10:02 am, Saturday, 27 July 2024

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহসিনার কান্ড” শিক্ষার্থী দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করার অভিযোগ

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা:

কোমলমতি শিশুদের দিয়ে প্রতিনিয়ত এভাবেই পরিচ্ছন্নতার কাজ করাচ্ছেন স্কুল প্রধান শিক্ষক মহসিনা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং) আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার করাচ্ছেন স্কুল ড্রেস পরা কোমলমতি বাচ্চাদের দিয়ে । অত্র বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া একজন এমএলএসএস থাকা সত্বেও প্রতিদিন তিনি বিদ্যালয় উপস্থিত না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোমলমতি শিশুদের দিয়ে পানি টানা থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতার কাজ করিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শিক্ষার্থীদের অভিবাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন তাদের আদরের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন লেখা পড়ার জন্য, কিন্তু সেই সন্তানদের পাঠদান না করিয়ে স্কুলে ক্লাসের সময় করাচ্ছে ময়লা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। তাঁরা শিক্ষা অফিসারদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বলতে গেলে ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে কথা না বলতে পারলেও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও বর্তমান ইউপি সদস্য আবু সালেহ বশির এর সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন- এটা আমার কানেও অনেক ছাত্র অভিভাবক বলেছেন। পানি টানা থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতার কাজ করায় কোমলমতি শিশুদের দিয়ে। শুনেছি প্রায়ই নাকি এমএলএসএস অনুপস্থিত থাকে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই। কিন্তুু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর সব সময় দেওয়া থাকে। আর তার সেই কাজগুলো স্কুলের কোমলমতি শিশুদের দিয়ে করানো হয়। এরকমটা চলতে থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনেক কমে যাবেন। বিগত দিনের তুলনায় অনেক শিক্ষার্থী এই এলাকা দিয়ে অন্য এলাকায় মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিষয়টি দেখার জন্য। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে একাধিকবার ফোন দেয়ার পরেও তাকে পাওয়া যায়নি, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার সুব্রত বলেন, বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আলাপ করে দ্রুত এর ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 09:30:18 pm, Monday, 5 February 2024
48 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহসিনার কান্ড” শিক্ষার্থী দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করার অভিযোগ

আপডেট সময় : 09:30:18 pm, Monday, 5 February 2024

কোমলমতি শিশুদের দিয়ে প্রতিনিয়ত এভাবেই পরিচ্ছন্নতার কাজ করাচ্ছেন স্কুল প্রধান শিক্ষক মহসিনা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং) আমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের প্ল্যাটফর্ম পরিষ্কার করাচ্ছেন স্কুল ড্রেস পরা কোমলমতি বাচ্চাদের দিয়ে । অত্র বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া একজন এমএলএসএস থাকা সত্বেও প্রতিদিন তিনি বিদ্যালয় উপস্থিত না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোমলমতি শিশুদের দিয়ে পানি টানা থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতার কাজ করিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় শিক্ষার্থীদের অভিবাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন তাদের আদরের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন লেখা পড়ার জন্য, কিন্তু সেই সন্তানদের পাঠদান না করিয়ে স্কুলে ক্লাসের সময় করাচ্ছে ময়লা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। তাঁরা শিক্ষা অফিসারদের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বলতে গেলে ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে কথা না বলতে পারলেও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও বর্তমান ইউপি সদস্য আবু সালেহ বশির এর সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন- এটা আমার কানেও অনেক ছাত্র অভিভাবক বলেছেন। পানি টানা থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতার কাজ করায় কোমলমতি শিশুদের দিয়ে। শুনেছি প্রায়ই নাকি এমএলএসএস অনুপস্থিত থাকে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই। কিন্তুু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর সব সময় দেওয়া থাকে। আর তার সেই কাজগুলো স্কুলের কোমলমতি শিশুদের দিয়ে করানো হয়। এরকমটা চলতে থাকলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনেক কমে যাবেন। বিগত দিনের তুলনায় অনেক শিক্ষার্থী এই এলাকা দিয়ে অন্য এলাকায় মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং জেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বিষয়টি দেখার জন্য। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কে একাধিকবার ফোন দেয়ার পরেও তাকে পাওয়া যায়নি, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার সুব্রত বলেন, বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আলাপ করে দ্রুত এর ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।