8:37 am, Saturday, 27 July 2024

সাঁথিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ আ.লীগ নেতা হারুনে’র বিরুদ্ধে

পাবনা প্রতিনিধি।

পাবনার সাঁথিয়ায় নাগডেমড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে আ.লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, তার ভাই জুয়েল ও ময়ছারের ছেলে রেজোয়ান ওরোফে রেজো’র বিরুদ্ধে । শনিবার সন্ধ্যার দিকে নাগডেমড়া ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২১জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ২০/২৫জনকে আসামী করে সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্ন করেছেন।

থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার একটু আগে নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন ও মতিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী জুয়েলের নেতৃত্বে ৪০/৪৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যন হাফিজের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের মা সাজেদা খাতুন (৭৫), বাবা ইউনুস মোল্লা (৭৮), চাচা আলতাব মোল্লা,ভাবী হাসি বেগমসহ বেশ কয়েকজনকে মারপিট করে জখম করে ও বাড়ির জানালার থাইগ্লাসসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ারম্যান ও তার ভাইদের শোবার ঘরে ঢুকে আসবাপত্র ভাংচুর করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

সরেজমিন শনিবার রাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির জানালার থাই গ্লাস, ঘরের আসবাব পত্র আলমারী, বাথরুমের বেসিন ও দরজা ভাংচুর অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় চেয়ারম্যানের মা সাজেদা বেগম বলেন আমি মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য ওযু করে ঘরে যাচ্ছি এমন সময় লাটিসোট নিয়ে ৩/৪জন আমাকে হাফিজের কথা জিজ্ঞাসা করতেই অশ্রাব্য গালিগালাজ করে আমাকে মারপিট করে এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমার হাতটা ভেঙ্গে দিয়েছে বলে হাওমাও করে কেঁদে ফেলে এই ৭৫ বয়সি বৃদ্ধা। এ সময় সাংবাদিক যাওয়াতে আশপাশের লোকজন এসে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়।

এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতংকে রয়েছে সাধারণ মানুষ। যে কোন ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এবং ঘটে যেতেও পারে খুনের মত ঘটনা।

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আলমাহমুদ দেলোয়ার জানান, হাফিজ আমার পরিষদের একজন সদস্য। আমি বিষয়টা শুনেছি এবং মর্মাহত হয়েছি । তিনি বলেন, এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মুঠো ফোনে জানান, শোনা কথা -আজ শনিবার বিকেলে সোনাতলাতে জামায়াত বিএনপি’র নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আ’লীগের একটা মিছিল ছিল। মিছিলটি বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজের বাড়ির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাড়ি থেকে মিছিলে ইট পাটকেল মারে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ওখানে গেছে কিনা আমি জানি না। আমি তখন সোনাতলা বাজারে সাঁথিয়া থানার এএসআই শাহানুরের সাথে ছিলাম। এ বিষয়ে সাঁথিয়া অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কারা ভাংচুর করেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 03:48:38 am, Sunday, 15 October 2023
222 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

সাঁথিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগ আ.লীগ নেতা হারুনে’র বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : 03:48:38 am, Sunday, 15 October 2023

পাবনার সাঁথিয়ায় নাগডেমড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে আ.লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, তার ভাই জুয়েল ও ময়ছারের ছেলে রেজোয়ান ওরোফে রেজো’র বিরুদ্ধে । শনিবার সন্ধ্যার দিকে নাগডেমড়া ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২১জন নামীয় ও অজ্ঞাত আরও ২০/২৫জনকে আসামী করে সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্ন করেছেন।

থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার একটু আগে নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন ও মতিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী জুয়েলের নেতৃত্বে ৪০/৪৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যন হাফিজের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের মা সাজেদা খাতুন (৭৫), বাবা ইউনুস মোল্লা (৭৮), চাচা আলতাব মোল্লা,ভাবী হাসি বেগমসহ বেশ কয়েকজনকে মারপিট করে জখম করে ও বাড়ির জানালার থাইগ্লাসসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ সময় হামলাকারীরা চেয়ারম্যান ও তার ভাইদের শোবার ঘরে ঢুকে আসবাপত্র ভাংচুর করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।

সরেজমিন শনিবার রাতে চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির জানালার থাই গ্লাস, ঘরের আসবাব পত্র আলমারী, বাথরুমের বেসিন ও দরজা ভাংচুর অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় চেয়ারম্যানের মা সাজেদা বেগম বলেন আমি মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য ওযু করে ঘরে যাচ্ছি এমন সময় লাটিসোট নিয়ে ৩/৪জন আমাকে হাফিজের কথা জিজ্ঞাসা করতেই অশ্রাব্য গালিগালাজ করে আমাকে মারপিট করে এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমার হাতটা ভেঙ্গে দিয়েছে বলে হাওমাও করে কেঁদে ফেলে এই ৭৫ বয়সি বৃদ্ধা। এ সময় সাংবাদিক যাওয়াতে আশপাশের লোকজন এসে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায়।

এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতংকে রয়েছে সাধারণ মানুষ। যে কোন ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এবং ঘটে যেতেও পারে খুনের মত ঘটনা।

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আলমাহমুদ দেলোয়ার জানান, হাফিজ আমার পরিষদের একজন সদস্য। আমি বিষয়টা শুনেছি এবং মর্মাহত হয়েছি । তিনি বলেন, এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাগডেমড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মুঠো ফোনে জানান, শোনা কথা -আজ শনিবার বিকেলে সোনাতলাতে জামায়াত বিএনপি’র নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আ’লীগের একটা মিছিল ছিল। মিছিলটি বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজের বাড়ির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাড়ি থেকে মিছিলে ইট পাটকেল মারে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ওখানে গেছে কিনা আমি জানি না। আমি তখন সোনাতলা বাজারে সাঁথিয়া থানার এএসআই শাহানুরের সাথে ছিলাম। এ বিষয়ে সাঁথিয়া অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কারা ভাংচুর করেছে।