2:27 pm, Saturday, 27 July 2024

ফুলবাড়ীতে রঙ্গীন বাঁধা কপি চাষে সফল মিলন রানা

প্রতিনিধির নাম

মোঃ রায়হান বাবু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রুবি কিং নামে রঙ্গীন বাঁধাকপি প্রদর্শনী চাষ করে সফল হয়েছেন উপজেলার খয়েরবাড়ী কৃষক মিলন রানা।

এবার সারা দেশে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে রঙিন ফুলকপির আবাদ। দেখতে সুন্দর, খেতে সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশ ভালো। সবসময় কৃষকরা সাদা ফুলকপি আবাদ করে থাকেন। তবে এবার বাজারের দাম ভালো পাওয়ার আশায় কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সহযোগিতায় কৃষকরা চাষ করছেন রঙিন ফুলকপি। গাছ দেখতে সাদা ফুলকপির মতো হলেও ফুল বিভিন্ন রঙের। এর মধ্যে হলুদ ও গাঢ় গোলাপি/বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করছেন কৃষকরা।

কৃষক মিলন রানা জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে রঙ্গীন বাঁধা কপি চাষের জন্য সার ও বীজের পাশাপাশি সবধরনের পরামর্শ দিয়েছিলো। আমি প্রথমবারের মতো আমার ২০ শতক জমিতে এই কপি চাষ করি। বর্তমানে বাজারে এই কপির চাহিদা রয়েছে। এক একটা কপি প্রায় এক কেজি ওজনের হয়েছে। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কপি বিক্রয় করেছি। বেশ লাভবান হয়েছি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে এই কপি চাষ করবো।

সকাল ১১টায় উপজেলার খয়েরবাড়ীতে রুবি কিং নামে রঙ্গীন বাঁধাকপি প্রদর্শনী চাষের সার্বিক বিষয়ে পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার ও কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোঃ সাহানুর রহমান।

প্ররিদর্শনে এসে কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার জানান, দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলা একটি খাদ্য উৎবৃদ্ধি একটি উপজেলা এ উপজেলায় ধান,ভ্ট্টুা দানাদার ফসলের পাশাপাশি বর্তমানে উচ্চ মুল্যে নিরাপদ সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আমাদের এই কৃষককে একটি প্রদর্শনী দিয়েছিলাম। যা তিনি সফলতার সাথে প্রর্দশিত করেছে। এখানকার রঙ্গীন বাঁধা কপি এক একটি এক কেজি ওজনের হয়েছে যা বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রয় করেছে। এতে কৃষক বেশ লাভবান হচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামীতে এই উপজেলায় এধরনের বাঁধা কপি চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আমরা কৃষি অফিস থেকে কৃষকের সবধরনের সহযোগীতা দিয়ে আসছি। ভবিষ্যতেও থাকবে।

পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী সেলিম আহম্মেদ বলেন, বাজারে ক্রেতারা যেটাতে আকৃষ্ট হয়, সেটার দাম ভালো পাওয়া যায়। আমরা পাইকারি সাদা ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করি। তার তুলনায় রঙিন ফুলকপির দাম পাইকারি ৫০-৬০ টাকা কেজি, তবে খুরচা বাজারে এলাকা ভেদে এর দাম কমবেশি হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 11:05:59 pm, Wednesday, 14 February 2024
59 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

ফুলবাড়ীতে রঙ্গীন বাঁধা কপি চাষে সফল মিলন রানা

আপডেট সময় : 11:05:59 pm, Wednesday, 14 February 2024

মোঃ রায়হান বাবু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রুবি কিং নামে রঙ্গীন বাঁধাকপি প্রদর্শনী চাষ করে সফল হয়েছেন উপজেলার খয়েরবাড়ী কৃষক মিলন রানা।

এবার সারা দেশে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে রঙিন ফুলকপির আবাদ। দেখতে সুন্দর, খেতে সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশ ভালো। সবসময় কৃষকরা সাদা ফুলকপি আবাদ করে থাকেন। তবে এবার বাজারের দাম ভালো পাওয়ার আশায় কৃষি অফিসের পরামর্শে ও সহযোগিতায় কৃষকরা চাষ করছেন রঙিন ফুলকপি। গাছ দেখতে সাদা ফুলকপির মতো হলেও ফুল বিভিন্ন রঙের। এর মধ্যে হলুদ ও গাঢ় গোলাপি/বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করছেন কৃষকরা।

কৃষক মিলন রানা জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাকে রঙ্গীন বাঁধা কপি চাষের জন্য সার ও বীজের পাশাপাশি সবধরনের পরামর্শ দিয়েছিলো। আমি প্রথমবারের মতো আমার ২০ শতক জমিতে এই কপি চাষ করি। বর্তমানে বাজারে এই কপির চাহিদা রয়েছে। এক একটা কপি প্রায় এক কেজি ওজনের হয়েছে। ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কপি বিক্রয় করেছি। বেশ লাভবান হয়েছি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে এই কপি চাষ করবো।

সকাল ১১টায় উপজেলার খয়েরবাড়ীতে রুবি কিং নামে রঙ্গীন বাঁধাকপি প্রদর্শনী চাষের সার্বিক বিষয়ে পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার ও কৃষি সম্প্রসারন অফিসার মোঃ সাহানুর রহমান।

প্ররিদর্শনে এসে কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রুম্মান আক্তার জানান, দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলা একটি খাদ্য উৎবৃদ্ধি একটি উপজেলা এ উপজেলায় ধান,ভ্ট্টুা দানাদার ফসলের পাশাপাশি বর্তমানে উচ্চ মুল্যে নিরাপদ সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আমাদের এই কৃষককে একটি প্রদর্শনী দিয়েছিলাম। যা তিনি সফলতার সাথে প্রর্দশিত করেছে। এখানকার রঙ্গীন বাঁধা কপি এক একটি এক কেজি ওজনের হয়েছে যা বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রয় করেছে। এতে কৃষক বেশ লাভবান হচ্ছে। আমরা আশা করছি আগামীতে এই উপজেলায় এধরনের বাঁধা কপি চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আমরা কৃষি অফিস থেকে কৃষকের সবধরনের সহযোগীতা দিয়ে আসছি। ভবিষ্যতেও থাকবে।

পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী সেলিম আহম্মেদ বলেন, বাজারে ক্রেতারা যেটাতে আকৃষ্ট হয়, সেটার দাম ভালো পাওয়া যায়। আমরা পাইকারি সাদা ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করি। তার তুলনায় রঙিন ফুলকপির দাম পাইকারি ৫০-৬০ টাকা কেজি, তবে খুরচা বাজারে এলাকা ভেদে এর দাম কমবেশি হয়।