9:37 am, Saturday, 27 July 2024

সদরপুরে ফারুক নামের প্রতারকের খপ্পড়ে দিশেহারা দুই পরিবার

তানভির তুহিন, ফরিদপুর সংবাদদাতা

ফরিদপুর জেলার সদরপুরে ফারুক নামের প্রতারকের খপ্পড়ে পরে দিশেহারা দুই পরিবার। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা প্রবাসী অঞ্চল হিসাবে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম। প্রবাসী বাসিন্দাদের সংখ্যাও এখানে প্রচুর। প্রবাসে নেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে কয়েকটি প্রতারক ও দালাল চক্র। যার মধ্যে অন্যতম একটি চক্র ফারুক। যেভাবে ফারুকের প্রতারনা শুরু।

২০লক্ষ টাকা হলেই মিলবে আমেরিকার ভিসা। পাবে বডিগার্ডের চাকরি। বেতনও হবে বেশ ভালো। এমনি প্রলোভন দেখিয়ে ২টি সাধারণ পরিবার কে নিঃস্ব করে দিয়েছে ফারুক নামের প্রতারক। সদরপুর উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের মোস্তফা মোল্যার পুত্র ফারুক মোল্যার বাড়ি। ফারুকের হাতে এখন ওই এলাকার ২টি অসহায় পরিবার নিঃস্ব। এতে ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
প্রতারকে খপ্পড়ে পরা ভুক্তভোগীরা জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী আব্দুস সলামের পুত্র মেহেদী হাসান কে আমেরিকায় পাঠানোর কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন হিসাবে নগদ, বিকাশ এবং ব্যাংকের মাধ্যম ১২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী গাবতলা গ্রামের বাচ্চু শেখ এর ছেলে ফয়সাল শেখ এর কাছ থেকেও একই কথা বলে আরও ৮লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ফারুক।
দুটি পরিবার থেকে ২০লক্ষ টাকা হাতিয়ে ভুয়া কাগজ পত্র ও ভিসা ধরিয়ে দিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে গেছে ফারুক মোল্যা।
এ বিষয়ে ফারুক মোল্যার বিরুদ্ধে ফরিদপুরের একটি আদালতে মামলা করেছেন আব্দুস সালাম ও বাচ্চু শেখের পরিবার।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম জানান, আমার ছেলেকে ফারুকের নিজস্ব বডিগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমেরিকায় নেওয়ার জন্য ১৫লক্ষ টাকার কনটাক্ট করেছিলো ফারুক। আমি ধার দেনা করে বিভিন্ন উপায়ে এ পর্যন্ত ১২লক্ষ টাকা দিয়েছি। টাকা পয়সা লেনদেনের সকল প্রমান আমার কাছে রয়েছে এবং সাক্ষী ও আছে। আমার সাথে তালবাহানা শুরু করলে আমি যখন বুঝতে পারি প্রতারকের পাল্লায় পরেছি তখন আমি পাসপোর্ট এবং ১২লক্ষ টাকা ফেরত চাই। কিন্তু ফারুক টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে আমাকে কোন টাকা ফেরত না দিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ফরিদপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৫নং আমলী আদালতে মামলা করেছি ফারুকের বিরুদ্ধে। কিন্তু মামলা করেও এখনো কোন ফল পাইনি। ভুক্তভোগী পরিবার দুটির কাছে টাকা লেনদেনের সকল প্রমান থাকলেও বিষয়টি এরিয়ে যাচ্ছেন ফারুকের পরিবার।
এ বিষয়ে ফারুকের মায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তার ছেলের কোন খোঁজ তারা জানেন না। বিদেশে লোক নেওয়ার বিষয়েও তারা অবগত নয়। প্রতারক ফারুকের কারনে আজ শুধু এ দুটো পরিবারই নয় নিঃস্ব হবে আরও অনেক পরিবার। ভুক্তভোগীরা ফারুকে সঠিক বিচার দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : 04:33:00 pm, Sunday, 17 March 2024
230 বার পড়া হয়েছে
error: Content is protected !!

