমার বাবা উচ্চ আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি উচ্চ আদালতে চলমান রহিয়াছে।এর মধ্যে ২০২১ সালের বিজয় দিবসের দিন আমার বাবা রহিম উদ্দীন উক্ত বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করেন। ওই দিন বিকেলে অলিয়র রহমান মৃত্যু বরন করেন। পরে আমার বাবা সহ আমরা পরিবারের সকলে মিলে জমি ফিরিয়ে পাওয়ার দাবীতে লাশ দাফনে বাধা প্রদান করি। ঠিক সেই মূহুর্তে অলিয়রের বড় ছেলে বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরে আলম আমার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দীনকে এলোপাথারি লাথি মারা শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করেন। এরপর এই ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধা আদালতে মামলা করতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবং গ্রামের সচেতন সমাজ মামলা না করার অনুরোধ জানান। দির্ঘদিন ধরে তারা মিমাংসার উদ্যোগ নিলেও মিমাংসা করতে ব্যর্থ হন। আর এ কারনেই গণমাধ্যমের আশ্রয় নেন মুক্তিযোদ্ধা সহ তার পরিবার।  এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকৈল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুরে আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই ঘটনা নিয়ে ওই সময়ে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ মিমাংসার জন্য বসেছিলেন কিন্তু কাগজপত্র দেখাতে না পাড়ায় জমির সমাধান করা সম্ভব হয়নি। পরে আমার জমিতে অনুপ্রবেশ করার কারনে তাদের বিরুদ্ধে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ঘটলে সেদিনের বৈঠকে কথাটা উঠতো, উঠলে সেটারও বিচার হতো। সেদিন বলেনি আজ তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার ক্ষতি করার জন্য এসব করে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনাটা সর্ম্পুন মিথ্যা বলে তিনি জানান।  সংবাদ সম্মেলনে, বীরমুক্তিযোদ্ধার দুই স্ত্রী মোছাঃ সহিদা বেগম ও মোছাঃ খুশিয়া বেগম, মেয়ে মোছাঃ রাজিয়া বেগম ও রাবেয়া বেগম, বৌমা মোছাঃ রানু বেগম সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় অন্যানের মধ্যে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ সহ জেলা ও উপজেলার গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।