9:17 am, Saturday, 27 July 2024

দেশে অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকারপঞ্চগড়ে – প্রিন্স 

প্রতিনিধির নাম

পঞ্চগড়ে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, দেশে অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর জন্য কি আমরা দায়ী? মোটেই না।

বিদ্যুতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে।

আমরা খালেদা জিয়ার আমলে দেখেছি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল না-খাম্বা ছিল। এখন দেখছি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে উৎপাদন করতে পারছে না। টাকা নাই। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে। যাতে যেনতেন ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে সব করা যায়।

৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াল, আর মন্ত্রী বলল শুধু একবার না তিন বছর পর্যায়ক্রমে দাম বাড়ানো হবে। তাদের হিসাবে এখন কয়েক পয়সা দাম বাড়ানো হয়েছে। তাদের হিসাবে এখন আমাদের ইউনিট প্রতি ৭/৮ টাকা নেয়। পর্যায়ক্রমে তা বাড়াতে বাড়াতে ২০ টাকা করবে। আর তাদের সরকার প্রধান বলল লোডশেডিং এর জন্য প্রস্তুত থাকুন। পিক আওয়ারেও তারা লোডশেডিং করবে। টাকা তো নাই উৎপাদন করবে। এর জন্য তো আমরা দায়ী না। আমরা পরিস্কার বলেছি এর জন্য সরকারের ভুলনীতি ও দূর্নীতি দায়ী। তিনি আরও বলেন, দেশে কোন গণতন্ত্র নেই। এই গণতন্ত্রহীনতার সুযোগে কি হয়-অন্ধকারে অসাম্প্রদায়ীক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। অরাজনৈতিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের টাকা পাচার অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি। ঋণখেলাপীও অতীতের তুলনায় বেশি। লুটপাটের এমন অবস্থা হয়েছে, বাংকগুলোর কি অবস্থা তা আপনারা ভাল করেই জানেন। গ্রামের মানুষ বলছে যে যেভাবে পারছে দেশটাকে লুটপাট করে খাচ্ছে। তিন শত্রু দেশটাকে চিড়েচেপ্টা করে খাচ্ছে। এরা হল অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা ও অসৎ রাজনীতিবিদ। বিদেশ থেকে যে জিনিসপত্র আমদানী করা হয় তা ৫/৬ জন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি। আমাদের কথা সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের কৃষক ভাইয়েরা লোকসান গুনলেও কখনো উৎপাদন থেকে পিছু হটেনা। আমি ঠাকুঁরগাও জেলা আলু চাষীদের সাথে কথা বলেছি, তারা বলেছেন বর্তমানে তারা ২৩ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছেন। আর সংরক্ষণ খরচ সহ তা ৩৩ টাকা পর্যন্ত দাড়াবে। অথচ আমরা কি দেখি মৌসুম ছাড়া আলু ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। মুনাফাখোড় ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যে বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে।

বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি)’র পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজা খন্দকার চামেলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সৈয়দ মিজানুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি ইয়াকুব আলী, পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হান্নান, পঞ্চগড় জেলা উদীচির সভাপতি সফিকুল ইসলাম, জেলা বাপার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল প্রমূখ।

মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 06:18:37 pm, Monday, 4 March 2024
80 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

দেশে অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকারপঞ্চগড়ে – প্রিন্স 

আপডেট সময় : 06:18:37 pm, Monday, 4 March 2024

পঞ্চগড়ে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, দেশে অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এর জন্য কি আমরা দায়ী? মোটেই না।

বিদ্যুতে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে।

আমরা খালেদা জিয়ার আমলে দেখেছি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল না-খাম্বা ছিল। এখন দেখছি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে উৎপাদন করতে পারছে না। টাকা নাই। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে। যাতে যেনতেন ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে সব করা যায়।

৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াল, আর মন্ত্রী বলল শুধু একবার না তিন বছর পর্যায়ক্রমে দাম বাড়ানো হবে। তাদের হিসাবে এখন কয়েক পয়সা দাম বাড়ানো হয়েছে। তাদের হিসাবে এখন আমাদের ইউনিট প্রতি ৭/৮ টাকা নেয়। পর্যায়ক্রমে তা বাড়াতে বাড়াতে ২০ টাকা করবে। আর তাদের সরকার প্রধান বলল লোডশেডিং এর জন্য প্রস্তুত থাকুন। পিক আওয়ারেও তারা লোডশেডিং করবে। টাকা তো নাই উৎপাদন করবে। এর জন্য তো আমরা দায়ী না। আমরা পরিস্কার বলেছি এর জন্য সরকারের ভুলনীতি ও দূর্নীতি দায়ী। তিনি আরও বলেন, দেশে কোন গণতন্ত্র নেই। এই গণতন্ত্রহীনতার সুযোগে কি হয়-অন্ধকারে অসাম্প্রদায়ীক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। অরাজনৈতিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের টাকা পাচার অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি। ঋণখেলাপীও অতীতের তুলনায় বেশি। লুটপাটের এমন অবস্থা হয়েছে, বাংকগুলোর কি অবস্থা তা আপনারা ভাল করেই জানেন। গ্রামের মানুষ বলছে যে যেভাবে পারছে দেশটাকে লুটপাট করে খাচ্ছে। তিন শত্রু দেশটাকে চিড়েচেপ্টা করে খাচ্ছে। এরা হল অসৎ ব্যবসায়ী, অসৎ আমলা ও অসৎ রাজনীতিবিদ। বিদেশ থেকে যে জিনিসপত্র আমদানী করা হয় তা ৫/৬ জন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীর কাছে জিম্মি। আমাদের কথা সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, দেশের কৃষক ভাইয়েরা লোকসান গুনলেও কখনো উৎপাদন থেকে পিছু হটেনা। আমি ঠাকুঁরগাও জেলা আলু চাষীদের সাথে কথা বলেছি, তারা বলেছেন বর্তমানে তারা ২৩ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছেন। আর সংরক্ষণ খরচ সহ তা ৩৩ টাকা পর্যন্ত দাড়াবে। অথচ আমরা কি দেখি মৌসুম ছাড়া আলু ৫০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। মুনাফাখোড় ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যে বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে।

বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি)’র পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজা খন্দকার চামেলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সৈয়দ মিজানুর রহমান, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি ইয়াকুব আলী, পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হান্নান, পঞ্চগড় জেলা উদীচির সভাপতি সফিকুল ইসলাম, জেলা বাপার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল প্রমূখ।

মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।