সদরপুরে ফারুক নামের প্রতারকের খপ্পড়ে দিশেহারা দুই পরিবার

আপডেট সময় : 04:33:00 pm, Sunday, 17 March 2024

ফরিদপুর জেলার সদরপুরে ফারুক নামের প্রতারকের খপ্পড়ে পরে দিশেহারা দুই পরিবার। ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা প্রবাসী অঞ্চল হিসাবে বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম। প্রবাসী বাসিন্দাদের সংখ্যাও এখানে প্রচুর। প্রবাসে নেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে কয়েকটি প্রতারক ও দালাল চক্র। যার মধ্যে অন্যতম একটি চক্র ফারুক। যেভাবে ফারুকের প্রতারনা শুরু।

২০লক্ষ টাকা হলেই মিলবে আমেরিকার ভিসা। পাবে বডিগার্ডের চাকরি। বেতনও হবে বেশ ভালো। এমনি প্রলোভন দেখিয়ে ২টি সাধারণ পরিবার কে নিঃস্ব করে দিয়েছে ফারুক নামের প্রতারক। সদরপুর উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের মোস্তফা মোল্যার পুত্র ফারুক মোল্যার বাড়ি। ফারুকের হাতে এখন ওই এলাকার ২টি অসহায় পরিবার নিঃস্ব। এতে ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
প্রতারকে খপ্পড়ে পরা ভুক্তভোগীরা জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী আব্দুস সলামের পুত্র মেহেদী হাসান কে আমেরিকায় পাঠানোর কথা বলে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন হিসাবে নগদ, বিকাশ এবং ব্যাংকের মাধ্যম ১২লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী গাবতলা গ্রামের বাচ্চু শেখ এর ছেলে ফয়সাল শেখ এর কাছ থেকেও একই কথা বলে আরও ৮লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ফারুক।
দুটি পরিবার থেকে ২০লক্ষ টাকা হাতিয়ে ভুয়া কাগজ পত্র ও ভিসা ধরিয়ে দিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে গেছে ফারুক মোল্যা।
এ বিষয়ে ফারুক মোল্যার বিরুদ্ধে ফরিদপুরের একটি আদালতে মামলা করেছেন আব্দুস সালাম ও বাচ্চু শেখের পরিবার।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম জানান, আমার ছেলেকে ফারুকের নিজস্ব বডিগার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমেরিকায় নেওয়ার জন্য ১৫লক্ষ টাকার কনটাক্ট করেছিলো ফারুক। আমি ধার দেনা করে বিভিন্ন উপায়ে এ পর্যন্ত ১২লক্ষ টাকা দিয়েছি। টাকা পয়সা লেনদেনের সকল প্রমান আমার কাছে রয়েছে এবং সাক্ষী ও আছে। আমার সাথে তালবাহানা শুরু করলে আমি যখন বুঝতে পারি প্রতারকের পাল্লায় পরেছি তখন আমি পাসপোর্ট এবং ১২লক্ষ টাকা ফেরত চাই। কিন্তু ফারুক টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করে আমাকে কোন টাকা ফেরত না দিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ফরিদপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৫নং আমলী আদালতে মামলা করেছি ফারুকের বিরুদ্ধে। কিন্তু মামলা করেও এখনো কোন ফল পাইনি। ভুক্তভোগী পরিবার দুটির কাছে টাকা লেনদেনের সকল প্রমান থাকলেও বিষয়টি এরিয়ে যাচ্ছেন ফারুকের পরিবার।
এ বিষয়ে ফারুকের মায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তার ছেলের কোন খোঁজ তারা জানেন না। বিদেশে লোক নেওয়ার বিষয়েও তারা অবগত নয়। প্রতারক ফারুকের কারনে আজ শুধু এ দুটো পরিবারই নয় নিঃস্ব হবে আরও অনেক পরিবার। ভুক্তভোগীরা ফারুকে সঠিক বিচার দাবি করেছেন প্রশাসনের কাছে।