সংবাদ শিরোনাম ::

পঞ্চগড়ে সভাপতির পুকুর দখল করায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড় প্রতিনিধি।
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩ ২৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক আজকের কন্ঠের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মাদরাসার নামে দান করা পুকুরটি দখল করে নেন মাসরাসার সভাপতি আজাহারুল ইসলাম।

১৫ শতক জমিতে থাকা পুকুর দখল করে ভোগ করছেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি । বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও পুকুর দখল ছাড়েননি সভাপতি । স্থানীয়ভাবে ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় সভাপতির হাত থেকেও মাদরাসার পুকুর ও জমির দখল ফিরে পেতে মানববন্ধন করেছেন কয়েকশ মুসুল্লী ও এলাকাবাসী।

শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) জুমআর নামাজের পরে উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের প্রধানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে স্থানীয় মুসল্লী মাজেদুল ইসলাম, হায়াতুন নবী, নুর হোসেন, রিয়াদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৮০ সালে স্থানীয় নারী আলেকজান বেওয়া প্রধানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা, এতিম খানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের নামে ১৫ শতক জমি দান করেন। কিন্তু মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম দানপত্রের কথা মুসুল্লিদের কাছে প্রকাশ না করে নিজেই ভোগ দখল করে আসছিলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মাদরাসার জমি ফেরত দিতে বেশ কয়েকবার সালিশ হলেও দখল ছাড়েনি সভাপতি আজহারুল ইসলাম। উল্টো তিনি জমিটি নিজের দাবী করেছেন। এনিয়ে থানা পুলিশে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার মেলেনি।

মাদ্রাসার জমি পুকুর ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে আজহারুল ইসলামের ছোট ভাই রমজান আলী বলেন, জমির মালিকানার কাগজপত্র আমাদেরও কাছে আছে। জমি যদি মাদরাসা পেয়ে থাকে তাহলে উনারা সকলে আমাদের নামে মামলা করুক। মামলার রায় যারাই পাবে তারাই জমির মালিক হবে। অন্যথায় জমিতে আসলে সমস্যা হবে।

চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, জমিটি মাদরাসার হলেও কাগজপত্র কার কাছে কেউই জানতো না। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে জমি ফিরে পেতে মুসল্লীরা সালিশের আয়োজন করে। আমি এ নিয়ে তিন চারবার সালিশ করেছি। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এই ১৫ শতক জমির বদলি অন্যত্র ৩০ শতক জমি দিতে চেয়েছিলেন। যেটা মাদরাসার আশপাশের মধ্যেই। কিন্তু কিছু লোকজন সেটা মানতেছিলনা। এ কারণে বিষয়টির কোন সমাধান হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

পঞ্চগড়ে সভাপতির পুকুর দখল করায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৪:৫২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মাদরাসার নামে দান করা পুকুরটি দখল করে নেন মাসরাসার সভাপতি আজাহারুল ইসলাম।

১৫ শতক জমিতে থাকা পুকুর দখল করে ভোগ করছেন মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি । বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও পুকুর দখল ছাড়েননি সভাপতি । স্থানীয়ভাবে ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পাওয়ায় সভাপতির হাত থেকেও মাদরাসার পুকুর ও জমির দখল ফিরে পেতে মানববন্ধন করেছেন কয়েকশ মুসুল্লী ও এলাকাবাসী।

শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) জুমআর নামাজের পরে উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের প্রধানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসার সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে স্থানীয় মুসল্লী মাজেদুল ইসলাম, হায়াতুন নবী, নুর হোসেন, রিয়াদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৮০ সালে স্থানীয় নারী আলেকজান বেওয়া প্রধানপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা, এতিম খানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের নামে ১৫ শতক জমি দান করেন। কিন্তু মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম দানপত্রের কথা মুসুল্লিদের কাছে প্রকাশ না করে নিজেই ভোগ দখল করে আসছিলেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মাদরাসার জমি ফেরত দিতে বেশ কয়েকবার সালিশ হলেও দখল ছাড়েনি সভাপতি আজহারুল ইসলাম। উল্টো তিনি জমিটি নিজের দাবী করেছেন। এনিয়ে থানা পুলিশে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার মেলেনি।

মাদ্রাসার জমি পুকুর ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে আজহারুল ইসলামের ছোট ভাই রমজান আলী বলেন, জমির মালিকানার কাগজপত্র আমাদেরও কাছে আছে। জমি যদি মাদরাসা পেয়ে থাকে তাহলে উনারা সকলে আমাদের নামে মামলা করুক। মামলার রায় যারাই পাবে তারাই জমির মালিক হবে। অন্যথায় জমিতে আসলে সমস্যা হবে।

চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, জমিটি মাদরাসার হলেও কাগজপত্র কার কাছে কেউই জানতো না। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে জমি ফিরে পেতে মুসল্লীরা সালিশের আয়োজন করে। আমি এ নিয়ে তিন চারবার সালিশ করেছি। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এই ১৫ শতক জমির বদলি অন্যত্র ৩০ শতক জমি দিতে চেয়েছিলেন। যেটা মাদরাসার আশপাশের মধ্যেই। কিন্তু কিছু লোকজন সেটা মানতেছিলনা। এ কারণে বিষয়টির কোন সমাধান হয়নি।