1:12 pm, Saturday, 27 July 2024

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতার সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম

অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

গত ৭ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ৪৬, নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার)-

স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতার (ট্রাক মার্কার) নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মারধর বাড়ি ঘর ভাঙচুর প্রতিবাদে নওগাঁয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে খালেকুজ্জামান তোতা বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুর

আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের

পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে এবং আমার

এলাকার মানুষের আকাঙ্খা ও তাঁদের প্রত্যাশা পূরণে এবার আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক দল আমাকে মনোনয়ন দেননি। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা

মনোনয়নবঞ্চিতদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে উৎসাহ দিলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেই নির্বাচনে আমি ৭৬ হাজার ১৯৩ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদারের কাছে পরাজিত হই। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকেই নৌকার প্রার্থীর অনুসারী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর, আমার ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের এসব অন্যায়-অত্যাচারের কথা আপনারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আপনাদের অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে অবহিত করতে চাই, নির্বাচন পরবর্তী সময়েও নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। ভোটের পর দিন থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমার

নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর, তাঁদেরকে মারধর করে গ্রামছাড়া করা, আমার কর্মী-সমর্থক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি পরিচালিত গভীর নলকূপে তালা মেরে জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, জোর করে পুকুরের মাছ মেরে ভুরিভোজ

(বনভোজন) খাওয়া এবং দোকনপাট ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার সকালেও সাপাহার উপজেলার দিঘিরহাটে আমার কয়েকজন সমর্থকের দোকানপাট ভাঙচুরের অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এছাড়া ট্রাক

প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে গত বুধবার নিয়ামতপুর

উপজেলার ল²ীপুর গ্রামের চারটি এবং হর্ষরইল গ্রামে একটি গভীর নলকূপে নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা তালা মেরে দেয়। ওই গভীর নলকূপ যাঁরা পরিচালনা করতেন তাঁরা সবাই আমার কর্মী-সমর্থক। এছাড়া নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নিয়ামতপুর

উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়ন, ভাবিচা ইউনিয়ন, হাজিনগর ইউনিয়ন ও রসুলপুরসহ অন্তত ৮টি ইউনিয়নে সেচকার্য ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে নৌকার প্রার্থীর কর্মসমর্থকেরা গভীর

নলকূপে তালা মেরে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। চন্দননগর ইউনিয়নের ল²ীপুর ও করমজাই গ্রামে আমার কর্মী-সমর্থকদের পুুকুরে বিষাক্ত কীটনাশক গ্যাস প্রয়োগ করে এবং বেড়জাল

দিয়ে মাছ ধরে নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা বনভোজন করে। আমার নির্বাচনী

এলাকার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা উত্তম কুমার আমার একজন কর্মী। নৌকার প্রার্থীরা

সমর্থকেরা তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে এবং তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে গ্রামছাড়া করে।

পোরশা উপজেলার ছাতড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন, রসুলপুর

ইউনিয়নের সেলিম রেজাকে নৌকার প্রার্থীর লোকজন মারপিট করেছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 01:01:21 pm, Sunday, 14 January 2024
47 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতার সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : 01:01:21 pm, Sunday, 14 January 2024

অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

গত ৭ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ৪৬, নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার)-

স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান তোতার (ট্রাক মার্কার) নেতাকর্মীকে আওয়ামী লীগের কর্মীদের মারধর বাড়ি ঘর ভাঙচুর প্রতিবাদে নওগাঁয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে খালেকুজ্জামান তোতা বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই আমি বঙ্গবন্ধুর

আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়ন পরিষদের

পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে এবং আমার

এলাকার মানুষের আকাঙ্খা ও তাঁদের প্রত্যাশা পূরণে এবার আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক দল আমাকে মনোনয়ন দেননি। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা

মনোনয়নবঞ্চিতদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে উৎসাহ দিলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেই নির্বাচনে আমি ৭৬ হাজার ১৯৩ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী সাধন চন্দ্র মজুমদারের কাছে পরাজিত হই। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকেই নৌকার প্রার্থীর অনুসারী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর, আমার ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের এসব অন্যায়-অত্যাচারের কথা আপনারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আপনাদের অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে অবহিত করতে চাই, নির্বাচন পরবর্তী সময়েও নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। ভোটের পর দিন থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমার

নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর, তাঁদেরকে মারধর করে গ্রামছাড়া করা, আমার কর্মী-সমর্থক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি পরিচালিত গভীর নলকূপে তালা মেরে জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রণ নেওয়া, জোর করে পুকুরের মাছ মেরে ভুরিভোজ

(বনভোজন) খাওয়া এবং দোকনপাট ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার সকালেও সাপাহার উপজেলার দিঘিরহাটে আমার কয়েকজন সমর্থকের দোকানপাট ভাঙচুরের অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এছাড়া ট্রাক

প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে গত বুধবার নিয়ামতপুর

উপজেলার ল²ীপুর গ্রামের চারটি এবং হর্ষরইল গ্রামে একটি গভীর নলকূপে নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা তালা মেরে দেয়। ওই গভীর নলকূপ যাঁরা পরিচালনা করতেন তাঁরা সবাই আমার কর্মী-সমর্থক। এছাড়া নির্বাচন পরবর্তী সময়ে নিয়ামতপুর

উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়ন, ভাবিচা ইউনিয়ন, হাজিনগর ইউনিয়ন ও রসুলপুরসহ অন্তত ৮টি ইউনিয়নে সেচকার্য ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে নৌকার প্রার্থীর কর্মসমর্থকেরা গভীর

নলকূপে তালা মেরে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। চন্দননগর ইউনিয়নের ল²ীপুর ও করমজাই গ্রামে আমার কর্মী-সমর্থকদের পুুকুরে বিষাক্ত কীটনাশক গ্যাস প্রয়োগ করে এবং বেড়জাল

দিয়ে মাছ ধরে নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা বনভোজন করে। আমার নির্বাচনী

এলাকার রামনগর গ্রামের বাসিন্দা উত্তম কুমার আমার একজন কর্মী। নৌকার প্রার্থীরা

সমর্থকেরা তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে এবং তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে গ্রামছাড়া করে।

পোরশা উপজেলার ছাতড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুদ্দিন, রসুলপুর

ইউনিয়নের সেলিম রেজাকে নৌকার প্রার্থীর লোকজন মারপিট করেছে।