সংবাদ শিরোনাম ::
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ৬ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল জয়পুরহাটে মিটার ও ট্রান্সফর্মার চুরি চক্রের মূলহোতাসহ ১৫ জন গ্রেপ্তার পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আলট্রা-পুওর গ্র্যাজুয়েশন কর্মসূচির সদস্যদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সাদুল্লাপুরে স্ত্রীর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়া সেই স্বামীর প্রাণ গেল ট্রেনে ফুলছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠনঃআমিনুল সভাপতি, যাদু সম্পাদক ফুলবাড়ী মুক্ত দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত। ফুলবাড়ীতে মা আমেনা বালিকা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুরআনের সবক প্রদান সাদুল্লাপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু  মঙ্গলবার থেকে বুধবার ২৪ ঘন্টায় ৫ টি যানবাহনে আগুন

“ঝরণা রাণীর দেশ, নামে বিখ‍্যাত কী সুন্দর বাংলাদেশ “

শাহানা খাতুন রাজশাহী উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:৪০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক আজকের কন্ঠের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মাধবকুন্ডের নাম নিয়ে নানা কথা প্রচলিত আছে।কেউ কেউ বলেন, শ্রীহট্টের রাজা গঙ্গাধ্বজ ওরফে গোবর্ধণ পাথারিয়া পাহাড়ে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে গেলে সেখানে মাটির নিচে ধ‍্যাণমগ্ন অবস্থায় একজন সন্ন‍্যাসীকে দেখতে পান।তারপর তিনি উক্ত সন্ন‍্যাসীর পদ বন্দনা ও স্ততি আরম্ভ করেন। সন্ন‍্যাসী নানা উপদেশসহ তাকে ঐ কুন্ডে মধুকৃষওা ত্রয়োদশী তিথিতে বির্সজন দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। রাজা গঙ্গাধ্বজ সন্ন‍্যাসীর কথামতো তাকে ঐ কুন্ডে বর্সার্জিত করা মাত্রাই তিন বার মাধব!! মাধব!! মাধব!! দৈ‍ব‍্যবাণী উচ্চারিত হয়। ধারণা করা হয়, এই দৈব‍্যবাণী থেকে “মাধবকুন্ড” নামের উৎপত্তি।

মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ৭০ কি.মি. উওরে এবং বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলী বাজার থেকে ৮ কি.মি. পূর্বে অবস্থিত মাধবকুন্ড ইকোপার্ক।

পাথারিয়া হিলস্ রিজার্ভ ফরেস্টের পশ্চিম পাদদেশে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত কে ঘিরে ৫০০ একর জায়গা জুড়ে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক স্থাপন করা হয়েছে।

মাধবকুন্ড ইকোপার্কের অন‍্যতম আকর্ষণ হলো মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, পরিমণ্ডল জলপ্রপাত, শ্রী শ্রী মাধবেশ্বরের তীর্থস্থান এবং চা বাগান। এছাড়া আশেপাশে রয়েছে অনেক ছোট- বড় টিলা। এইসব টিলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে “নাগিনী টিলা”।

মাধবকুন্ড পার্কে নানা রকমের প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও বৃক্ষ রয়েছে। এছাড়াও মাধবকুন্ড ইকোপার্কে বিচিত্র বৃক্ষ দেখতে পাওয়া যায়।মাধবকুন্ড ইকোপার্কে বিভিন্ন ধরনের পাখি ও বণ‍্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়।মাধবকুন্ড ইকোপার্কের ভিতরে পাহাড়ে উঠার জন্য ৫০০ ধাপবিশিষ্ট ফুটট্রেইল, টাওয়ার,পিকনিক স্পট,পর্যটন এবং রেস্তোরাঁ রয়েছে।

মাধবকুন্ড এলাকাটি খাসিয়া নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস করেন।খাসিয়ারা মূলত গাছে গাছে পান চাষ করে থাকে।মাধব ঝড়নাকে ঘিরে খাসিয়াদের জীবনযাত্রা আবর্তিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

error: Content is protected !!

“ঝরণা রাণীর দেশ, নামে বিখ‍্যাত কী সুন্দর বাংলাদেশ “

আপডেট সময় : ১০:৪০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩

 

মাধবকুন্ডের নাম নিয়ে নানা কথা প্রচলিত আছে।কেউ কেউ বলেন, শ্রীহট্টের রাজা গঙ্গাধ্বজ ওরফে গোবর্ধণ পাথারিয়া পাহাড়ে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে গেলে সেখানে মাটির নিচে ধ‍্যাণমগ্ন অবস্থায় একজন সন্ন‍্যাসীকে দেখতে পান।তারপর তিনি উক্ত সন্ন‍্যাসীর পদ বন্দনা ও স্ততি আরম্ভ করেন। সন্ন‍্যাসী নানা উপদেশসহ তাকে ঐ কুন্ডে মধুকৃষওা ত্রয়োদশী তিথিতে বির্সজন দিতে নির্দেশ প্রদান করেন। রাজা গঙ্গাধ্বজ সন্ন‍্যাসীর কথামতো তাকে ঐ কুন্ডে বর্সার্জিত করা মাত্রাই তিন বার মাধব!! মাধব!! মাধব!! দৈ‍ব‍্যবাণী উচ্চারিত হয়। ধারণা করা হয়, এই দৈব‍্যবাণী থেকে “মাধবকুন্ড” নামের উৎপত্তি।

মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ৭০ কি.মি. উওরে এবং বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলী বাজার থেকে ৮ কি.মি. পূর্বে অবস্থিত মাধবকুন্ড ইকোপার্ক।

পাথারিয়া হিলস্ রিজার্ভ ফরেস্টের পশ্চিম পাদদেশে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত কে ঘিরে ৫০০ একর জায়গা জুড়ে মাধবকুন্ড ইকোপার্ক স্থাপন করা হয়েছে।

মাধবকুন্ড ইকোপার্কের অন‍্যতম আকর্ষণ হলো মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, পরিমণ্ডল জলপ্রপাত, শ্রী শ্রী মাধবেশ্বরের তীর্থস্থান এবং চা বাগান। এছাড়া আশেপাশে রয়েছে অনেক ছোট- বড় টিলা। এইসব টিলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে “নাগিনী টিলা”।

মাধবকুন্ড পার্কে নানা রকমের প্রাকৃতিক উদ্ভিদ ও বৃক্ষ রয়েছে। এছাড়াও মাধবকুন্ড ইকোপার্কে বিচিত্র বৃক্ষ দেখতে পাওয়া যায়।মাধবকুন্ড ইকোপার্কে বিভিন্ন ধরনের পাখি ও বণ‍্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যায়।মাধবকুন্ড ইকোপার্কের ভিতরে পাহাড়ে উঠার জন্য ৫০০ ধাপবিশিষ্ট ফুটট্রেইল, টাওয়ার,পিকনিক স্পট,পর্যটন এবং রেস্তোরাঁ রয়েছে।

মাধবকুন্ড এলাকাটি খাসিয়া নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস করেন।খাসিয়ারা মূলত গাছে গাছে পান চাষ করে থাকে।মাধব ঝড়নাকে ঘিরে খাসিয়াদের জীবনযাত্রা আবর্তিত হয়।