7:59 pm, Saturday, 27 July 2024

নওগাঁয় মিথ্যা মামলা দিয়ে একটি পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ 

প্রতিনিধির নাম

অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের প্রতাবদহ পাথারাবাড়ী বোলিয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত মফেজ উদ্দিনের ছেলে একলাছুর রহমান একলাছ (৫০) ও তার স্ত্রী মোছাঃ কহিনুর পারভীন (৩৮) কে মিথ্যা মমালা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে মহাদেবপুর এলাকার তেতুলিয়া গ্রামের মো: মুজিবর রহমানের ছেলে খোরশেদ আলম (৪৯) এর বিরুদ্ধে।

খোরশেদ আলম পূর্বের মামলায় উল্লেখ করেন তার মেয়ে মোসাঃ সানজিদা আক্তার খুশী (১৭) সাথে মহাদেবপুর এলাকার মো: মানিক রফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ সোহাগ হোসেন (১৯) সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমতাবস্থায় গত ১৮-০৭-২০২৩ সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটকার সময় খোরশেদ এর মেয়ে সানজিদা আক্তার খুশী কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে স্বইচ্ছায় সোহাগ এর সাথে এসে কোটের মাধ্যমে বিয়ে করে।

এমতাবস্থায় খুশী আক্তার বাড়ীতে ফিরে না আসলে খোরশেদ আলম পৃর্বের শত্রুতার জের ধরে একলাছুর রহমান একলাছ (৫০) সহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। খোরশেদ আলম মামলায় উল্লেখ করেন, মোসাঃ সাজিদা আক্তার খুশী কলেজে যাওয়ার পথে ইং ১৮-০৭-২৩ সকাল অনুমান ৯:১৫ ঘটিকার সময় মহাদেবপুর থানাধীন ০৬নং এনায়েতপুর ইউপির তেতুল পুকুর মোড় জনৈক মোঃ ইনতাজ হোসেন এর ধানের আড়তের সামনে থেকে চার্জার গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করার সময় মোঃ সোহাগ হোসেন সহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীদের সার্বিক সহায়তায় ও কু-পরামর্শে খোরশেদের মেয়ে সানজিদা আক্তার খুশী’কে ফুসলাইয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পথ থেকে অপহরন করে নিয়ে আটক করে রাখে।

এই বিষয়ে একলাছুর রহমান একলাছ বলেন, সোহাগ কে আমি চিনি না। আমার স্ত্রী মোছাঃ কহিনুর পারভীন গত ১৮ বছর আগে বিয়ে করি। আমি বিয়ে করার পৃর্বে বিয়ে হয়েছিল সেই সংসারে সোহাগ এর জন্ম। তবে আমার সাথে বিয়ে হওয়ার পর সোহাগের সাথে ১৮ বছর ধরে কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। আমার গ্রামের কোন মানুষ বলতে পারবে না আমার বাড়িতে সোহাগ কোন দিন এসেছে। যার সাথে আমার পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই তার জন্য কেন আমাকে মামলা দিয়ে চার দিন জেল খেটে নিল খোরশেদ আলম। আমি গ্রামের এক জন সন্মানিত ব্যক্তি আমার কোন প্রকার খারাপ রিপোর্ট নেই আমাদের পরিবারের কোন সদস্যদের নামে মামলা নেই। আমাকে কেন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এর বিচার চাই, সুষ্ঠ তদন্ত করে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

মোছাঃ কহিনুর পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ১৮ বছর আগে মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে সোহাগের জন্ম। মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ার কারণে পারিবারিক ভাবে আমার আবার একলাছুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় ১৮ বছর রফিকুল ইসলাম ও সোহাগ এর সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। আমি সোহাগ এর মা কিন্তু তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই তার পরেও কেন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 10:47:53 pm, Wednesday, 31 January 2024
66 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

নওগাঁয় মিথ্যা মামলা দিয়ে একটি পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ 

আপডেট সময় : 10:47:53 pm, Wednesday, 31 January 2024

অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের প্রতাবদহ পাথারাবাড়ী বোলিয়াডাঙ্গী গ্রামের মৃত মফেজ উদ্দিনের ছেলে একলাছুর রহমান একলাছ (৫০) ও তার স্ত্রী মোছাঃ কহিনুর পারভীন (৩৮) কে মিথ্যা মমালা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে মহাদেবপুর এলাকার তেতুলিয়া গ্রামের মো: মুজিবর রহমানের ছেলে খোরশেদ আলম (৪৯) এর বিরুদ্ধে।

খোরশেদ আলম পূর্বের মামলায় উল্লেখ করেন তার মেয়ে মোসাঃ সানজিদা আক্তার খুশী (১৭) সাথে মহাদেবপুর এলাকার মো: মানিক রফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ সোহাগ হোসেন (১৯) সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমতাবস্থায় গত ১৮-০৭-২০২৩ সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটকার সময় খোরশেদ এর মেয়ে সানজিদা আক্তার খুশী কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে স্বইচ্ছায় সোহাগ এর সাথে এসে কোটের মাধ্যমে বিয়ে করে।

এমতাবস্থায় খুশী আক্তার বাড়ীতে ফিরে না আসলে খোরশেদ আলম পৃর্বের শত্রুতার জের ধরে একলাছুর রহমান একলাছ (৫০) সহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। খোরশেদ আলম মামলায় উল্লেখ করেন, মোসাঃ সাজিদা আক্তার খুশী কলেজে যাওয়ার পথে ইং ১৮-০৭-২৩ সকাল অনুমান ৯:১৫ ঘটিকার সময় মহাদেবপুর থানাধীন ০৬নং এনায়েতপুর ইউপির তেতুল পুকুর মোড় জনৈক মোঃ ইনতাজ হোসেন এর ধানের আড়তের সামনে থেকে চার্জার গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করার সময় মোঃ সোহাগ হোসেন সহ এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামীদের সার্বিক সহায়তায় ও কু-পরামর্শে খোরশেদের মেয়ে সানজিদা আক্তার খুশী’কে ফুসলাইয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পথ থেকে অপহরন করে নিয়ে আটক করে রাখে।

এই বিষয়ে একলাছুর রহমান একলাছ বলেন, সোহাগ কে আমি চিনি না। আমার স্ত্রী মোছাঃ কহিনুর পারভীন গত ১৮ বছর আগে বিয়ে করি। আমি বিয়ে করার পৃর্বে বিয়ে হয়েছিল সেই সংসারে সোহাগ এর জন্ম। তবে আমার সাথে বিয়ে হওয়ার পর সোহাগের সাথে ১৮ বছর ধরে কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। আমার গ্রামের কোন মানুষ বলতে পারবে না আমার বাড়িতে সোহাগ কোন দিন এসেছে। যার সাথে আমার পরিবারের কোন সম্পর্ক নেই তার জন্য কেন আমাকে মামলা দিয়ে চার দিন জেল খেটে নিল খোরশেদ আলম। আমি গ্রামের এক জন সন্মানিত ব্যক্তি আমার কোন প্রকার খারাপ রিপোর্ট নেই আমাদের পরিবারের কোন সদস্যদের নামে মামলা নেই। আমাকে কেন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এর বিচার চাই, সুষ্ঠ তদন্ত করে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

মোছাঃ কহিনুর পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ১৮ বছর আগে মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারে সোহাগের জন্ম। মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ার কারণে পারিবারিক ভাবে আমার আবার একলাছুর রহমানের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় ১৮ বছর রফিকুল ইসলাম ও সোহাগ এর সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। আমি সোহাগ এর মা কিন্তু তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই তার পরেও কেন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।